আল-বদর নেতা কামারুজ্জামানের মৃত্যুদণ্ড বহাল
প্রকাশিত হয়েছে : ১০:৩৬:২২,অপরাহ্ন ০৩ নভেম্বর ২০১৪
একাত্তরের মানবতাবিরোধী অপরাধে আন্তর্জাতিক অপরাধে মৃত্যুদণ্ডাদেশ পাওয়া জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মোহাম্মদ কামারুজ্জামানের আপিলের চূড়ান্ত রায়ে ফাঁসির আদেশ দিয়েছেন আপিল বিভাগ।
সোমবার সকাল ৯টা ১০ মিনিটে বিচারপতি এসকে সিনহার নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগের ৪ বিচারপতির বেঞ্চ সংখ্যাগরিষ্ঠ বিচারপতির মতামতের ভিত্তিতে এ রায় ঘোষণা করেন।
বেঞ্চের অপর তিন বিচারপতি হলেন বিচারপতি মো. আবদুল ওয়াহ্হাব মিঞা, বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী ও বিচারপতি এ এইচ এম শামসুদ্দিন চৌধুরী।
সোমবার আপিল বিভাগের দৈনন্দিন কার্যতালিকার ১ নম্বরে কামারুজ্জামানের মামলাটি রায়ের জন্য অন্তর্ভুক্ত করা হয়। আপিলে কামারুজ্জামানের বিরুদ্ধে সোহাগপুরে গণহত্যার অভিযোগে ট্রাইব্যুনালের দেওয়ার ফাঁসির আদেশ সর্বসম্মতিক্রমে বহাল রাখা হয়।
রায় ঘোষণার সময় আদালতে কামারুজ্জামানের পক্ষে অ্যাডভোকেট খন্দকার মাহবুব হোসেন, অ্যাডভোকেট তাজুল ইসলাম, অ্যাডভোকেট এস এম শাহজাহান, অ্যাডভোকেট সাইফুর রহমান, ব্যারিস্টার ইমরান সিদ্দিকী, এহসান সিদ্দিকী, অ্যাডভোকেট আসাদ উদ্দিন উপস্থিত ছিলেন।
রাষ্ট্রপক্ষে অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম, অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল মুরাদ রেজা, ট্রাইব্যুনালের রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী তুরিন আফরোজসহ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
এটি মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলার আপিলের তৃতীয় চূড়ান্ত রায়।
এর আগে গত ১৭ সেপ্টেম্বর জামায়াতের নায়েবে আমির মাওলানা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীকে আমৃত্য কারাদণ্ডের আদেশ দেন আপিল বিভাগ।
গত বছরের ১২ ডিসেম্বর রাতে আপিলের রায়ে জামায়াতের আরেক সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল কাদের মোল্লার ফাঁসি কার্যকর করা হয়।
এর আগে রোববার বিকালে সুপ্রিমকোর্টের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার এস এম কুদ্দুস জামান গণমাধ্যমকে কামারুজ্জানের মামলার রায় আজ সোমবার দেয়া হবে বলে নিশ্চিত করেন।
গত ১৭ সেপ্টেম্বর উভয় পক্ষের যুক্তি উপস্থাপন শেষে কামারুজ্জামানের মামলাটি রায়ের জন্য অপেক্ষমাণ রাখা হয়।
আপিল শুনানিতে যুক্তি উপস্থাপন শেষে অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম দাবি করেন, ট্রাইব্যুনালে যে পাঁচটি অভিযোগে কামারুজ্জামান দোষী সাব্যস্ত হয়েছিলেন, এর প্রতিটি অভিযোগ রাষ্ট্রপক্ষ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণ করতে পেরেছেন। এ জন্য আসামির সর্বোচ্চ সাজা মৃত্যুদণ্ড প্রাপ্য।
কামারুজ্জামানের আইনজীবী এস এম শাহজাহান দাবি করেন, নিজেদের আনা অভিযোগ রাষ্ট্রপক্ষ প্রমাণ করতে ব্যর্থ হয়েছে। তাই আসামির খালাসের আরজি জানানো হচ্ছে।
গত ১৮ মে থেকে কামরুজ্জামানের মামলার আপিল শুনানি শুরু হয়। মানবতাবিরোধী অপরাধে আপিল বিভাগে কামারুজ্জামানের মামলার শুনানির জন্য একটি বিশেষ বেঞ্চ গঠন করা হয়।
গত বছরের ৬ জুন ট্রাইব্যুনাল-২-এর দেওয়া ফাঁসির আদেশ থেকে খালাস চেয়ে আপিল করেন কামারুজ্জামান।
আপিলে ২৫৬৪টি মূল ডকুমেন্ট, ১২৪টি গ্রাউন্ডসহ মোট ১০৫ পৃষ্ঠার ডকুমেন্ট জমা দেওয়া হয়েছে।