মেগা ফ্লাইওভারে বদলে যাচ্ছে ঢাকা
প্রকাশিত হয়েছে : ৭:০৯:২৬,অপরাহ্ন ২১ মার্চ ২০১৫
নিউজ ডেস্ক :: যানজট নিরসনের জন্য ঢাকার রাজপথের চেহারা পাল্টানো ছাড়া গত্যন্তর নেই। এমন উপলব্ধি থেকেই ঢাকায় ইতিমধ্যেই কয়েকটি বৃহৎ ফ্লাইওভার নির্মাণ হয়েছে। রাজধানীর যাত্রাবাড়ী ও কুড়িলে ফ্লাইওভার চালু হওয়ায় বদলে গেছে এই এলাকার যান চলাচলের ধারা। মিরপুরের সঙ্গে এয়ারপোর্ট রোডের সংযোগ এনেছে নতুন মাত্রা। কমেছে যানজট। আশা করা হচ্ছে মৌচাক-মগবাজার ফ্লাইওভার চালু হলে কমবে জনদুর্ভোগ।
শুধু এটাই নয়, ঢাকা ও ঢাকার বাইরে সরকারের পরিকল্পনায় আছে আরও নতুন নতুন ফ্লাইওভার। এর মধ্যে সবচেয়ে বড় ফ্লাইওভার হবে ঢাকার শান্তিনগর থেকে মাওয়া পর্যন্ত। এছাড়া পরিকল্পনায় আছে গাবতলী থেকে আজিমপুর পর্যন্ত একটি এবং গোলাপশাহ মাজার থেকে বাবুবাজার পর্যন্ত আরেকটি।
গাজীপুরের চৌরাস্তা থেকে বিমানবন্দর ও বিমানবন্দর থেকে বারিধারায় আরও দুটি ফ্লাইওভারের পরিকল্পনাও আছে। এর বাইরে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে হবে চার লেনবিশিষ্ট নতুন ফ্লাইওভার। ফ্লাইওভারের পরিকল্পনার বাইরে উত্তরা থেকে মিরপুর হয়ে মতিঝিল পর্যন্ত মেট্রোরেল প্রকল্প ও এয়ারপোর্ট থেকে যাত্রাবাড়ী পর্যন্ত এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে নির্মাণের পরিকল্পনা বাস্তবায়নেও আগ্রহী সরকার।
জানা যায়, রাজধানীবাসীর স্বচ্ছন্দ যোগাযোগ নিশ্চিত করতে নতুন এক পরিকল্পনা বাস্তবায়নে জোর দিচ্ছে সরকার। দেশের দীর্ঘতম ফ্লাইওভার নির্মাণের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। বাস্তবায়নাধীন পদ্মা সেতুর সঙ্গে ঢাকার সহজ সংযোগ স্থাপন এবং নতুন শহর ঝিলমিলকে মূল ঢাকার সঙ্গে যুক্ত রাখতে রাজধানীর জিরো পয়েন্ট থেকে মাওয়া রোড (রাজউকের ঝিলমিল আবাসিক প্রকল্প এলাকা) পর্যন্ত একটি ফ্লাইওভার নির্মাণ করা হচ্ছে। এ ফ্লাইওভার প্রকল্পের সম্ভাব্যতা যাচাই, জরিপ, সম্ভাব্য ব্যয় এবং নির্মাণের সময়কাল মোটামুটি ঠিক করে ফেলেছে সরকার। প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করা হবে পাবলিক প্রাইভেট পার্টনারশিপের (পিপিপি) আওতায়।
তবে বিদেশি কোনো বিনিয়োগকারী সংস্থা পেলে তাও কাজে লাগাবে সরকার। ইতিমধ্যেই প্রকল্পে নীতিগত অনুমোদন দিয়েছে অর্থনৈতিক বিষয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি। প্রকল্পের জন্য ৩ দশমিক ৪১ একর জমি অধিগ্রহণ করতে ব্যয় ধরা হয়েছে ৪৬১ কোটি টাকা। আর গ্যাস ও বিদ্যুৎ সংযোগ স্থাপনে ব্যয় হবে ১৫০ কোটি টাকা। ফ্লাইওভারটি হবে চার লেন বিশিষ্ট। সরকারের নীতিনির্ধারণী সূত্রের খবর, দ্রুত বাস্তবায়নের জন্য নেওয়া পরিকল্পনার মধ্যে আছে বিমানবন্দর সংশ্লিষ্ট দুটি ফ্লাইওভারের নির্মাণ।
এর মধ্যে গাজীপুর চৌরাস্তা থেকে হযরত শাহজালাল (রহ.) আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর পর্যন্ত ১৩ কিলোমিটার দীর্ঘ একটি এবং বিমানবন্দর থেকে বারিধারা পর্যন্ত ৮ কিলোমিটারের আরেকটি ফ্লাইওভার। প্রতিটি সেতুতে থাকবে ডাবল লেন। পাশাপাশি চলাচলের জন্য থাকবে সাড়ে ৩ ফুট দীর্ঘ ফুটপাথ। চার ফ্লাইওভার নির্মাণ করা গেলে মহানগরীর দীর্ঘদিনের যানজটের দুর্ভোগ অনেকটা কমে আসবে বলে মনে করছেন নগর-বিশেষজ্ঞরা।
অন্যদিকে পুরান ঢাকার যানজট নিরসনে রাজউকের গুলিস্তান গোলাপশাহ মাজার থেকে বাবুবাজার পর্যন্ত একটি ফ্লাইওভার নির্মাণের উদ্যোগ ও পরিকল্পনা বেশ পুরনো। এসংক্রান্ত প্রাথমিক প্রস্তুতি নিলেও অর্থাভাবে কাজ শুরু করতে পারেনি রাজউক। রাখা হয়েছিল ভবিষ্যৎ প্রকল্পগুলোর একটি হিসেবে। সরকার এখন এটি নিয়ে নতুন করে ভাবতে চায়। কারণ ঢাকার বাইরে থেকে গুলিস্তান ও পলাশীতে ইতিমধ্যেই যান চলাচলের গতি বাড়ানো গেছে। কিন্তু মাঝখানের এই সড়কের গতি বাড়ানো যায়নি।
এদিকে পরিকল্পনায় আছে গাবতলী থেকে পুরো মিরপুর রোড ধরে একটি ফ্লাইওভার নির্মাণের। প্রাথমিক পরিকল্পনার পর ঢাকার এক জনপ্রতিনিধির প্রতিষ্ঠান এই ফ্লাইওভার নির্মাণের আগ্রহ দেখিয়ে প্রস্তাবও দিয়েছে। বাস্তবতা বিবেচনায় সরকার ওই প্রস্তাবকে গুরুত্বের সঙ্গে নেয়নি। তবে ফ্লাইওভারের পরিকল্পনা গুরুত্ব পেয়েছে। এজন্য বিদেশি সহায়তা বা পিপিপি ভেবে দেখছে সরকার।
রাজধানীর বাইরে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে ২৩৯ কোটি ৭৭ লাখ টাকা ব্যয়ে নতুন ফ্লাইওভার নির্মাণের পরিকল্পনা হাতে নেওয়া হচ্ছে। ফ্লাইওভারটি মহাসড়কের ভুলতা ইন্টারসেকশনে নির্মাণ করা হবে। চার লেনবিশিষ্ট ফ্লাইওভার নির্মাণ কাজ শেষ হলে এ সড়