এইচটি ইমামের বক্তব্য সম্পর্কে কিছুই জানিনা : হাছান মাহমুদ
প্রকাশিত হয়েছে : ৮:১০:৩৭,অপরাহ্ন ১৬ নভেম্বর ২০১৪
নিউজ ডেস্ক::
আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, এইচটি ইমাম কি বলেছেন ব্যক্তিগতভাবে তা আমি পড়িনি। এবিষয়ে কিছু জানিনা। তাই কোন মন্তব্য করতে পারবো না। এর ব্যাপারে আমি কিছুই জানিন।
রবিবার সকালে আওয়ামী লীগ সভাপতির ধানমন্ডির রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলন শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে সম্প্রতি বিসিএস পরীক্ষা ৫ জানুয়ারীর নির্বাচন ও পুলিশ প্রশাসনের ভূমিকা নিয়ে আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদ সদস্য ও প্রধানমন্ত্রীর রাজনৈতিক উপদেষ্টা এইচটি ইমাম যে বক্তব্য দিয়েছেন তার ব্যাপারে তিনি একথা জানান।
এক প্রশ্নের জবাবে হাছান মাহমুদ বলেন, মুক্তিযুদ্ধের সময় জিয়াউর রহমানের ভূমিকা ও পরবর্তিতে রাজাকারদের সহযোগিতার কারণে ইতিমধ্যে জানমনে প্রশ্ন জেগেছে তার বীর উত্তম খেতাব কেড়ে নেয়ার বিষয়ে।তবে আওয়ামী লীগ এবিষয়ে কোন সিদ্ধান্ত নেবে কি না সে বিষয়ে কিছু স্পষ্ঠ করেননি।
লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, যুদ্ধের সময় খালেদাকে জিয়া চিঠি লেখার পরও তিনি পাকিস্তানিদের আন্ডারে ছিলেন।পরে জিয়া তাকে স্ত্রী হিসেবে গ্রহণ করতে রাজি হয়নি।এই কারণে ছোট ছেলে আরাফাত রহমান কোকোর জন্ম নিয়ে মানুষের প্রশ্ন আছে। অপর দিকে ইয়াহিয়া বঙ্গবন্ধুকে রাষ্ট্রদ্রোহী বানাতে চেয়েছিলেন।এখন তারেক জিয়াও বঙ্গবন্ধুকে রাষ্ট্রদ্রোহী বানাতে চায়।ইয়াহিয়া ও তারেক জিয়ার বক্তব্য এক হয়ে যাওয়ায় তারেকের জন্ম নিয়েও জনমনে প্রশ্ন জেগেছে যোগ করেন তিনি।
সজীব ওয়াজেদ জয়কে পৃথিবীর অন্যতম কাম্পিউটার বিজ্ঞানী উল্লেখ করে তিনি বলেন, জয় হারভার্ড বিশ্ববিদ্যালযের গ্রাজুয়েট।তিনি বাংলাদেশর অহংকার। ডিজিটাল বাংলাদেশ এখন আর স্বপ্ন নয় বরং বাস্তাব।সেটা সজীব ওয়াজেদ জয়ের কাছ থেকেই এসেছে।বিএনপির নেতাদের তার সম্পর্কে কথা বলার আগে আ্য়নায় নিজেদের চেহারা দেখা উচিত।
বিএনপি নেতাদের হনুমানের রোগ হয়েছে উল্লেখ তরে হাছান মাহমুদ বলেন, শুধু ফখরুল নয় বিএনপির আরো অনেক নেতাই জয় সম্পর্কে মন্তব্য করেছেন।এই নেতাগুলোর কথা-বার্ত শুনলে মনে হয় তাদের ডিমেনসিয়া রোগ হয়েছে।এই রোগ মানুষ বুড়ো হলে তাদের হয়।শুধু বুড়ো মানুষেরই নয়, এটা হনুমান বুড়ো হলে তাদেরও হয়।অতএব তাদের হনুমানের রোগ হয়েছে।ড্যাবের চিকিৎকদের অনুরোধ করবো আপনাদের নেতাদের চিকিৎসা করান।
জয়কে নিয়ে এই মানহানিকর বক্তব্যের জন্য আওয়ামী লীগ থেকে মামলা করা হবে কিনা সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, শুধু ফখরুলই নয় তাদের আরো অনেক নেতাই জয়কে নিয়ে মানহানিকর মন্তব্য করেছেন। এই জন্য যে কেউ তার ব্যক্তিগত জায়গা থেকে মামলা করতে পারেন।
সংবাদ সম্মেলনে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, দলটির স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক ডা. বদিউজ্জামান ভূঁইয়া ডাবলু, ত্রাণ ও পুনর্বাসন বিষয়ক সম্পাদক ফরিদুর নাহার লাইলি, শিল্প বিষয়ক সম্পাদক আব্দুস সাত্তার, উপ-দপ্তর সম্পাদক অসিম কমার উকিল, সুজিত রায় নন্দি, এসএম কামাল হোসেন প্রমুখ।