স্কুলছাত্রীকে যৌনপল্লীতে বিক্রির চেষ্টা : আটক ১
প্রকাশিত হয়েছে : ৭:০৫:২১,অপরাহ্ন ১৪ এপ্রিল ২০১৫
নিউজ ডেস্ক :: রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ উপজেলার দৌলতদিয়া যৌনপল্লীতে বিক্রির চেষ্টাকালে এক স্কুলছাত্রীকে উদ্ধার করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় ফরিদুল ইসলাম (২৮) নামের একজনকে আটক করা হয়েছে।
সোমবার দুপুরে স্থানীয়দের কাছে খবর পেয়ে ওই যৌনপল্লীর প্রবেশপথ থেকে স্কুলছাত্রীকে উদ্ধার ও ফরিদুলকে আটক করা হয়। ফরিদুল কালুখালী উপজেলার মৃগী পাতুরিয়া গ্রামের মোবারক খানের ছেলে।
ওই ছাত্রী জানায়, খুলনায় একটি ওষুধ কোম্পানিতে বাবার চাকরির সুবাদে সপরিবারে তারা সেখানে থাকে। সে স্থানীয় একটি বিদ্যালয়ে নবম শ্রেণিতে পড়ে। সম্প্রতি আকাশ নামের এক সহপাঠীর সঙ্গে তার প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। এ নিয়ে গত শুক্রবার পরিবারের সদস্যরা তাকে বকাঝকা ও মারধর করেন। এতে অভিমানে করে সে পরদিন বাসে চড়ে ঢাকায় চলে আসে। গাবতলী টার্মিনালে সারাদিন বসে থাকার পর আকাশ নামের আরেক যুবকের সঙ্গে তার পরিচয় হয়। অসহায়ত্বের কথা শুনে তিনি ওই রাতে তাকে স্থানীয় এক বাসায় থাকতে দেন। সেখান থেকে রোববার সকালে চাকরির জন্য সাভারের নবীনগরে যাওয়ার পর তাকে হারিয়ে ফেলে সে।
সে আরও জানায়, পরে বিকেলে সেখানকার একটি বাস কাউন্টারের সামনে ফরিদুলের সঙ্গে তার পরিচয় হয়। তার সমস্যার কথা শোনার পর চাকরি দেয়ার আশ্বাস দিয়ে স্থানীয় এক বাসায় তাকে আটকে রাখেন তিনি। সোমবার দুপুরে তাকে দৌলতদিয়া ঘাটে নিয়ে একটি খাবারের হোটেলে বসিয়ে রাখে ফরিদুল। এরপর তাকে যৌনপল্লীতে বিক্রির চেষ্টা করতে থাকেন তিনি। বিষয়টি বুঝতে পেরে স্থানীয়দের কাছে সাহায্য চায় সে। পরে স্থানীয়দের কাছে খবর পেয়ে দৌলতদিয়া যৌনপল্লীর প্রবেশপথ থেকে তাকে উদ্ধার ও ফরিদুলকে আটক করে পুলিশ।
গোয়ালন্দঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) একেএম নাসির উল্লাহ জানান, স্কুলছাত্রীকে আটকে রাতে ধর্ষণের কথা স্বীকার করেছে ফরিদুল। এ ঘটনায় উপপরিদর্শক (এসআই) নাজমুল হুদা বাদী হয়ে মানবপাচার আইনে একটি মামলা করেছেন।