অনন্ত হত্যা মামলা : ‘গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দেওয়া’ ইদ্রিস রিমান্ড শেষে জেলহাজতে
প্রকাশিত হয়েছে : ৯:১৮:৪৯,অপরাহ্ন ১৫ জুন ২০১৫
নিউজ ডেস্ক :: ব্লগার অনন্ত বিজয় হত্যা মামলায় গ্রেফতারকৃত ফটো সাংবাদিক ইদ্রিস আলীকে সাত দিনের রিমান্ড শেষে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে। আজ সোমবার সিলেট মহানগর হাকিম আদালত-২ এর মাধ্যমে তাকে জেলহাজতে প্রেরণ করা হয়।
এরআগে রোববার রাতেই ইদ্রিস আলীকে ঢাকা থেকে সিলেটে নিয়ে আসা হয়।
সোমবার দুপুর ২টায় ইদ্রিস আলীকে মহানগর হাকিম আদারতে তোলা হলে হাকিম ফারহানা ইয়াসমিন তাকে জেল হাজতে প্রেরণের নির্দেশ দেন। তদন্তকারী কর্মকর্তাও নতুন করে রিমান্ড আবেদন করেন নি।
সাত দিনের রিমান্ডে ইদ্রিস আলীর কাছ থেকে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাওয়া গেছে বলে দাবি করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)। তাঁর দেওয়া তথ্যগুলো যাচাই-বাছাই করে দেখছেন তদন্তকারীরা।
তদন্তসংশ্লিষ্ট একাধিক সূত্র এই তথ্য জানিয়ে বলেছে, ইদ্রিস আলী প্রথমে ঘটনাস্থলে উপস্থিত থাকার ব্যাপারটি অস্বীকার করেন। পরে বলেন যে তিনি হত্যাকাণ্ডের পর ঘটনাস্থলে যান। তবে হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে তাঁর কোনো সম্পৃক্ততা নেই বলেও দাবি করেছেন তিনি।
স্থানীয় আলোকচিত্র সাংবাদিক ইদ্রিস আলীকে গ্রেপ্তারের পর গত সোমবার মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সিআইডির পরিদর্শক আরমান আলী সিলেটের আদালতে হাজির করে ১৫ দিনের রিমান্ড আবেদন করেন। আদালত সাত দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। সোমবার রাতেই সিলেট মহানগর পুলিশের একটি গাড়িতে ইদ্রিসকে ঢাকার সিআইডি কার্যালয়েনিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে রোববার বিকেল পর্যন্ত তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করেন সিআইডির কর্মকর্তারা।
সিআইডির বিশেষ সুপার (অর্গানাইজড ক্রাইম) মির্জা আবদুল্লাহেল বাকি বলেন, ‘তিনি জিজ্ঞাসাবাদে আমাদের বেশ কিছু তথ্য দিয়েছেন। এগুলোর সূত্র ধরে আমরা তদন্ত করছি।’
সিআইডি সূত্র জানায়, ইদ্রিস দাবি করেন, হত্যাকাণ্ডের পর তিনি ঘটনাস্থলে গিয়ে ছবি তুলেছেন। প্রথমে ভয়ে তা স্বীকার করেননি। সিলেটের দৈনিক ‘সবুজ সিলেট’-এ অনন্ত বিজয়ের একটি ছবি ছাপা হয়, যার ক্যাপশনে লেখা ছিল ‘ফেসবুক থেকে সংগৃহীত’। পরে গোয়েন্দারা ফেসবুকে ছবিটির কোন হদিস না পাওয়ায় ইদ্রিসকে সন্দেহ করেন।
এ ব্যাপারে ইদ্রিসকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হলে তিনি ঘটনাস্থলে যাননি বলে দাবি করেন। এরপর তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়। সিআইডির জিজ্ঞাসাবাদে ওই ছবির ব্যাপারেও কিছু তথ্য দিয়েছেন ইদ্রিস। সেসব তথ্যের সূত্র ধরে তথ্যপ্রযুক্তির মাধ্যমে তদন্ত চলছে।
প্রসঙ্গত, গত ১২ মে সকালে সিলেট নগরের সুবিদবাজারের বনকলাপাড়ায় পুকুরের পাশে চার দুর্বৃত্ত ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে মুক্তমনা লেখক ও ব্লগার অনন্ত বিজয় দাশকে হত্যা করে পরে টুইটার বার্তায় এই হত্যার দায় স্বীকার করে নেয় সম্প্রতি নিষিদ্ধ হওয়া আনসারুল্লাহ বাংলা টিম নামের জঙ্গি সংগঠকন। এ ঘটনায় সিলেট বিমানবন্দর থানায় হত্যা মামলা দায়ের হয়। এখন পর্যন্ত ইদ্রিস আলীই এই চাঞ্চল্যকর খুনের মামলায় গ্রেপ্তার হওয়া একমাত্র আসামি।