অস্তিত্ব সংকটে সিলেট বিটিসিএল, লুট হচ্ছে সম্পদ
প্রকাশিত হয়েছে : ৪:১৯:০৯,অপরাহ্ন ০৩ মার্চ ২০১৯
নিউজ ডেস্ক:: এমনিতেই কমছে গ্রাহক। তার উপর লুট হচ্ছে সম্পদ। এ অবস্থায় দিন দিন অস্তিত্ব সংকটে পড়ছে বাংলাদেশ টেলিকমিউনিকেশন কোম্পানি লিমিটেড (বিটিসিএল) সিলেট অফিস। গত তিন মাসের মধ্যে বিটিসিএল সিলেট অঞ্চলের দুইটি কেন্দ্রে তিনবার চুরির ঘটনা ঘটেছে। কেন্দ্রগুলো থেকে চোরেরা নিয়ে গেছে ১২০টি মূল্যবান ড্রাই ব্যাটারি। ব্যাটারি চুরির কারণে বিঘ্নিত হচ্ছে টেলিকমিউনিকেশন সেবাও।
এর আগে সিলেট নগরীর ব্যস্ততম এলাকাগুলোর মাটির নিচ থেকে টেলিফোনের তার চুরির ঘটনাও ঘটেছে। রহস্যজনক এসব চুরির ঘটনার সাথে বিটিসিএল’র অসাধু লোকজন জড়িত থাকতে পারে বলে ধারণা করছেন অনেকে। এই সন্দেহ একেবারে উড়িয়ে দিচ্ছেন না সংশ্লিষ্টরাও।
বিটিসিএল সিলেট অফিস সূত্রে জানা যায়, গত ৩০ জানুয়ারি রাতে বিশ্বনাথ বিটিসিএল অফিসের জানালা ভেঙে ভেতরে প্রবেশ করে ওই অফিসের ৪৮টি ড্রাই ব্যাটারি নিয়ে যায় চোরেরা। এ ঘটনায় অফিসের ক্যাবল জয়েন্টার মফিজুর রহমান বিশ্বনাথ থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেন। এর ঠিক তিনদিন পর ২ ফেব্রুয়ারি রাতে বিটিসিএল সিলেট অঞ্চলের লালাবাজার অফিসে চুরির ঘটনা ঘটে।
চোরেরা একইভাবে জানালা ভেঙে ভেতরে প্রবেশ করে ৪৮টি ড্রাই ব্যাটারি নিয়ে যায়। এ ঘটনায় পরদিন সংশ্লিষ্ট থানায় জিডি করেন ওই অফিসের লাইনম্যান আবদুল আওয়াল চৌধুরী। এর ২-৩ মাস আগেও লালাবাজার অফিসে একইভাবে চুরির ঘটনা ঘটেছিল। ওই সময় চোরেরা নিয়ে গিয়েছিল আরও ২৪টি ব্যাটারি।
শুধু ব্যাটারি নয়, গত বছর সিলেট নগরীর ব্যস্ততম জিন্দাবাজার, বন্দরবাজার, আম্বরখান, নাইওরপুলসহ এলাকার মাটির নিচ থেকে টেলিফোনের তার চুরির ঘটনা ঘটে। তার চুরির ঘটনার পর বিকল হয়ে পড়ে সিলেট কয়েক হাজার টেলিফোন সংযোগ। ওই ঘটনায়ও থানায় মামলা হয়। কিন্তু চোরচক্রের কাউকেই সনাক্ত করা সম্ভব হয়নি।
সূত্র জানায়, এসব চুরির ঘটনার সাথে বিটিসিএল’র কিছু অসাধু লোকজন জড়িত রয়েছে। বিটিসিএল’র লোকজন ছাড়া মাটির নিচের তারের পকেট পয়েন্ট চিহ্নিত করা বা চুরি কোনটাই সম্ভব নয়।বিটিসিএল সিলেট অফিসের সহকারী প্রকৌশলী এজাজুল হক এজাজ জানান, জনবল সংকটের কারণে অনেক সময় বিটিসিএল অফিসগুলোর জিনিসপত্রের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা সম্ভব হচ্ছে না। এ সুযোগে চুরির ঘটনা ঘটছে।
সিলেট অফিসের উপ মহাব্যবস্থাপক আবুল বাশার খান বলেন, তার ও ব্যাটারি চুরির ঘটনায় থানায় লিখিত অভিযোগ দেয়া হয়েছে। কিন্তু এ ব্যাপারে পুলিশের ভূমিকা মোটেই সন্তোষজনক নয়। পুলিশ তৎপর হলে চোরাই মালামাল উদ্ধার এবং চোরদের গ্রেফতার করা সম্ভব হতো।
চুরির এসব ঘটনার সাথে বিটিসিএল’র কেউ জড়িত আছে কি-না এমন প্রশ্নের জবাবে আবুল বাশার বলেন, এ ব্যাপারে নিশ্চিত করে কিছু বলা যাচ্ছে না। পুলিশ সঠিক তদন্ত করলে এসব ঘটনার সাথে বিটিসিএল’র কেউ জড়িত থাকলে তাদেরকেও সনাক্ত করা সম্ভব হতো।