আলী আহসান মুজাহিদের আপিলের শুনানি পেছালো
প্রকাশিত হয়েছে : ১২:৪১:১৯,অপরাহ্ন ১৪ জানুয়ারি ২০১৫
নিউজ ডেস্ক::
১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধকালীন মানবতাবিরোধী অপরাধে জাড়িত থাকার অভিযোগে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে দায়ের করা মামলায় জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল আলী আহসান মোহাম্মাদ মুজাহিদকে দেয়া মৃত্যুদন্ডাদেশের রায়ের বিরুদ্ধে আনা আপিল শুনানি পিছিয়ে গেল। বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার (এসকে) সিনহার নেতৃত্বে আপিল বিভাগের চার বিচারপতির বেঞ্চে মুজাহিদের আপিল (ক্রিমিনাল আপিল (এ) ১০৩ /২০১৩) শুনানির জন্য আজ বুধবার কার্যতালিকার ৪ নম্বরে রাখা হয়। আজ শুনানি শুরুর কথা থাকলেও আপিল বিভাগের ৪ বিচারপতির বেঞ্চ শুনানির দিন পিছিয়ে দিয়েছে। বেঞ্চের অপর বিচারপতিরা হচ্ছেন বিচারপতি মো. আব্দুল ওয়াহ্হাব মিঞা, বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী ও বিচারপতি এএইচএম শামসুদ্দিন চৌধুরী।
আদালতে মুজাহিদের পক্ষে সময় আবেদন করেন এডভোকেট অন রেকর্ড জয়নুল আবেদীন তুহিন। তিনি বলেন, সিনিয়র কাউন্সিল খন্দকার মাহবুব হোসেন আসতে পারেননি। তাই আমাদের সময়ের প্রয়োজন। আদালত তা মঞ্জুর করে ‘নট টুডে’ আদেশ দেন। এ ধরনের আদেশের পর কোনো মামলার পরবর্তী শুনানি নিভর করে কার্যতালিকায় উপর।
এর আগে গত ৩ ডিসেম্বর মুজাহিদের আপিল শুনানির জন্য আজ ১৪ জানয়ারি দিন ধার্য করে দেয় আপিল বিভাগ। আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে দেয়া মৃত্যুদন্ডাদেশের রায়ের বিরুদ্ধে খালাস চেয়ে ২০১৩ সালের ১১ আগস্ট সুপ্রিমকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় আপিল দায়ের করেন মুজাহিদ। মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে ২০১৩ সালের ১৭ জুলাই মুজাহিদকে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে মৃত্যুদন্ডাদেশের রায় দেয় ট্রাইব্যুনাল-২। আসামিপক্ষের আইনজীবী তাজুল ইসলাম বলেন, আপিলে আলী আহসান মোহাম্মাদ মুজাহিদকে খালাসের আরজি পেশ করা হয়েছে। ৯৫ পৃষ্ঠার মূল আপিলে খালাসের পক্ষে ১১৫টি যুক্তি তুলে ধরা হয়েছে। ৯৫ পৃষ্ঠার মূল আপিলের সঙ্গে তিন হাজার ৮০০ পৃষ্ঠার নথিপত্র জমা দেয়া হয়েছে। মুজাহিদের বিরুদ্ধে প্রসিকিউশনের আনীত ৭টি অভিযোগের মধ্যে ৫টি ট্রাইব্যুনালে সন্দেহাতীতভাবে প্রমানিত হওয়ায় তার মৃত্যুদন্ড দেয়া হয়।