উন্মুক্ত হচ্ছে শ্রমবাজার, সৌদি যেতে কমছে খরচ
প্রকাশিত হয়েছে : ৮:৪৮:২০,অপরাহ্ন ২৫ জানুয়ারি ২০১৫
নিউজ ডেস্ক::
সৌদি আরবে স্বল্প খরচে দক্ষ শ্রমশক্তি প্রেরণের প্রক্রিয়া শুরু হবে এবং শিগগিরই সৌদি শ্রমবাজার বাংলাদেশের জন্য উন্মুক্ত হবে বলে জানিয়েছেন প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রী খন্দকার মোশাররফ হোসেন। রোববার বেলা ১২টায় প্রবাসীকল্যাণ ভবনে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা জানান।
মন্ত্রী বলেন, ‘মন্ত্রণালয়ের নেতৃত্বে সম্প্রতি বাংলাদেশের উচ্চ পর্যায়ের প্রতিনিধি দল সপ্তাহব্যাপী সৌদি আরব সফর করেছে। কূটনৈতিক তৎপরতার অংশ হিসেবে সৌদি আরবের প্রতিনিধি দলের সঙ্গে অভিবাসন বিষয়ে দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘সৌদি সরকার বাংলাদেশ থেকে দক্ষ শ্রমশক্তি গ্রহণে আগ্রহ প্রকাশ করেছে। এ জন্য আমাদের দেশে অভিবাসন ব্যয় যতোটা সম্ভব কমিয়ে আনতে তারা পরামর্শ দিয়েছে। এছাড়া অতিদ্রুত সৌদি শ্রমবাজার বাংলাদেশের জন্য উন্মুক্ত করে দেয়ারও আগ্রহ প্রকাশ করেছে তারা। এই লক্ষ্যে মন্ত্রণালয় কাজ করে যাচ্ছে।’
সৌদি আরব যেতে মোট কতো টাকা খরচ হবে, সেটা নির্দিষ্ট করে না বললেও মন্ত্রী জানান, পাসপোর্ট, রিক্রুটিং এজেন্সির ফি এবং ঢাকায় আসতে-যেতে হাত খরচা বাবদ ১৫ থেকে ২০ হাজার টাকা খরচ হবে। আর সৌদি আরবে যাওয়া-আসার বিমান ভাড়া, মেডিকেল টেস্ট বাবদ যাবতীয় খরচ চাকরিদাতা প্রতিষ্ঠান বহন করবে। এই বিষয়গুলো এখনো নির্ধারণ করা হয়নি। এ বিষয়ে আমাদের টেকনিক্যাল টিম কাজ করছে। সৌদি থেকেও টেকনিক্যাল টিম আসবে। সৌদি আরবের মতো অন্যান্য দেশের ক্ষেত্রেও অভিবাসন ব্যয় কমিয়ে আনা হবে বলেও প্রত্যাশা করেছেন মন্ত্রী।
মন্ত্রী বলেন, ‘অতিরিক্ত অভিবাসন ব্যয়ের কারণে আমাদের দেশের মানুষ বিদেশে গিয়ে একাধিক চাকরি করে। অনেক ক্ষেত্রে নানা অনৈতিক কার্যক্রমে লিপ্ত হয়ে মামলায় জড়িয়ে পড়ে। সৌদি আদালতে প্রায় ২০ থেকে ২৫ হাজার বাংলাদেশির বিরুদ্ধে মামলা ছিল। সৌদি সরকারের সহযোগিতায় সেগুলো কমিয়ে আনা সম্ভব হয়েছে। এখন আর মাত্র ২ থেকে ৩ হাজার মামলা রয়েছে। আশা করি সেগুলোও নিষ্পত্তি করা সম্ভব হবে।’
বাংলাদেশ থেকে কর্মী নিয়োগ প্রক্রিয়া এবং কর্মীদের কল্যাণ নিশ্চিতকল্পে উভয়পক্ষের প্রতিনিধি দলের সমন্বয়ে একটি জয়েন্ট কনসাল্টেটিভ কমিটি গঠনের বিষয়ে সভায় ঐক্যমত হয় বলেও জানায় প্রবাসীকল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রী।
এছাড়া সৌদি আরবে সব সেক্টরে কর্মী নিয়োগ, নূন্যতম অভিবাসন ব্যয়, অভিবাসীদের স্বচ্ছতা নিশ্চিতকরণসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে বলেও জানা যায়। তবে ভিসা ট্রেডিংয়ের বিষয়টি বিশেষভাবে গুরুত্ব পেয়েছে। সভায় সিদ্ধান্ত নেয়া হয়, ভিসা ট্রেডিংয়ে জড়িত হলে যে কেউ সৌদি আইন অনুযায়ী ১৫ বছরের কারাদণ্ডে দণ্ডিত হবে।