আখেরি মোনাজাতে বিশ্ব শান্তি কামনা
প্রকাশিত হয়েছে : ৭:২৭:৩২,অপরাহ্ন ১৮ জানুয়ারি ২০১৫
নিউজ ডেস্ক :: বিশ্ব মুসলিমের সুখ, শান্তি ও সমৃদ্ধি কামনার মধ্য দিয়ে শেষ হলো ৫০ তম বিশ্ব ইজতেমার ২য় পর্বের আখেরি মোনাজাত।
রোববার বেলা ১১টা ২২ মিনিটে মোনাজাত শুরু হয়। শেষ হয় ১১টা ৫৫ মিনিটে। মোনাজাত পরিচালনা করছেন ভারতের দিল্লি জামে মসজিদের ইমাম মাওলানা সা’দ।
এই সময়ে তুরাগ তীরে এক অভিনব দৃশ্যের অবতারণা হয়। আমিন আমিন ধ্বনিতে মুখরিত হয়ে ওঠে পুরো ইজতেমা ময়দান। মোনাজাতে বিশ্ব মুসলিমের সুখ, শান্তি ও সমৃদ্ধি কামনা করা হয়। সেই সঙ্গে বাংলাদেশের জন্যও দোয়া করা হয়।
২য় পর্বের আখেরি মোনাজাতের আগে চলে হেদায়েতি বয়ান। এ বয়ানে তাবলিগ জামাতের ৬টি উসুল নিয়ে আলোচনা করা হয়।
বিশ্ব ইজতেমার প্রথম পর্ব শুরু হয়েছিল ৯ জানুয়ারি। ১১ জানুয়ারি আখেরি মোনাজাতের মধ্য দিয়ে তা শেষ হয়। দ্বিতীয় ও শেষ পর্বের বিশ্ব ইজতেমা শুরু হয় ১৬ জানুয়ারি।
বিশ্বের ৮০টি দেশের ৪হাজার ৫৭৪ জন বিদেশি মেহমানসহ কয়েক লাখ মানুষ এই আখেরি মোনাজাতে অংশগ্রহণ করেন। কয়েকটি স্যাটেলাইট টেলিভিশনে সরাসরি মোনাজাত সম্প্রচারের ফলে বিশ্বের কোটি কোটি মানুষ পরোক্ষভাবে মোনাজাতে শরিক হতে পেরেছেন।
এদিকে বিশ্ব ইজতেমার আখেরি মোনাজাত উপলক্ষে ইজতেমা ময়দানসহ আশপাশ এলাকায় নেয়া হয়েছে কড়া নিরাপত্তা। ইজতেমা মাঠে প্রবেশের ১৭টি পথে ৫ স্তরের নিরাপত্তা তল্লাশি পেরিয়ে মুসল্লিদের মাঠে প্রবেশ করতে হয়। প্যান্ডেলের ভেতর ও বাইরে মুসল্লিবেশে রয়েছে বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার প্রায় ১ হাজার সদস্য। ৫টি স্তরে নিরাপত্তা দিচ্ছেন আইনশৃংখলা বাহিনীর সদস্যরা। ইজতেমা ময়দানের সব প্রবেশপথে ক্লোজসার্কিট ক্যামেরা ও বিভিন্ন পয়েন্টে পর্যবেক্ষণ টাওয়ার স্থাপন করা হয়েছে।
ইজতেমার দ্বিতীয়পর্বের আখেরি মোনাজাতে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক, টঙ্গী-কালীগঞ্জ সড়ক, দুপুর পর্যন্ত যান চলাচল বন্ধ রয়েছে। এছাড়া যান চলাচল বন্ধের কারণে টঙ্গী ও আশপাশ এলাকায় কল-কারখানার মালিক কর্তৃপক্ষ বিশ্ব ইজতেমার জন্য ১ দিন কারখানা বন্ধ দিয়েছেন।
১৬ জানুয়ারি শুক্রবার আম বয়ান দিয়ে শুরু হয় দ্বিতীয় পর্বের ইজতেমা। হরতাল-অবরোধে প্রথম দিনে মুসুল্লিদের উপস্থিতি তুলনামূলক কম থাকলেও দ্বিতীয় দিন শনিবারেই জনসমুদ্রে পরিণত হয় টঙ্গীর তুরাগ তীরের ইজতেমা ময়দান ও এর আশপাশের এলাকা।
এরমধ্যে শনিবার সকালে হয়ে যাওয়া বৃষ্টিতে বিছানা ও কাপড় চোপড় ভিজে যায় অনেকের। মাঘের শীতে বেশ দুর্ভোগ পোহাতে হয় তাদের। দুর্ভোগ উপেক্ষা করেই মুসুল্লিরা যে যেভাবে পারছেন সেখানেই ইবাদতে ব্যস্ত সময় পার করেন তারা।
টঙ্গীর ইজতেমা ময়দান ছাড়াও আশপাশে প্যান্ডেলে জায়গা না পেয়ে নিজ উদ্যোগেই পলিথিন টানিয়ে ইজতেমায় শরিক হয়েছেন মুসল্লিরা।