এডিবি’র ৩০ কোটি টাকার প্রজেক্ট : বদলে যাচ্ছে সিলেট সিটি কর্পোরেশনের ডাম্পিং গ্রাউন্ড
প্রকাশিত হয়েছে : ১২:৫৪:১০,অপরাহ্ন ৩০ এপ্রিল ২০১৫
নিউজ ডেস্ক::
সিলেট সিটি কর্পোরেশনের বর্জ্য ফেলার ডাম্পিং গ্রাউন্ড দক্ষিণ সুরমার লালমাটিয়ার দৃশ্য কিছুদিনের মধ্যেই বদলে যাচ্ছে। দুর্গন্ধমুক্ত ও বায়ু দূষনবিহীন বৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে বর্জ্য ব্যবস্থাপনার জন্য এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট ব্যাংকের (এডিবি)র অর্থায়নে সেখানে স্যানেটারী ল্যান্ডফিল তৈরী করা হবে। প্রায় ৩০ কোটি টাকা ব্যয়ে প্রায় ১০ একর জায়গার উপর এই ল্যান্ডফিল নির্মিত হলে সিলেট সিটি কর্পোরেশনের বর্জ্য ব্যবস্থাপনা আধুনিক রূপ পাবে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।
আরবান পাবলিক এন্ড এনভায়রমেন্টাল হেলথ সেক্টর ডেভেলাপমেন্ট প্রজেক্টের আওতায় সিলেটের এই স্যানেটারী ল্যান্ডফিল নির্মানের লক্ষ্যে গত বুধ ও বৃহস্পতিবার সিলেটের বিভিন্ন জায়গা পরিদর্শন করেছেন স্যানেটারী ও সলিড ওয়েস্ট ম্যানেজমেন্ট এক্সপার্ট বেলজিয়াম নাগরিক মি. মার্টিন ফিলগ্রীণ। দক্ষিণ সুরমার ডাম্পিং গ্রাউন্ড ছাড়াও তিনি নগরীর টিলাগড়, কাজীটুলা ও রিকাবীবাজারে নির্মাণাধীন সেকেন্ডারী ট্রান্সফার স্টেশনও পরিদর্শণ করেন।
এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন এই প্রজেক্টের কনসালটেন্ট জনস্বাস্থ্য প্রকৌশলের সাবেক প্রধান প্রকৌশলী মো. মোস্তাফিজুর রহমান, সিলেট সিটি কর্পোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা এনামুল হাবীব, প্রধান প্রকৌশলী (ভারপ্রাপ্ত) নুর আজিজুর রহমান, এসিস্ট্যান্ট ইঞ্জিনিয়ার অরবিন্দ দেবসহ সংশ্লিস্ট কর্মকর্তাবৃন্দ।
এই ব্যাপারে সিলেট সিটি কর্পোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা এনামুল হাবীব বলেন, সিলেটের সিটি কর্পোরেশনের ডাম্পিং গ্রাউন্ডকে আধুনিকায়ন করা এখন সময়ের দাবি। এডিবি’র অর্থায়নে এই প্রজেক্টটি বাস্তবায়িত হলে বর্জ্যরে কারণে পরিবেশ দূষনও হবে না। নগরবাসীর স্বাস্থ্য সুরক্ষার ক্ষেত্রে একটি সময়োপোযোগী পদক্ষেপ। চলতি বছরের জুন-জুলাইয়ের মধ্যে কাজ শুরু হওয়ার পর ২০১৬ সালের মাঝামাঝি সময়ে এই প্রজেক্টের কাজ শেষ হবে বলেও এনামুল হাবীব আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
প্রধান প্রকৌশলী (ভারপ্রাপ্ত) নুর আজিজুর রহমান জানান, এই প্রজেক্টের আওতায় ইতোমধ্যে নগরীতে ২ কোটি ৪০ লক্ষ টাকা ব্যয়ে তিনটি সেকেন্ডারী ট্রান্সফার স্টেশন নির্মানকাজ চলছে। পাশাপাশি স্যানেটারী ল্যান্ডফিল নির্মানের জন্য ইতোমধ্যে সয়েল টেস্ট ও সার্ভে সম্পন্ন হয়েছে। ডিজাইনও প্রায় চূড়ান্ত। খুব শীঘ্রই টেন্ডার দেওয়া হবে।
পরিবেশবিদদের মতে, ওপেন ডাম্পিং মানব স্বাস্থ্যের জন্য বড় হুমকী। এতে যেমন বায়ু দূষণ হয়, পাশাপাশি ক্ষতিকর ও বিষাক্ত পদার্থ তরল আকারে পানির সাথে মিশে গিয়ে মানব স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর প্রভাব ফেলে। এই প্রজেক্ট বাস্তবায়িত হলে বর্জ্যরে মাধ্যমে যাতে পরিবেশ দূষন না হয় সেই বিষয়টি নিশ্চিত করা হবে। স্যানেটারী ল্যান্ডফিল দিয়ে চলাচলের সময় কোন দুর্গন্ধও থাকবে না বলে জানিয়েছে সিটি কর্পোরেশনের প্রকৌশল বিভাগ।