আসামের ভেতর অপদখলীয় ভূমি বাংলাদেশকে দিয়ে দিতে হবে : মোদি
প্রকাশিত হয়েছে : ৩:৫৫:১২,অপরাহ্ন ৩০ নভেম্বর ২০১৪
আন্তর্জাতিক ডেস্ক::
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বলেছেন, বাংলাদেশে থেকে ‘অবৈধ অভিবাসন’ বন্ধ করার লক্ষ্যেই তিনি ঢাকার সঙ্গে সীমান্তে ভূমি বিনিময় চুক্তি কার্যকর করবেন।
আসামে রবিবার তার দল বিজেপির এক কর্মী সভায় ভাষণে তিনি বলেন, এটি করলেই আসামে অনুপ্রবেশ সমস্যার স্থায়ী সমাধান করা সম্ভব হবে।
মোদি বলেন, ‘এই ভূমি বিনিময় চুক্তি নিয়ে আসামের মানুষের মনোভাব আমি জানি। আমি আপনাদের আশ্বস্ত করছি আসামের নিরাপত্তার সঙ্গে কোনো আপস করা হবে না। চুক্তি হলে তাৎক্ষণিক কিছু লোকসান হলেও, আখেরে আসাম লাভবান হবে।’
বাংলাদেশের সঙ্গে স্থলসীমা চুক্তি কার্যকর হলে, আসামের ভেতর অপদখলীয় কিছু ভূমি বাংলাদেশকে দিয়ে দিতে হবে। এ নিয়ে স্থানীয় বিজেপিসহ আসামের জাতীয়তাবাদী দলগুলোর মধ্যে তীব্র আপত্তি রয়েছে।
মোদি বলেন, ‘সরকার বাংলাদেশ থেকে অনুপ্রবেশের সমস্ত রাস্তা চিরতরে বন্ধ করে দেবে।’
দিল্লিতে আটকে গেছে চুক্তি
ভারতের কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা বাংলাদেশের সঙ্গে স্থলসীমা চুক্তি অনুমোদন করার পর এখন ভারতীয় সংসদের উভয়কক্ষেই এ ব্যাপারে সংবিধানের সংশোধনী আনার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছে সরকার।
এই সংবিধান সংশোধনীটি পাস করানো গেলেই ছিটমহল ও অপদখলীয় ভূমির বিনিময় করতে পারবে ভারত আর বাংলাদেশ।
প্রস্তাবিত স্থলসীমা বিনিময় চুক্তি কার্যকর করা হলে ভারত এবং বাংলাদেশ ছিটমহল ও অপদখলীয় ভূমিগুলির বিনিময় করতে পারবে।
ভারত আর বাংলাদেশের মোট ১৬২টি ছিটমহল বিনিময় সম্ভব হবে। এর জন্য ভারতকে ১৭ হাজারের কিছু বেশি একর জমি বাংলাদেশকে দিতে হবে, আর ভারত পাবে ৭ হাজার একরের একটু বেশি জমি।
অপদখলীয় ভূমিগুলোও বিনিময় করা হবে, যার ফলে ভারত প্রায় ২৮০০ একর জমি পাবে আর বাংলাদেশকে দিতে হবে ২২৬০ একরের মত জমি।
প্রয়াত ইন্দিরা গান্ধী ও শেখ মুজিবর রহমানের মধ্যে স্বাক্ষরিত চুক্তি অনুযায়ী এই বিনিময়ের কথা ছিল।
বাংলাদেশের সংসদ ওই চুক্তি অনুমোদন করে দিয়েছে বহু বছর আগে। কিন্তু ভারত বিগত চার দশকেও সেটি করে উঠতে পারেনি। চুক্তি অনুমোদন করতে গেলে ভারতকে সংবিধান সংশোধন করতে হবে।
সূত্র: বিবিসি বাংলা।