ওপেন হার্ট সার্জারি করা সবচেয়ে কমবয়সী বিশ্বের প্রথম জীবিত শিশু
প্রকাশিত হয়েছে : ১২:২৫:১০,অপরাহ্ন ০৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৫
বিচিত্র ডেস্ক :: শিশুটির নাম চ্যানেল মরিস। বর্তমানে তার বয়স ছয় সপ্তাহ। গর্ভে থাকা কালীন মেয়েটির হৃৎপিণ্ডের জটিলতা ধরা পড়ে। তার হৃৎপিণ্ডের একপাশ সচল কিন্তু অন্যপাশ কোন কাজ করে না। এই ধরণের অবস্থা ত্রিশ লাখ শিশুর মধ্যে একজনের হতে পারে।
ডাক্তার বাচ্চার বাবা-মা মিস্টার ও মিসেস মরিসকে তিনটি থেকে একটি সিদ্ধান্ত নিতে বলেন। দ্রুত সময়ে গর্ভপাত করা অথবা স্বাভাবিক ভাবে জন্ম দিয়ে তাদের কোলে বাচ্চাটি মারা যাবে। আর শেষটি হল, জন্মের পর দ্রুততর সময়ে অপারেশন করে শিশুটিকে বাঁচানোর চেষ্টা করা। এক্ষেত্রে প্রথম অপারেশনে বাঁচার সম্ভাবনা ৫০/৫০। এরপর আরও দুইটি অপারেশনের প্রয়োজন হতে পারে।
বাচ্চাটির মা ফেয় মরিস এবং বাবা *মাইকেল মরিস* শেষ ব্যবস্থাটি গ্রহণ করার সিদ্ধান্ত নেয়। ফেয় মরিস তার মেয়ের ২০ সপ্তাহের গর্ভাবস্থায় প্রথম এই অবস্থার কথা জানতে পারে। গর্ভে যাকে অনুভব করেছে তাকে বাঁচানোর জন্য শেষ পর্যন্ত লড়াই চালিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত তার।
অতঃপর নিউক্যাসেলের ফ্রিম্যান হাসপাতালে ফেয় মরিস জন্ম দেয় ৭ পাউন্ড ওজনের চ্যানেলের। জন্মের পর খুব দ্রুত বাচ্চাটিকে অপারেশন থয়েটারে নিয়ে যাওয়া হয়। এত দ্রুত যে মা তার বাচ্চাকে দেখতেও পারেনি। সার্জন বাচ্চাটির হৃৎপিণ্ডে স্টেন্ট স্থাপন করেন যা তাকে কিছুটা সময় দেয়। এক সপ্তাহ পর দ্বিতীয় অপেরেশন করা হয়। চ্যানেল এখনও নিবিড় তত্ত্বাবধায়নে আছে। তবে তাকে তার দুই ভাই চেস এবং কোলের সাথে পরিচয় করিয়ে দেওয়া হয়েছে। অনেক কার্যক্রম বাকি আছে। তবে চ্যানেল খুব ভাল ভাবেই সব উতরে যাচ্ছে। তার মায়ের মতে, ‘চ্যানেল প্রমাণ করেছে সে বাঁচবে। আমি তাকে নিয়ে গর্বিত।’
সুত্র -ডেইলি মেইল