এয়ার এশিয়ার বিমানটির ‘ফ্লাইট ডেটা রেকর্ডার’ উদ্ধার
প্রকাশিত হয়েছে : ৯:২৪:২২,অপরাহ্ন ১২ জানুয়ারি ২০১৫
আন্তর্জাতিক ডেস্ক::
ইন্দোনেশিয়ার জাভা সাগরে বিধ্বস্ত এয়ার এশিয়ার ফ্লাইট ৮৫০১ বিমানটির ব্ল্যাক বক্সের ‘ফ্লাইট ডেটা রেকর্ডার’ উদ্ধার করা হয়েছে। উদ্ধার অভিযানে অংশ নেওয়া দেশটির নৌবাহিনীর ডুবুরিরা আজ এটিকে উদ্ধার করতে সক্ষম হয়। তবে ব্ল্যাক বক্সের আরেকটি অংশ ককপিট ভয়েস রেকর্ডার এখনো উদ্ধার করা যায়নি। ইন্দোনেশিয়ার অনুসন্ধান ও উদ্ধার এজেন্সির প্রধান বাংবাং সুয়েলিস্তো আজ সকালে জাকার্তায় সাংবাদিকদেরকে একথা জানান। খবর বিবিসির
ফ্লাইট ডেটা রেকর্ডার উদ্ধার বিমানটির ভাগ্যে ঠিক কি ঘটেছে এবং কেন ঘটেছে তা জানতে তদন্তকারীদের সহায়তা করবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন সংশ্লিষ্টরা।
বাংবাং সুয়েলিস্তো সাংবাদিকদেরকে বলেন, ‘অামি জাতীয় পরিবহন সেফটি কমিটির প্রধানের কাছে আজ স্থানীয় সময় ৭টা ১১মিনিটে তথ্য পেয়েছি যে তারা বিমানটির ব্ল্যাক বক্সের একটি অংশ ‘ফ্লাইট ডেটা রেকর্ডার’ উদ্ধার করার ক্ষেত্রে সফল হয়েছেন।’ বিমানটির একটি পাখার ধ্বংসাবশেষের নিচে এটিকে পাওয়া যায় বলে তিনি জানান। ফ্লাইট ডেটা রেকর্ডার ও ককপিট ভয়েস রেকর্ডারকে একত্রে ব্লাক বক্স বলা হয়। এটি সাধারণত বিমানের পেছনের অংশের দিকে সংযুক্ত করা থাকে।
এদিকে, গতকাল এয়ার এশিয়ার বিমানটির লেজ সাগরের উপরিভাগে তুলে আনা হয়েছে। উদ্ধারের ক্ষেত্রে বিশেষ একটি যন্ত্র [ইনফ্ল্যাটাবল ডিভাইস] ব্যবহার করেছেন সংশ্লিষ্টরা। ব্ল্যাক বক্সটি বিমানটির লেজের অংশ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে গিয়েছিল বলে মনে করেছিলেন সংশ্লিষ্টরা। শেষ পর্যন্ত তাদের ধারণাই সত্যি হয়েছে।
অপরদিকে, বিমানটির দুর্ঘটনার দু’ সপ্তাহের বেশি অতিবাহিত হলেও এখন পর্যন্ত ১৬২ জন আরোহীর মধ্যে মাত্র ৪৮ জনের লাশ উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে। বাকিদের দেহাবশেষ বিমানটির মূল বডির [ফিউসালাজ] ভেতরে এখনো অাটকে আছে বলে অনুসন্ধানকারীরা মনে করছেন। তবে বিমানটির ফিউসালাজ এখনো খুঁজে পাওয়া যায়নি।
উল্লেখ্য, গত ২৮ ডিসেম্বর সিঙ্গাপুরের চাঙ্গি বিমানবন্দরের উদ্দেশ্যে ইন্দোনেশিয়ার সুরাবাইয়ার জুয়ানদা বিমানবন্দর থেকে উড্ডয়নের ৪৫ মিনিট পরই বিমানটি জাভা সাগরের উপরে যোগাযোগ হারিয়ে ফেলে। ৭ জন ক্রুসহ বিমানটিতে তখন ১৬২ জন আরোহী ছিল। যাত্রীদের মধ্যে ১৪৯ জনই ইন্দোনেশিয়ার নাগরিক।