ওসমানীনগরে ডাকাতি আতংক
প্রকাশিত হয়েছে : ১২:২১:২৮,অপরাহ্ন ২৩ মে ২০১৫
নিউজ ডেস্ক :: সিলেটের ওসমানীনগরে ডাকাতি আতংকে অন্তত ৩০ গ্রামের মানুষ নির্ঘুম রাতযাপন করে পাহারা দিয়েছেন। শুক্রবার দিবাগত রাতে এলাকার ডাকাতরা হানাদেয়। এমন পরিস্থিতিতে চরম আতংকগ্রস্থ রয়েছেন এলাকাবাসী। বৃহস্পতিবার রাতেও ডাকাতরা একাধিক গ্রামে হানা দিয়েছিল বলে জানা গেছে।
জানা যায়, শুক্রবার মধ্য রাতে রশিদপুর এলাকায় এক প্রবাসীর বাড়িতে ডাকাতির প্রস্তুতিকালে লোকজন প্রতিরোধ গড়ে তুলে। এসময় ধাওয়া খেয়ে ডাকাতরা ওসমানীনগরে প্রবেশ করে। খবর পেয়ে ওসমানীনগর থানা পুলিশ এলাকার জনপ্রতিনিধিসহ সচেতন নাগরিকদের ফোন করে সতর্ক করে দিলে প্রতিটি এলাকার মসজিদে মাইকযোগে ডাকাত প্রবেশের বিষয়টি জানানো হয়। এতে এলাকার লোকজন সমবেত হয়ে প্রতিরোধ গড়ে তুলে এবং রাত জেগে পাহারা দেয়।
গোয়ালাবাজার ইউপি চেয়ারম্যান আতাউর রহমান মানিক বলেন, এলাকায় ডাকাত প্রবেশের বিষয়টি ফোন করে জানায় পুলিশ। এতে এলাকাবাসি সমবেত হয়ে প্রতিরোধ গড়ে তুলে এবং পাহারা দেয়।
ওসমানীনগর থানার ওসি মুরসালিন বলেন, ডাকাতরা রশিদপুর এলাকায় ব্যর্থ হয়ে ওসমানীনগরে প্রবেশ করার বিষয়টি জানতে পেরে জনপ্রতিনিধিসহ সচেতনমহলকে অবগত করি।
এদিকে, চলতি বছরের ৫ মাসে ওসমানীনগরে ৭টি ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। এর মধ্যে চলতি মাসে ২ দিনে তিনটি ডাকাতি ঘটনা ঘটে। গত ১৬ মে উপজেলার ব্রাহ্মণশাসন গ্রামস্থ আজিজুর রহমান এবং একই এলাকার ধন মিয়ার বাড়িতে হানা দিয়ে ডাকাতরা স্বর্ণালংকার ও নগদ টাকাসহ প্রায় ২০লক্ষ টাকার মালামাল লুঠ করে। ১৮ মে নিজ কুরুয়া উত্তর পাড়া গ্রামের প্রবাসী নুরুল আম্বিয়া আওলাদের বাড়িতে হানা দিয়ে নগদ টাকাসহ দশ লক্ষাধিক টাকার মালামাল লুঠ করে। এ তিনটি ডাকাতির ঘটনায় গৃহকর্তাসহ ৪জন গুরুতর আহত হয়। ৭টি ডাকাতির ঘটনা ঘটলেও ঘটনাগুলোকে ডাকাতি না বলে ভিন্নখাতে প্রবাহিত করেছে পুলিশ। তবে শেষ পর্যন্ত শনিবার ১৬মে ব্রা্হ্মণ শাসন এলাকার ঘটনায় ১টি ডাকাতির মামলা রুজু করেছে বলে জানিয়েছেন ওসি মুরসালিন। এমনকি অভিযান চালিয়ে ডিবি পুলিশের সহায়তায় এক ডাকাতকে আটক করলেও রহস্যজনক কারণে তাকে ছেড়ে দেয়া হয়।
ওসমানীনগরের তালিকাভূক্ত অনন্ত ৩০ জন ডাকাত জামিনে রয়েছে। যার কারণে প্রায়ই ডাকাতির ঘটনা ঘটছে।