ইসির ডাকে সারা দিলোনা সাংবাদিকরা
প্রকাশিত হয়েছে : ২:৪৫:৪৯,অপরাহ্ন ১১ জুন ২০১৫
নিউজ ডেস্ক::
ঢাকা (উত্তর-দক্ষিণ) সিটি করপোরেশন নির্বাচনে সাংবাদিক নাজেহাল ও হয়রানির ঘটনার অধিকতর তদন্তের স্বার্থে পুলিশ, নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও প্রিসাইডিং, সহকারী প্রিসাইডিং অফিসার ও ভোটগ্রহণ কর্মকর্তা ও সাংবাদিকদের উপস্থিতিতে মুখোমুখি শুনানির ব্যবস্থা করে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। কিন্তু আজ বৃহস্পতিবার শুনানিতে কয়েকজন ভোট গ্রহণ কর্মকর্তা উপস্থিত থাকলেও কোন সাংবাদিক শেষ পর্যন্ত উপস্থিত হন নি।
রাজধানীর সেগুনবাগিচার বিভাগীয় কমিশনারের কার্যালয়ে বৃহস্পতিবার বেলা ১১টায় শুনানি অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিলো এ শুনানি।
এর আগে গত ২ জুন সকাল ১১টায় সাংবাদিকদের কথা শোনেন তদন্ত কমিটি। ওই দিন সাংবাদিক জিলফুল মুরাদ, মোশতাহ আহমেদ, মাহবুবুল হক ভুঁইয়া, এম এ মামুন, শুভঙ্কর কর্মকার, অমিতোষ পাল, ওবায়েদ অংশুমান, হুমায়ুন কবির ও সুজয় মহাজন অংশ নিয়েছিলেন। ওইদিন সাংবাদিকরা তদন্ত কমিটিকে জানিয়েছেন, ভোট গ্রহণের দিন কয়েকটি কেন্দ্রে খবর সংগ্রহ করতে গেলে তারা বাধার সম্মুখীন এবং নাজেহালের শিকার হন।
অভিযোগের প্রেক্ষেতি দশ সাংবাদিককে বৃহস্পতিবারের মুখোমুখি শুনানিতে অংশ নেওয়ার জন্য চিঠি দেয় ইসি এবং তাদরে শুনানিতে অংশ নেওয়ার কথা ছিল। কিন্তু তাদের কেউ-ই আসেনি। এতে ক্ষোভ প্রকাশ করেন তদন্ত কমিটি সদস্য ও ভোটগ্রহণ কর্মকর্তারা।
তদন্ত কমিটির সদস্য ও নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের উপ-সচিব মোহাম্মদ আবদুল অদুদ বলেন, ‘সাংবাদিকদের অভিযোগগুলো অধিকতর তদন্তের স্বার্থে উভয়পক্ষের উপস্থিতিতে বক্তব্য শোনার জন্য ডাকা হয়েছিল। ভোটগ্রহণ ও পুলিশ কর্মকর্তাসহ সংশ্লিষ্টারা উপস্থিত হলেও সাংবাদিকদের কেউ-ই আসেনি। এটা দুঃখ জনক।’
তিনি বলেন, ‘মুখোমুখি বক্তব্য শোনা গেলে প্রকৃত চিত্র জানতে পারতাম। মুখোমুখ না হওয়ায় প্রকৃত ঘটনা উদঘাটন করাটা বেশ কঠিন। ক্ষোভ প্রকাশ করে তিনি বলেন, ‘এতগুলো মানুষ আসতে পারলেন, কিন্তু সাংবাদিকরা একজনও আসতে পারলেন না।এটা হয় নাকি? শুধু শুধু এতগুলো মানুষকে হয়রানী করা হলো। এরাও তো কাজের মানুষ।’
ইসির সহাকারী সচিব রওশন আরা বলেন, ‘সকালে বেশ কয়েকজন সাংবাদিক শুনানি অংশ নেওয়ার জন্য ফোন করলেও বৃষ্টির কারণে আসতে পারছেন না বলে জানিয়েছেন।
শুনানিতে অংশ না নেওয়ার বিষয়ে প্রথম আলোর নিজস্ব প্রতিবেদক ও হয়রানীর শিকার হওয়া সাংবাদিক সুজয় মহাজন বলেন, ‘প্রাকৃতিক দুযোগ ও অফিসের এ্যাসাইমেন্ট থাকার কারণে শুনানিতে অংশ নিতে পারেনি। অন্য কোনো কারণ নেই।
তবে নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক সাংবাদিক বলেন, শুনানিতে গিয়ে কি হবে। প্রকাশ্যে সাংবাদিকদের হয়রানি করা হলেও পুলিশ, ভোটগ্রহণ কর্মকর্তারা বলছেন তাদের কেন্দ্রে কোনো ধরনের হয়রানির ঘটনা ঘটেনি। শুনানিতে গিয়ে শুধু বিব্রতকর পরিস্থিতিতে পড়া ছাড়া অন্য কোনো লাভ নেই।’