ই-সেক্টর উন্নয়নে কাজ করবে ই-ক্যাব
প্রকাশিত হয়েছে : ১১:৫৮:০৯,অপরাহ্ন ০৮ নভেম্বর ২০১৪
ই-কমার্স সেক্টরের উন্নয়নে কাজ করার লক্ষ্য নিয়ে যাত্রা শুরু করলো ই-কমার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ই-ক্যাব)।
শনিবার জাতীয় প্রেসক্লাবে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে যাত্রা শুরুর ঘোষণা দেন ই-ক্যাবের সভাপতি রাজিব আহমেদ।
সম্মেলনে শিক্ষা সচিব নজরুল ইসলাম খান বলেন, ‘ই-কমার্সের মাধ্যমে আমাদের পণ্য সারাবিশ্বে ছড়িয়ে দেব। এ জন্য সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে। প্রকাশকদের আমি প্রথম বইগুলো ইলেকট্রনিক্যালি করার উদ্যোগ নিতে বলি। এতে একটি বই যদি ১০ টাকায় ৫ হাজার মানুষের কাছে বিক্রি হয় তাহলে অল্প হলেও অনেক আয় করা যায়। আগামীতে মোবাইল অ্যাপস হবে আরেকটি বড় মার্কেট। তবে এজন্য আইটি এক্সপার্ট দরকার।’
তিনি জানান, পশ্চিমবঙ্গে বছরে ৩২ হাজার আইটি ইঞ্জিনিয়ার তৈরি হয় আর ভিয়েতনামে ৩৭ হাজার। অথচ আমাদের দেশে হয় মাত্র সাড়ে ৪ হাজার আইটি ইঞ্জিনিয়ার। ই-কমার্সে আমাদের দেশে ৩০ শতাংশ প্রবৃদ্ধি হয়। ঈদুল আজহায় ৪০ হাজার গরু-খাসি বিক্রি হয়েছে ই-কমার্সের মাধ্যমে। সুতরাং এ খাতের সম্ভাবনা আছে।’
সংগঠনের সভাপতি রাজিব আহমেদ বলেন, ‘আমরা ই-কমার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ই-ক্যাব) গঠনের সিদ্ধান্ত নিয়েছি সুন্দর একটি স্বপ্ন থেকে। আমরা এই খাতকে এমনভাবে দেখতে চাই যেখানে প্রতিটি গ্রামের মানুষ অনলাইনে তাদের পণ্য কেনাবেচা করবে।’
তিনি আরো বলেন, ‘আমাদের পর্যটন খাতে ই-কমার্সের ছোঁয়া লাগুক। আমরা চাই দেশের ৬৪টি জেলাতেই ই-কমার্স ছড়িয়ে পড়ুক। কয়েক কোটি লোক প্রতিদিন অনলাইনে ও মোবাইল ফোনের মাধ্যমে কেনাকাটা করবে। ই-কমার্সে বাংলাদেশে কয়েক বিলিয়ন ডলারের বাজার রয়েছে। দেশের ৬৪টি জেলার বিখ্যাত পণ্যসমূহ অনলাইন শপিং সাইটের মাধ্যমে চলে যাচ্ছে সারাবিশ্বে।
বাংলাদেশে ই-কমার্সের সম্ভাবনা অত্যন্ত উজ্জ্বল। আগামী ১০ বছরের মধ্যে এই সেক্টরটি হবে মোবাইল খাত কিংবা গার্মেন্টস খাতের চেয়ে বড়। এই মুহূর্তে যারা অনলাইনে কেনাবেচা করছেন তাদের অনেক সমস্যা মোকাবেলা করতে হচ্ছে।’
সংবাদ সম্মেলনে আরো উপস্থিত ছিলেন কমিটির সহ-সভাপতি সৈয়দা গুলশান ফেরদৌস, সাধারণ সম্পাদক মো. আব্দুল ওয়াহেদ তমাল, যুগ্ম-সম্পাদক মীর শাহেদ আলী, অর্থ সম্পাদক মোহাম্মদ আব্দুল হক, ডিরেক্টর (গভর্মেন্ট অ্যাফেয়ার্স) রেজওয়ানুল হক জামী, ডিরেক্টর (কর্পোরেট অ্যাফেয়ার্স) সেজান সামস।