এবার ছেলের নগ্ন ছবি ফাঁস করলো এক তরুনী!
প্রকাশিত হয়েছে : ১২:০৩:১৪,অপরাহ্ন ১১ নভেম্বর ২০১৪
বয়ফ্রেন্ড ২ লক্ষ টাকা ও দামি মিনি স্কার্ট কিনে না দেওয়ায়, তাঁর নগ্ন ছবি ফেসবুকে পোস্ট করল বছর কুড়ির এক তরুণী। শুধু তাই নয়, বয়ফ্রেন্ডের ছবি দিয়ে একটি ‘ফেক প্রোফাইল’ তৈরি করে আপলোড করে দিল একটি পর্ন সাইটে। ক্যাপশানে লিখে দিল ‘আই অ্যাম গে। আই অ্যাম ইণ্টারেস্টেড ইন ম্যান।’
এমনই আজব ঘটনা ঘটল লখনউয়ে। প্রেমিকের প্রতি প্রতিশোধ নিতেই এহেন কাজ, বলছে পুলিশ।
অভিযোগকারী দেবেশ শর্মার সঙ্গে ওই তরুণীর আলাপও ফেসবুকেই। এক কমন ফ্রেন্ডের মাধ্যমে তাদের আলাপ গতমাসে। জমে ওঠে মৌখিক প্রেমপর্বও। তরুণী দাবি করে, তার এক ২৩ বছরের দিদিকে দেবেশের অফিসে চাকরি দিতে হবে। তাহলেই এই সম্পর্কে রাজি সে। দেবেশ রাজি হন। ফেসবুকের সূত্র ধরে ফোন নম্বর দেওয়া-নেওয়া হয় দু’জনের মধ্যে। তরুণী দেবেশকে জানায়, লখনউ শহর ঘুরে দেখার ইচ্ছে রয়েছে তার। ফ্রেন্ডশিপ ডে-তে ওই তরুণীকে একটি পার্টিতেও নিয়ে আবদার করে দেবেশের কাছে।
৩ অগাস্টের সকালেই মেয়েটি দেবেশের কাছে পার্টিতে যাওয়ার জন্য সাড়ে চার হাজার টাকা দামের একটি ব্যাগ ও ন’হাজার টাকার মিনি স্কার্ট কিনে দেওয়ার বায়না করে। দেবেশ পুলিশকে জানিয়েছে, এই আবদার শুনে তখনই পার্টিতে যাওয়ার প্ল্যান ক্যানসেল করে দেয় সে।
৪ অগাস্ট মেয়েটি দেবেশকে ১০০ বার ফোন ও ৫০ টি মেসেজ পাঠায়। এসএমএসে হুমকি দিয়ে দেবেশকে লেখা হয়েছিল, ‘ আমাকে ইগনোর করলে তার ফল ভাল হবে না’। তখনই দেবেশ গোটা বিষয়টি নিয়ে সাইবার সেলে অভিযোগ জানায়। কারণ, এর আগে তাদের মধ্যে কখনও মুখোমুখি দেখা হয়নি। পুরো আলাপপর্বই চলেছে ফোন ও ফেসবুকে। দেবেশের অভিযোগ, মেয়েটি এরপর ২ লক্ষ টাকা দাবি করে বসে। মেয়েটিকে দেবেশ জানায়, এত টাকা দিতে সে অপারগ। তখন মেয়েটি ২০ হাজার টাকা-সহ একটি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট দাবি করে বসে। পুলিশকে সেই তথ্য দিয়েছে দেবেশ।
পরের দিনই মেয়েটি দেবেশের ফেসবুক প্রোফাইল থেকে ছবি ডাউনলোড করে তা বিকৃত করে নগ্ন পুরুষদেহে সুপার ইম্পোজ করে বসে। পর্ন সাইটে সেই ছবিও পোস্ট করে মেয়েটি। দেবেশ এই ঘটনায় স্তুম্ভিত হয়ে যান। সাইবার সেলে অভিযোগ জানালে সেখানকার কর্মীরা বিষয়টি হেসে উড়িয়ে দেন। তাঁরা বলেন, মেয়ের নাম দিয়ে হয়তো কোনও ছেলেই এই কাণ্ড করেছে।
এরপর স্থানীয় থানায় অভিযোগ জানান দেবেশ৷ সবটা শুনে পুলিশ হকচকিয়ে গেলেও তাঁরা খোঁজখবর নেওয়া শুরু করে৷ আইপি অ্যাড্রেস-সহ কনস্টেবল হরি কিষেন একটি অভিযোগ নিয়ে নেন। তখনই জানা যায় কাজটি করেছে মানকনগরের এক তরুণী।
প্রেমিকার বিষয়ে পুলিশ জেরার মুখে দেবেশ জানান, ‘আমি ওকে উপেক্ষা করতে শুরু করি৷ তারপর একদিন দেখি আমার নামে ফেসবুকে একটি প্রোফাইল। তাতে আমার সুপার ইম্পোজ করা নগ্ন, অশালীন ছবি।’
পুলিশ হস্তক্ষেপ করার পর অবশ্য বিপদ বুঝে মেয়েটি ফোনে দেবেশের কাছে ক্ষমা চায়৷ পুলিশ জানিয়েছে, দেবেশ এফআইআর করেননি। কিন্তু লিখিত অভিযোগ করায় মেয়েটির বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। দেবেশ জানিয়েছেন, তিনি যে ভাবে মেয়েটির কবলে পড়েছিলেন, অন্য কেউ যাতে প্রতারিত না হয়, সে কারণে তিনি আইনের পথেই হাঁটবেন।