অস্ট্রেলিয়ার ভিসানীতি সহজ করার আহ্বান পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোমেন’র
প্রকাশিত হয়েছে : ৫:০৬:৩৭,অপরাহ্ন ১৩ মার্চ ২০১৯
নিউজ ডেস্ক:: অস্ট্রেলিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী সিনেটর মারিস পেইন বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেনকে অভিনন্দন জানিয়েছেন। আব্দুল মোমেনকে অভিনন্দন জানিয়ে অস্ট্রেলিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী প্রেরিত চিঠি পৌঁছে দিতে আজ মঙ্গলবার বিকেলে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর দপ্তরে তার সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন বাংলাদেশে নিযুক্ত হাইকমিশনার জুলিয়া নিবলেট।
সাক্ষাৎকালে পররাষ্ট্রমন্ত্রী অস্ট্রেলিয়ান হাইকমিশনারকে বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধানে সক্রিয় ভূমিকা পালন, জ্ঞানভিত্তিক যৌথ গবেষণা কার্যক্রম চালু ও দুইদেশের ব্যবসায়িক সম্পর্ক জোরদারের লক্ষ্যে সেদেশের ভ্রমণভিসা নীতি সহজীকরণের আহ্বান জানান।
মঙ্গলবার সন্ধ্যায় পররাষ্ট্রমন্ত্রণালয়ের সিনিয়র তথ্য কর্মকর্তা মো. তহিদুল ইসলাম সাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এতথ্য জানানো হয়েছে।অস্ট্রেলিয়ান হাইকমিশনার বাংলাদেশ ও অস্ট্রেলিয়ার মধ্যকার সম্পর্ককে উষ্ণ, দীর্ঘস্থায়ী এবং গঠনমূলক উল্লেখ করে দুই দেশের মধ্যে শিক্ষা, জ্বালানি সহযোগিতা এবং বাণিজ্য ও বিনিয়োগ সম্পর্ক সম্প্রসারণে গুরুত্বারূপ করেন। জুলিয়া নিবলেট বলেন, রোহিঙ্গা সংকটের মত চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় অস্ট্রেলিয়া বাংলাদেশের পাশে থাকবে।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন স্বাধীনতার পর থেকে বাংলাদেশকে অস্ট্রেলিয়ার মূল্যবান সমর্থন ও সহযোগিতা অব্যাহত রাখায় সে দেশের সরকারের প্রশংসা করেন। বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গাদের জন্য অস্ট্রেলিয়ার মানবিক সহায়তা করায় তিনি প্রশংসা করেন এবং রোহিঙ্গা সংকট সমাধানে অস্ট্রেলিয়ার সক্রিয় ভূমিকা প্রত্যাশা করেন।
অস্ট্রেলিয়ায় হাইকমিশনার বলেন, অস্ট্রেলিয়া মিয়ানমারে রোহিঙ্গাদের উপর নির্যাতনের অপরাধ যাচাইয়ের লক্ষ্যে জাতিসংঘের প্রকৃত সত্য উদঘাটন তদন্ত বিবেচনায় নিয়েছে এবং সেদেশ মিয়ানমারে রোহিঙ্গাদের উপর চলমান অমানবিক নির্যাতনের অবসান এবং নিজদেশে তাদেরকে ফেরত পাঠানোর জন্য উপযুক্ত পরিবেশ দেখতে চায়।
বাংলাদেশের শিক্ষার্থীদের জন্য অস্ট্রেলিয়ায় পড়াশোনার জন্য বৃত্তি প্রদানের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে পররাষ্ট্রমন্ত্রী সৃজনশীলতা ও মেধাকে কাজে লাগাতে উভয় দেশের মধ্যে যৌথ গবেষণার উদ্যোগ গ্রহণের অনুরোধ জানান। তিনি দু’দেশের মধ্যে ব্যবসায়িক সম্পর্ক বৃদ্ধির লক্ষ্যে অস্ট্রেলিয়ায় ভ্রমণভিসা নীতি সহজ করার উপর গুরুত্বারূপ করেন।