আনতর্জাতিক ডেস্ক::
জঙ্গি সংগঠন ইসলামিক স্টেট (আইএসআইএস) আবারো এক মার্কিন স্বেচ্ছাকর্মীর শিরোচ্ছেদ করেছে। রোববার এক ভিডিও বার্তায় একথা দাবি করেছে সংগঠনটি। এবার খুন হওয়া মানুষটির নাম- আবদুল-রহমান ক্যাসিজ, যে ইসলাম ধর্ম গ্রহণের পূর্বে পিটার ক্যাসিজ নামে পরিচিত ছিল।
বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানায়, আইএসআইএস-এর রিলিজ করা ভিডিওতে দেখা যায়, মুখোশ পরা একজন জঙ্গি দাঁড়িয়ে আছে এবং তার পায়ের কাছে রক্তাক্ত দেহবিচ্ছিন্ন একটি মাথা পড়ে রয়েছে। ব্রিটিশ টানে ওই জঙ্গিকে ভিডিওটিতে বলতে শোনা যায়, ‘এই পিটার এডওয়ার্ড ক্যাসিজ একজন মার্কিন নাগরিক।’
এদিকে হোয়াইট হাউজ ভিডিওটি পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে এর সত্যতা খুঁজে পেয়েছে। এ তথ্য জানিয়েছেন হোয়াইট হাউজের এসোসিয়েট প্রেস কর্মকর্তা। প্রেসিডেন্ট ওবামা তাৎক্ষণিকভাবে এয়ার ফোর্স ওয়ান থেকেই এই খুনের তীব্র নিন্দা জানিয়ে এক বিবৃতি দিয়েছেন। নিজ বিবৃতিতে তিনি এই ঘটনাকে ‘একটি পুরোপুরি শয়তানি কাজ’ বলে আখ্যায়িত করেছেন।
হোয়াইট হাউজের নিশ্চিতকরণের আগে ক্যাসিজের পরিবার সাংবাদিকদের জানিয়েছিলো, তারা সরকারের স্বীকারোক্তির জন্য অপেক্ষা্ করবে।
এরপর রোববার সন্ধ্যায় হোয়াইট হাউজ কর্তৃপক্ষ নিশ্চিত করে, ভিডিওটিতে খুন হওয়া মানুষটি ক্যাসিজই। এরপরই তার পরিবারের পক্ষ থেকে আবারো এক বিবৃতিতে বলা হয়, আমাদের হৃদয় ভেঙ্গে গেছে। কিন্তু আমরা আমাদের সন্তানের জন্য গর্বিত। সে মানবতার জন্য নিজের জীবন উৎসর্গ করেছে। জীবনের শেষ দিন পর্যন্ত আমাদের কাজে আমরা আমাদের সন্তানকে বাঁচিয়ে রাখবো।
১৬ মিনিটের ওই ভিডিওটিতে এক সেনার শিরোচ্ছেদ করতেও দেখা যায়। সেখানে প্রেসিডেন্ট ওবামাকে ‘রোমের কুকুর’ আখ্যায়িত করে বলতে শোনা যায়- আজ আমরা বাশারের সেনার মাথা কাটছি এবং কাল আমরা তোমার সেনাদের মাথাও কাটবো।
প্রসঙ্গত, গত ৩ অক্টোবর আইএসআইএস প্রথম ক্যাসিজকে হত্যার হুমকি দেয়। ওই ভিডিওটিতে অপর এক পশ্চিমা স্বেচ্ছাসেবক অ্যালান হেনিংয়ের শিরোচ্ছেদ করতে দেখা যায়। মার্কিন সাংবাদিক জেমস ফলে এবং স্টিভেন সটলফ ও ব্রিটিশ স্বেচ্ছাসেবক ডেভিড হেনিসের শিরোচ্ছেদের ভিডিও ছাড়ার পর থেকেই এধরণের ভিডিওবার্তা সকলের কাছে পরিচিত হয়ে ওঠে।
এর আগে গত ১৯ আগস্ট ফ্রান্সের বার্তা সংস্থা এএফপি ও যুক্তরাষ্ট্রের গ্লোবাল পোস্টের সাংবাদিক জেমস ফলে’র শিরোচ্ছেদের ভিডিও প্রকাশ করে ইসলামিক স্টেট। সেসময় ‘এ মেসেজ টু আমেরিকা’ শিরোনামের ঐ ভিডিওটি সামাজিক যোগাযোগের একটি ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হয়। ওই ভিডিওটিতে জঙ্গিরা বলে, ইরাকে ইসলামিক স্টেটের বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের বিমান হামলার প্রতিশোধ হিসেবে ঐ সাংবাদিকের শিরোচ্ছেদ করা হয়েছে।