২ টাকা কেজি দরে চাল পাবে যৌনকর্মীরা
প্রকাশিত হয়েছে : ৬:৫৫:৩০,অপরাহ্ন ১৪ মার্চ ২০১৫
আন্তর্জাতিক ডেস্ক :: ভারতের পশ্চিমবঙ্গের কলকাতায় যৌনকর্মীদের জন্য দুই টাকা কেজি দরে চাল দেওয়ার প্রকল্প শুরু করেছে সেদেশের খাদ্য দফতর। জঙ্গলমহল, আইলায় ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা, সিঙ্গুরের অনিচ্ছুক চাষি, বন্ধ চা-বাগানের শ্রমিকদের মতো তিন কোটিরও বেশি মানুষের জন্য বছর চারেক ধরে যে প্রকল্প চালিয়ে আসছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার, এ বার সেই তালিকায় যোগ হলো যৌনকর্মীরাও।
এবার এই প্রকল্পের দৌলতে তৃণমূল কংগ্রেস নির্বাচনে যে রাজনৈতিক সুবিধা পেয়ে এসেছে, তাতে যৌনকর্মীদের আনার ফলেও তা আরও বাড়বে বলেই মনে করছেন শাসক দলের নেতারা। যৌনকর্মীদেরও যে এই প্রকল্পের আওতায় আনার পরিকল্পনা রয়েছে, আগেই সে কথা জানিয়েছিলেন পশ্চিমবঙ্গের খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক।
শহরের মুচিপাড়া এলাকার ২৭ জন যৌনকর্মীর হাতে এ দিন নতুন রেশন কার্ড এবং প্রতীকী চাল তুলে দেওয়া হয়। খাদ্য ভবনে এক অনুষ্ঠানে যৌনকর্মীদের হাতে এগুলি তুলে দেন রাজ্যের মন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায়, সাধন পাণ্ডে, গিয়াসউদ্দিন মোল্লারা।
রাজ্যের খাদ্যমন্ত্রী জানান, এরপর সোনাগাছি, চিত্পুর, কালীঘাট, বউবাজার-সহ কলকাতার অন্যান্য এলাকার যৌনকর্মীদেরও এই প্রকল্পের আওতায় আনা হবে। কলকাতা থেকে এই প্রকল্পের সূত্রপাত হলেও অদূর ভবিষ্যতেই তা রাজ্যের সর্বত্রই সম্প্রসারিত করা হবে বলে জানিয়েছেন জ্যোতিপ্রিয়বাবু।
সোনাগাছিতে প্রায় ১০ হাজার যৌনকর্মী রয়েছেন। তাঁদের এই প্রকল্পের আওতায় আনার জন্য সেখানে সমীক্ষার কাজ চলছে। পুজোর মধ্যেই কলকাতার যৌনকর্মীদের জন্য এ কাজ শেষ করা হবে বলেও জানান তিনি। দুর্বার মহিলা সমন্বয় কমিটির সচিব ভারতী দে অবশ্য বলেন, `বউবাজার এবং সোনাগাছি থেকে বেশ কয়েকজন অনুষ্ঠানে গিয়েও চাল পাননি৷ সরকার অনেক দিন আগেই এই প্রকল্প চালু করেছে৷ যতক্ষণ না আমরা এই প্রকল্পের পুরো সুযোগ পাচ্ছি, এ নিয়ে কিছু বলব না৷`
জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের বক্তব্য, এর আগে এঁদের কথা কেউ ভেবেছে? এই সরকারই এঁদের এই মর্যাদা দিলো। খাদ্য দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, কলকাতার ক্ষেত্রে কলকাতা পুরসভার স্বাস্থ্য দফতর এবং খাদ্য দফতরকে নিয়ে গঠিত টিম যৌনকর্মীদের তালিকা তৈরির কাজ চালাচ্ছে।
এই কাজে সাহায্য এবং পরামর্শ নেওয়া হচ্ছে যৌনকর্মীদের সংগঠনগুলিরও। এ দিনই মির্জা গালিব স্ট্রিটে খাদ্য ভবন চত্বরেই একটি নতুন ভবনের শিলান্যাস করেন সুব্রত মুখোপাধ্যায়। আট তলা ওই ভবন তৈরি করতে খরচ হবে প্রায় ৬০ কোটি টাকা। সেখানে থাকবে ১২৪টি গাড়ি রাখার ব্যবস্থাও। ১ লক্ষ ৪০ হাজার বর্গফুটের ওই ভবনটি তৈরি করবে পূর্ত দন্তর। সময় লাগবে আড়াই বছর।