একনেকে ৭ হাজার ১৭ কোটি টাকার ১১টি প্রকল্প অনুমোদিত
প্রকাশিত হয়েছে : ২:৫৫:৫৭,অপরাহ্ন ৩০ ডিসেম্বর ২০১৪
নিউজ ডেস্ক::
জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের (একনেক) সভায় ৭ হাজার ১৭ কোটি টাকার মোট ১১টি প্রকল্পের অনুমোদন দেয়া হয়েছে। এছাড়া জাপানি উন্নয়ন সংস্থা (জাইকা)’র আর্থিক সহায়তায় গৃহিত ৮৬৮ কোটি টাকা ব্যায়ে ‘ন্যাশনাল গ্যাস এফিসিয়েন্সি’ প্রকল্পও গ্রহন করা হয়েছে। গ্যাসের চাপ বাড়াতে দু’টি গ্যাস ফিল্ডে মোট ৬টি ওয়েলহেড কম্প্রেসার স্থাপনই এ প্রকল্পের মূল লক্ষ্য। আজ মঙ্গলবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে শেরে বাংলা নগরে এনইসি ভবনে অনুষ্ঠিত একনেক’র সভায় এ প্রকল্প অনুমোদিত হয়। অনুমোদিত মোট ১১টি প্রকল্পের মধ্যে নতুন প্রকল্প ১০টি এবং সংশোধিত প্রকল্প ১টি রয়েছে। সভায় মন্ত্রী পরিষদের সদস্যগণসহ সরকারের উচ্চ পর্যায়ের কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।
বাংলাদেশ গ্যাস ফিল্ডস কোম্পানী লিমিটেড এ প্রকল্পটি ২০২০ সালের জুন মাস নাগাদ বাস্তবায়িত করবে আশা করা যাচ্ছে। এসব প্রকল্পের মোট ব্যয়ের ২ হাজার ১৭৬ কোটি টাকা বাংলাদেশ সরকার এবং সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলোর নিজস্ব তহবিল থেকে ২৪ কোটি দেয়া হবে। প্রকল্প সাহায্য হিসেবে ৪ হাজার ৮১৭ কোটি টাকা পাওয়া যাবে। এছাড়া সভায় ‘বহুমুখী দুর্যোগ আশ্রয়কেন্দ্র (এমডিএসপি)’ নামক একটি প্রকল্পের অনুমোদন দেয়া হয়েছে। ‘চট্টগ্রাম-সন্দীপ-হাতিয়া-বরিশাল উপকূলীয় রুটে দক্ষ যাত্রীবাহী জাহাজ নির্মাণ’ ‘বাংলাদেশের ১৩টি নদী বন্দরে ১ম শ্রেণীর আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগার নির্মাণ’ ‘মসজিদভিত্তিক শিশু ও গণশিক্ষা কার্যক্রম (৬ষ্ঠ পর্যায়)’ ‘ইকনোমিক এমপাওয়ারমেন্ট অব দ্যা পুরেষ্ট ইন বাংলাদেশ (ইইপি) ২য় সংশোধিত’ ‘রংপুর বিভাগে মৎস্য উন্নয়ন’ ‘সোনাইমুড়ি, কালিগঞ্জ, আড়াইহাজার এবং মঠবাড়িয়া উপজেলায় কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র ও হোস্টেল নির্মাণ’ ‘ব্রুড ব্যাংক স্থাপন(৩য় পর্যায়)’ শীর্ষক প্রকল্পগুলোর অনুমোদন দেয়া হয়।
মঙ্গলবার পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বাংলাদেশের গ্যাসক্ষেত্রগুলোর মধ্যে তিতাস ও নরসিংদী গ্যাসক্ষেত্রের গ্যাসের চাপ দিন দিন কমে আসছে। এর ফলে এদুটো গ্যাসফিল্ড থেকে গ্যাস উৎপাদন ও জাতীয় গ্রিডে গ্যাস সরবরাহ দিন দিন কমে যাচ্ছে। গ্যাসের চাপ এভাবে কমতে থাকলে আগামী ৩ থেকে ৭ বছরের মধ্যে এ দুই গ্যাস ক্ষেত্র থেকে জাতীয় গ্রিড লাইনের চাপের সাথে তাল মিলিয়ে গ্যাস সরবরাহ করা সম্ভব হবে না। এ সমস্যার সমাধান পেতে এই গ্যাসফিল্ডে মোট ৬টি ওয়েলহেড কম্প্রেসার স্থাপন করবে সরকার। ফলে গ্যাসের চাপ বৃদ্ধি পাবে এবং উৎপাদন ও সরবরাহ বেড়ে যাবে। কম্প্রেসার স্থাপনের জন্যই ৮৬৮ কোটি টাকার এ প্রকল্পটি একনেক অনমোদন করেছে।
এদিকে গ্যাসের অপচয় ও সিস্টেমলস ঠেকাতে এখন থেকে সব গ্যাস সংযোগ প্রি-পেইড মিটার ভিত্তিক করা হচ্ছে। এ সম্পর্কিত ন্যাচারাল গ্যাস এনার্জি এফিসিয়েন্সি প্রকল্প নামে অপর একটি প্রকল্পের আজকের একনেক সভায় অনুমোদিত হয়েছে। এ প্রকল্পের আওতায় প্রাথমিকভাবে চট্টগ্রাম শহরের বিভিন্ন এলাকায় দু’ধাপে মোট ৬০,০০০ গৃহস্থালী প্রি-পেইড মিটার স্থাপন করা হবে। এতে করে গ্যাসের সাশ্রয়ী ব্যবহার নিশ্চিত হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন পরিকল্পনা মন্ত্রী আহম মুস্তফা কামাল।
একনেক’র সভা শেষে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে মুস্তফা কামাল বলেন, এ প্রকল্পের আওতায় চট্টগ্রামের গৃহস্থালীতে প্রি-পেইড গ্যাস মিটার স্থাপন করা হবে। পর্যায়ক্রমে সারা দেশব্যাপী সবক্ষেত্রেই প্রি-পেইড গ্যাস মিটার বসানো হবে। প্রকল্পটির ব্যয় ধরা হয়েছে, ২৪৬ কোটি টাকা। এর মধ্যে সরকার দেবে ৮১ কোটি টাকা, প্রকল্প সাহায্য হিসেবে ১৫৪ কোটি টাকা এবং সংস্থার নিজস্ব তহবিল থেকে ১১ কোটি টাকা বরাদ্দ দেয়া হবে। কর্ণফুলী গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেড (কেজিডিসিএস) জুলাই ২০১৪ থেকে ডিসেম্বর ২০২০ মেয়াদে প্রকল্পটি বাস্তবায়িত করবে।