‘আ’লীগের সব ফাঁস করে দিয়েছেন এইচটি ইমাম’
প্রকাশিত হয়েছে : ৯:১৩:৪৭,অপরাহ্ন ১৫ নভেম্বর ২০১৪
ডেস্ক রিপোর্ট:: আওয়ামী লীগের সভানেত্রীর রাজনৈতিক উপদেষ্টা এইচটি ইমামের বক্তব্যে আ’লীগের থলের বিড়াল বেরিয়ে আসছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
শনিবার দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবে মিলনায়তনে বাংলাদেশ সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদ আয়োজিত জাতীয় বিল্পব ও সংহতি দিবস উপলক্ষে শহীদ জিয়া গণতন্ত্র শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
এইচটি ইমামকে ধন্যবাদ জানিয়ে মির্জা ফখরুল বলেন, আওয়ামী লীগের মুখোশ উন্মোচিত করায় আপনাকে ধন্যবাদ জানাই। এইচটি ইমাম সব ফাঁস করে দিয়েছেন। ৫ জানুয়ারির নীল নকশার নির্বাচনের সব ষড়যন্ত্র ফাঁস করে দিয়েছেন। তার বক্তব্য তো সত্য।
প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানকে নিয়ে বক্তব্য দেওয়ায় প্রধানমন্ত্রীর ছেলে সজীব ওয়াজেরদ জয়কে ‘অর্বাচীন বালক’ হিসেবে অভিহিত করে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ‘জিয়াউর রহমান মুক্তিযোদ্ধা কিনা সে বিষয়ে প্রশ্ন তুলেছেন জয়। মুক্তিযুদ্ধের সময়ে জয়ের জন্ম। বয়স অনেক কম, অনেক ছোট। তার (জয়) কথার মন্তব্য করতে চাই না। কিন্তু তাদের নেতাদের মতোই বলতে চাই, জিয়াউর রহমানকে নিয়ে সে অর্বাচীন বালকের মতো কথা বলেছে।’
বিএনপিকে ‘রাজাকারদের দল’ আখ্যায়িত করে জিয়াউর রহমান বাংলাদেশের স্বাধীনতার চেতনায় বিশ্বাসী ছিলেন কি না-সে প্রশ্ন তোলেন সজীব ওয়াজেদ জয়।
ফখরুল বলেন, পাকিস্থাানী নিরাপত্তার তার জন্ম হয়েছে। তার পরে সে ভারতে টরে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে জয় বসবাস করছে। তাই ইতিহাস জেনে কথা বলা উচিৎ। অন্যথায় দেমের জনগণ তাকে মেনে নিবে না। লতিফ সিদ্দিকী বলেছে জয়কে ধল থেকে মাসে ২ লক্ষ ডলার দেয়া হয় এটি কি সত্য জাতি তা জানতে চায়।
তিনি বলেন, অতিতে আওয়ামী লীগ বাকশাল কায়েম করেছে। আবার দ্বিতীয়বার বাকশাল কায়েম করার ষড়যন্ত্র করছে। তারা যখনই ক্ষমতায় আসে তখনই জনগণের ওপর নির্যাতন করে সারা জীবন ক্ষমতায় থাকার চেষ্টা করে। কারণ তারা ক্ষমতায় এসে যে পরিমান অপশাসন ও দুর্নীতি করে তার শাস্তি থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য আবার ক্ষমতায় থাকার ষড়যন্ত্র করে।
বিএনপির এই মূখ পাত্র বলেন, আওয়ামী লীগ জনগণ থেকে বিছিন্ন। তারা জোর করে বন্দুক দিয়ে ক্ষমতায় টিকে থাকতে চায়। আমাদের হাতে অস্ত্র নেই। আমরা স্বসস্ত্র নই। জনগণই আমাদের একমাত্র শক্তি। জনগণকে সাথে নিয়ে দাবি আদায়ে সামনের দিকে অগ্রসর হচ্ছি।
তিনি আরো বলেন, হতাশ হওয়ার কারণ নেই। প্রভাত হবেই। সুদিন আসবেই। আমাদের আন্দোলন সফল হবেই। আমাদের দুর্বলতা ও ভুল থাকেতে পারে। জনগণের ভুল ও দুর্বলতা নেই। তারা একদিন জবাব দেবেই।
আয়োজক সংগঠনের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি রুহুল আমিন গাজীর সভাপতিত্বে আরো বক্তব্য রাখেন, ঢাকা বিশ^বিদ্যালয়ের সাবেক প্রো ভিসি আ ফ ম ইউসূফ হায়দার, বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা শামসুজ্জামান দুদু, ডা. জেড এম জাহিদ হোসেন, শিক্ষক-কর্মচারী ঐক্যজোটের সভাপতি অধ্যাক্ষ সেলিম ভূঁইয়া, শিক্ষক-কর্মচারী ঐক্যজোটের অতিরিক্ত মহাসচিব জাকির হোসেন, প্রোকৌশলী রিয়াজুল ইসলাম রিজু, বিশিষ্ট চলচিত্রকার চাষী নজরুল ইসলাম প্রমুখ।