অগণতান্ত্রিক শক্তির বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ হোন
প্রকাশিত হয়েছে : ৮:০৭:৫২,অপরাহ্ন ০৫ ডিসেম্বর ২০১৪
নিউজ ডেস্ক::
অগণতান্ত্রিক অপশক্তির বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ হতে দেশবাসীর প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন বিএনপি চেয়াপারসন বেগম খালেদা জিয়া।
তিনি বলেন, ‘এই অপশক্তি সংবিধানের জনগণের মৌলিক অধিকার ক্রমাগতভাবে হরণ করে যাচ্ছে। এদের প্রতিহত করে গণতন্ত্রকে স্থায়ী রূপ দিতে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। আমি দেশবাসীকে সেই আহ্বান জানাই।’
৬ ডিসেম্বর ‘গণতন্ত্র মুক্তি দিবস’ উপলক্ষে শুক্রবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক বাণীতে তিনি এই আহ্বান জানান।
খালেদা জিয়া বলেন, ৫ জানুয়ারির নির্বাচনের মাধ্যমে জাতিকে একদলীয় নিষ্ঠুর শাসনের শৃঙ্খলে বন্দি করে নাগরিক স্বাধীনতাকে বিপন্ন করা হয়েছে। একদলীয় বাকশালী চেতনার দল ও আশির দশকের গণতন্ত্র হত্যাকারী স্বৈরাচার একত্রিত হয়ে দেশের সকল গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে ক্রমান্বয়ে ধংসস্তুপে পরিণত করছে।
দেশের গণতান্ত্রিক অগ্রযাত্রা বার বার হোঁচট খেয়েছে মন্তব্য করে বিএনপি প্রধান বলেন, এদেশের গণতন্ত্রপ্রিয় মানুষ সকল বাধাকে অতিক্রম করে গণতন্ত্রের পথচলাকে নির্বিঘ্ন করেছে। শত শহীদের রক্তের বিনিময়ে অর্জিত গণতন্ত্র এখনো শঙ্কামুক্ত নয়। বর্তমান শাসক গোষ্ঠির নিষ্ঠুর কর্তৃত্ববাদী আচরণে একদলীয় শাসনের চরিত্রগুলো ক্রমশ ফুটে উঠছে ।
৬ ডিসেম্বর ইতিহাসের এক অবিস্মরণীয় দিন উল্লেখ করে বিএনপি চেয়ারপারসনে বলেন, ১৯৯০ সালের এ দিনে দীর্ঘ নয় বছরের অগ্নিঝরা আন্দোলনের পর পতন ঘটেছিল সামরিক স্বৈরশাসক এরশাদের। স্বৈরশাসক এরশাদ ’৮২-এর ২৪ মার্চ পেশাগত বিশ্বস্ততা ও শপথ ভেঙে বন্দুকের নলের মুখে নির্বাচিত রাষ্ট্রপতি বিচারপতি সাত্তারকে ক্ষমতাচ্যুত করে সাংবিধানিক রাজনীতি স্তব্ধ করেছিল। কিন্তু ছাত্র-জনতার মিলিত সংগ্রামে স্বৈরাচারকে পরাজিত করে এ দিনে মুক্ত হয়েছিলো আমাদের গণতন্ত্র।
স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনে আত্মদানকারী বীর শহীদদের স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানান এবং তাদের রুহের মাগফিরাত কামনা করেন বিএনপি প্রধান।
অপর এক বাণীতে ৬ ডিসেম্বর স্বৈরাচার পতন দিবস উপলক্ষে দেশবাসীকে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানান দলটির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। দীর্ঘ নয় বছরের স্বৈরাচারবিরোধী ছাত্র-গণআন্দোলনে আত্মাহুতিদানকারী বীর শহীদদের স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা ও তাদের রুহের মাগফিরাত কামনা করেন তিনি।
মির্জা আলমগীর বলেন, ১৯৯০ সালের ৬ ডিসেম্বর স্বৈরাচার পতনের মধ্য দিয়ে আবারও বহুদলীয় গণতন্ত্রের পথচলা অর্জিত হয়েছিল। শুরু হয় সাংবিধানিক ধারাবাহিকতা।
তিনি বলেন, এই দিনে গণতন্ত্রের দুশমনেরা পরাজিত হলেও আজও তারা চুপ করে বসে নেই। বারবার অপশক্তিগুলো গণতন্ত্রকে বিপর্যস্ত করে আমাদের অগ্রগতিকে বাধাগ্রস্ত করতে চেয়েছে। কিন্তু এদেশের দেশপ্রেমিক জনগণ সে অপচেষ্টাকে শক্ত হাতে প্রতিহত করেছে সব সময়।
গণতন্ত্র এখন একদলীয় ফ্যাসিবাদের আক্রমনে আক্রান্ত-মন্তব্য করে তিনি বলেন, ক্ষমতাকে চিরস্থায়ী ও নিরঙ্কুশ করার জন্য আজ গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানগুলো ভেঙে ফেলার আয়োজন চলছে। অতীত থেকে শিক্ষা নিয়ে সম্মিলিত প্রচেষ্টার মাধ্যমে সে আয়োজন নস্যাৎ করে দিতে শপথ নেওয়ার আহ্বান জানান তিনি।