এক দশক পর ফের বিসিসিআই মসনদে ডালমিয়া
প্রকাশিত হয়েছে : ৬:৩৪:১০,অপরাহ্ন ০২ মার্চ ২০১৫
স্পোর্টস ডেস্ক::: নাটকের চেয়েও মহা নাটকীয় ভঙ্গিতে প্রায় এক দশক পর ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিসিআই) প্রেসিডেন্টের মসনদে বসতে যাচ্ছেন সাবেক আইসিসি প্রেসিডেন্ট জগমোহন ডালমিয়া। রোববার বিকেলে শ্রীনিবাসনের ‘খাসতালুক’ চেন্নাইয়ে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় বিসিসিআই প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হলেন ‘ভারতীয় ক্রিকেটের মেকিয়াভেলি’।
২০০১ থেকে ২০০৪-এর পর ফের ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডে ফিরলেন ডালমিয়া। ২০০১-এ ২৬তম প্রেসিডেন্ট হিসেবে হতদরিদ্র ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডকে বিশ্বের সবচেয়ে ধনী ক্রিকেট বোর্ডে পরিণত করেছিলেন কলকাতার এই অবাঙালি শিল্পপতি। শুধু বিসিসিআই নয়, ডালমিয়ার হাত ধরে লাভের মুখ দেখেছে বিশ্বক্রিকেটেও।
দুর্দিনে ফের ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের হাল ধরলেন ডালমিয়া। পূর্বাঞ্চলের ছ’টি অ্যাসোসিয়েশনের সমর্থন নিয়ে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় রোববার বিসিসিআই প্রেসিডেন্ট পদে ফিরলেন ৭৪ বছর বয়সি দুঁদে ক্রিকেট প্রশাসক। সোমবার চেন্নাইয়ে বোর্ডের বার্ষিক সাধারণ সভায় ৩৫তম বিসিসিআই প্রেসিডেন্ট পদে সীলমোহর পড়ল ডালমিয়ার নামে।
রোববারই ছিল বিসিসিআই নির্বাচনে মনোনয়ন জমা দেওয়ার শেষ সময়। বিকেল তিনটা পর্যন্ত জগমোহন ডালমিয়া ছাড়া আর কেউ প্রেসিডেন্ট পদে মনোনয়ন জমা দেয়নি। সুতরাং প্রেসিডেন্ট পদে সোমবার নির্বাচনের কোনও প্রয়োজন হচ্ছে না। ফলে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বীতায় প্রেসিডেন্টে নির্বাচিত হয়ে গেলেন তিনি।
শারদ পাওয়ার এবং নারায়নস্বামী শ্রীনিবাসন গোষ্ঠিকে লড়াইয়ের আগেই হোয়াইটওয়াশ করে দেন ডালমিয়া। তিনি ছাড়া প্রেসিডেন্ট পদে মনোনয়ন জমা দেননি কেউ। পওয়ারকে আটকাতে শেষমেষ ডালমিয়াকে সমর্থন করে নিজের পছন্দের প্রার্থী সঞ্জয় প্যাটলের নামও জমা দেয়নি শ্রীনি গোষ্ঠি।
আদালতের নির্দেশে বোর্ডের প্রেসিডেন্ট নির্বাচন তো দুরে থাক, বার্ষিক সাধারণ সভায় পর্যন্ত উপস্থিত থাকতে পারেননি এন শ্রীনিবাসন। জ্বল্পনা উঠেছিল, সাবেক প্রেসিডেন্ট শারদ পাওয়ারই আসছেন আবার ক্ষমতায়। কিন্তু, গনেষ উল্টে দিয়ে নির্বাচনের ২৪ ঘন্টা আগেই প্রেসিডেন্ট হয়ে ভারতীয় ক্রিকেটের মগডালে বসে গেলেন ডালমিয়া।
অথচ, ২০০৫ সালেই জয়পুরে বিসিসিআইয়ের এক বৈঠকে ২৯-১ সদস্যের সম্মতিতে ডালমিয়াকে বহিস্কারের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। সেদিন যে অপমানের শিকার হয়েছিলেন ডালমিয়া, ১০ বছর পর এসে যেন তারই প্রতিশোধ তুললেন পূনরায় প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হয়ে। সর্বশেষ ক্রিকেট এসোসিয়েশন অব বেঙ্গলের (সিএবি) প্রেসিডেন্ট ছিলেন তিনি।