অবশেষে দেশে ফিরলেন লতিফ সিদ্দিকী
প্রকাশিত হয়েছে : ৯:৩০:১১,অপরাহ্ন ২৩ নভেম্বর ২০১৪
ঢাকা: ধর্মীয় বিষয় নিয়ে কটূক্তি করে মন্ত্রিত্ব ও আওয়ামী লীগের সদস্যপদ হারানোর পর অবশেষে দেশে ফিরলেন আবদুল লতিফ সিদ্দিকী। তার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা রয়েছে।
আজ রোববার রাত ৮.৪০ মিনিটের ভারতের এইটি ফ্লাইটে তিনি ঢাকার শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছান। বিমানবন্দরে তিনি ইমিগ্রেশন পুলিশের নজরদারিতে ছিলেন দীর্ঘ সময়। এরপর বিমানবন্দর থেকে বেরিয়ে যান।
বিমানবন্দর থেকে তিনি বের হয়ে ধানমন্ডির বাসায় অবস্থান করছে বলে সংবাদ সূত্রে জানা গেছে।
উল্লেখ্য, প্রধানমন্ত্রীর সাথে জাতিসংঘ অধিবেশনে যোগ দিতে নিউইর্য়ক সফরকালে গত ২৮ সেপ্টেম্বর একটি অনুষ্ঠানে অংশ নিয়ে সেসময়কার (বর্তমানে সাবেক) ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তিমন্ত্রী লতিফ সিদ্দিকী বলেন, আমি কিন্তু হজ আর তাবলিগ জামাতের ঘোরতর বিরোধী। আমি জামায়াতে ইসলামীরও বিরোধী। তবে তার চেয়েও হজ ও তাবলিগ জামাতের বেশি বিরোধী। এ হজে যে কত ম্যানপাওয়ার নষ্ট হয়। হজের জন্য ২০ লাখ লোক আজ সৌদি আরবে গিয়েছে। এদের কোনও কাম নাই। এদের কোনও প্রডাকশন নাই। শুধু রিডাকশন দিচ্ছে।
তিনি আরো বলেন, তাবলিগ জামাত প্রতি বছর ২০ লাখ লোকের জমায়েত করে। নিজেদের তো কোনও কাজ নেই। সারা দেশের গাড়িঘোড়া তারা বন্ধ করে দেয়।
এই বক্তব্যের পর মন্ত্রিসভা থেকে বহিষ্কার ও শাস্তির দাবি উঠে।
নানান সমালোচনার মধ্যে মন্ত্রিসভা থেকে বাদ দেওয়া হয় লতিফ সিদ্দিকীকে। ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্যের পদ থেকেও তাকে বাদ দেওয়া হয় এবং তার প্রাথমিক সদস্যপদ স্থগিত করা হয়।
এদিকে গত সপ্তাহে সরকারের একটি গোয়েন্দা সংস্থার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে যে, লতিফ সিদ্দিকীর দেশে ফেরার আগ্রহ জানতে পেরে তার ওপর আক্রমণসহ আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির চরম অবনতি হবে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করে সরকারকে অবহিত করেছে গোয়েন্দা সংস্থা।
গোয়েন্দা সংস্থার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দেশে এই মুহূর্তে কোনো আন্দোলন নেই। বিরোধী দলের হাতে তেমন কোনো ইস্যুও নেই। তাই লতিফ সিদ্দিকী দেশে ফিরলে বিরোধী দলগুলো জঙ্গী দলগুলোর সহায়তায় লতিফ সিদ্দিকীর ওপর হামলা চালাতে পারে। শুধু লতিফ সিদ্দিকীর ওপর হামলা নয়; এমনকি তার জীবননাশের ঘটনাও ঘটতে পারে।
গোয়েন্দা প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, দেশের বিভিন্ন স্থানে লতিফ সিদ্দিকীর নামে একাধিক মামলায় গ্রেফতারি পরোয়ানাও জারি হয়েছে। সে সব আদালতে হাজিরা দিতে গেলেও লতিফ সিদ্দিকী ধর্মীয় উগ্রবাদীদের হামলার শিকার হতে পারেন। এ ছাড়া ধর্মপ্রাণ মানুষ রাস্তায় নেমে এলে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতিরও চরম অবনতি হতে পারে।
এমন অবস্থার মধ্য দিয়ে তিনি দেশে ফিরলেন।