ইংল্যান্ডকে ৯ উইকেটে হারাল শ্রীলংকা
প্রকাশিত হয়েছে : ৭:৩২:২৪,অপরাহ্ন ০১ মার্চ ২০১৫
স্পোর্টস ডেস্ক :: বিশ্বকাপ আসরের কোয়ার্টার ফাইনালে খেলার জন্য শ্রীলংকার বিপক্ষে জয় খুবই প্রয়োজন ছিল ইংল্যান্ডের। একইভাবে জয়ের ধারায় ফেরা শ্রীলংকার তাড়না ছিল ধারাবাহিকতা ধরে রাখার। শেষ পর্যন্ত বিজয়ীর হাসি হাসল লংকানরাই। ১ উইকেট হারিয়েই ইংল্যান্ডের ছুঁড়ে দেয়া ৩১০ রানের লক্ষ্যে পৌছে যায় অ্যাঞ্জেলো ম্যাথুসের দল।
ওয়েলিংটনের ওয়েস্টপ্যাক স্টেডিয়ামে টসে জিতে প্রথমে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেয় ইংলিশরা। শ্রীলংকার বিপক্ষে ব্যাটিংটা ভালোই করেছিল এউইন মরগানের দল। শুরু থেকেই ইংল্যান্ডের ওপেনাররা ছিলেন ইতিবাচক মানসিকতায়। আক্রমণাত্মক ব্যাটিংয়ে ৯.১ ওভারেই ৬২ রান তোলে মইন আলি ও ইয়ান বেল। এরপর একটা ছোটো-খাটো ধস নামে ইংল্যান্ডের ব্যাটিং অর্ডারে। ৩৯ রানের ব্যবধানে ৩ উইকেটের পতন হয়। বিপর্যয় সামাল দেয় এউইন মরগান-জো রুট জুটি। ১৪.১ ওভারে ৬০ রান তোলে এ জুটি। তবে ইংল্যান্ডকে বড় সংগ্রহের দিকে এগিয়ে নিয়ে যায় জেমস টেলর ও জো রুটের পঞ্চম উইকেট জুটি। এই জুটিতে আসে ৯৮ রান। হেরাথের বলে এলবিডব্লিউ হওয়ার আগে ইংলিশদের পক্ষে সর্বোচ্চ ১২১ রান করেন রুট। ওয়ানডেতে এটিই তার সেরা ইনিংস। ১০৮ বলে করা দুর্দান্ত ইনিংসটিতে ছিল ১৪ চার ও ২টি ছয়ের মার। বিশ্বকাপে ইংল্যান্ডের পক্ষে সবচেয়ে কম বয়সে সেঞ্চুরি করার কৃতিত্বও এখন রুটের। শেষের দিকে জস বাটলারের ১৯ বলে ৩৯ রানের ঝড়ো ইনিংসে ৩০০ রানের কোটা পার করে ইংলিশরা। শেষ ৭ ওভারে ওঠে ৯০ রান। নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৬ উইকেট হারিয়ে ৩০৯ রান করে দলটি। শ্রীলংকার ছয় বোলারই উইকেট পেয়েছেন। মালিঙ্গা, লাকমল, ম্যাথুস, দিলশান, হেরাথ ও পেরেরা প্রত্যেকে একটি করে উইকেট নেন।
ব্যাটিংয়ে পাল্টা জবাবটিও দারুণ দিয়েছে লংকানরা। এশিয়ার সিংহদের ভালো শুরু এনে দেন লাহিরু থিরিমান্নে ও তিলকরত্নে দিলশান। ওপেনিং জুটিতে ওঠে ১০০ রান। মঈন আলীর বলে মরগানের হাতে ধরা পড়ার আগে দিলশানের সংগ্রহ করেন ৪৪ রান। তবে থেমে থাকেননি থিরিমান্নে। কুমার সাঙ্গাকারাকে সঙ্গে করে গড়ে তোলেন ২১২ রানের অবিচ্ছিন্ন এক জুটি। থিরিমান্নে সাবধানী ব্যাটিং করলেও ইংল্যান্ডের বোলারদের আক্রমণাত্মক ব্যাটিং উপহার দেন সাঙ্গাকারা। মাত্র ৮৬ বলে ১১৭ রান করেন এ বাঁ-হাতি ব্যাটসম্যান। এতে ছিল ১১টি চার ও ২টি ছয়। অন্যপ্রান্তে থিরিমান্নেও পেয়েছেন সেঞ্চুরির দেখা। ১৪৩ বলে ১৩৯ রান করেন তিনি। দুরন্ত ইনিংসটি তিনি সাজিয়েছেন ১৩টি চার ও ২টি ছক্কায়। এই অবিচ্ছিন্ন দ্বিতীয় উইকেট জুটির বদৌলতে ১৬ বল বাকি থাকতেই জয়ের বন্দরে পৌছে যায় শ্রীলংকা।
প্লেয়ার অব দ্যা ম্যাচ হয়েছেন কুমার সাঙ্গাকারা।