উন্নয়ন-গণতন্ত্র বিকাশের লক্ষ্যে শিক্ষার বিকল্প নেই —দিরাইয়ে অর্থমন্ত্রী
প্রকাশিত হয়েছে : ১২:২০:০৪,অপরাহ্ন ২৯ মার্চ ২০১৫
নিউজ ডেস্ক :: অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আব্দুল মুহিত বলেছেন, উন্নয়ন ও গণতন্ত্র বিকাশের লক্ষ্যে শিক্ষার কোনো বিকল্প নেই। একটি জাতির অগ্রগতির প্রধান হাতিয়ার হচ্ছে শিক্ষা। এ জন্য জননেত্রী শেখ হাসিনার সরকার শিক্ষাকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিচ্ছে। এ লক্ষ্যে জাতীয় শিক্ষানীতি প্রনয়ন শিক্ষার্থীদের মধ্যে বিনামূল্যে তিন কোটি পাঠ্যপুস্তক বিতরণ করা হয়েছে। রোববার (২৯ মার্চ) দুপুর পৌনে দুইটায় সুনামগঞ্জের দিরাই উচ্চ বিদ্যালয়ের শতবর্ষ উদযাপন উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
অর্থমন্ত্রী আরো বলেন, জাতিকে শিক্ষিত করতে শিক্ষাবৃত্তি প্রচলন করে শিক্ষার্থীদের ঝরে পড়া রোধ করা হয়েছে। সভায় সভাপতিত্ব করেন আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক স্থায়ী কমিটির সভাপতি সুরঞ্জিত সেন গুপ্ত।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে সংস্কৃতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর বলেন, প্রকৃত শিক্ষায় শিক্ষিত মানুষ গড়ে তুলতে সরকার নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। দেশে যেমন বিদ্যালয়ের সংখ্যা বাড়ছে তেমনি শিক্ষার হারও বৃদ্ধি পাচ্ছে। এ সময় তিনি অভিভাবকদের উদ্দেশ্যে বলেন, জিপিএ-৫-এর প্রতিযোগিতায় না নেমে ছেলেমেয়েদের প্রকৃত শিক্ষায় শিক্ষিত করে তুলতে হবে।
তিনি আরো বলেন, দেশের শিক্ষা ও উন্নয়ন ব্যাহত করতে একটি মহল চক্রান্ত চালিয়ে যাচ্ছে। তারা পেট্রোল বোমা মেরে সাধারণ মানুষকে পুড়িয়ে মারছে। তাদের এ জঘণ্য কার্যকলাপ প্রতিহত করতে জনগণের প্রতি আহ্বান জানান তিনি।
অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন, সাবেক যুগ্ম সচিব ও বিদ্যালয়ের প্রাক্তন ছাত্র ডা. সৈয়দ উমর খৈয়াম।
অন্যান্যের মধ্যে আরো বক্তব্য রাখেন, বিচারপতি মিফতাহ উদ্দিন চৌধুরী, সুনামগঞ্জ-৪ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মতিউর রহমান, সুনামগঞ্জ-১ আসনের সংসদ সদস্য ইঞ্জিনিয়ার মোয়াজ্জেম হোসেন, রতন, সুনামগঞ্জ ও মৌলভীবাজার সংরক্ষিত আসনের সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট শামছুন নাহার বেগম, সুনামগঞ্জ জেলা পরিষদের প্রশাসক ব্যারিস্টার এম এনামুল কবির।
স্থানীয় বিএডিসি মাঠে আয়োজিত অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে আরো উপস্থিত ছিলেন, বিশিষ্ট মুক্তিযোদ্ধা ও প্রবীণ সাংবাদিক সালেহ চৌধুরী, সিলেট রেঞ্জের ডিআইজি মিজানুর রহমান, সুনামগঞ্জ জেলা প্রশাসক শেখ রফিকুল ইসলাম, পুলিশ সুপার মো. হারুণ অর রশীদ প্রমুখ। এর আগে বেলা সাড়ে ১১টায় শতবর্ষ উদযাপন উপলক্ষে দিরাই উচ্চ বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে নির্মিত স্মারক স্তম্ভ উদ্বোধন করেন অতিথিবৃন্দ।