নিরুত্তাপ ম্যাচে বিশ্বকাপ ট্রফি অস্ট্রেলিয়ার
প্রকাশিত হয়েছে : ১২:৫৭:০৮,অপরাহ্ন ২৯ মার্চ ২০১৫
স্পোর্টস ডেস্ক :: বিশ্বকাপের ফাইনালে নিউজিল্যান্ডকে কাঁদিয়ে পঞ্চম বারের মত শিরোপা জিতলো অস্ট্রেলিয়া। নিউজিল্যান্ডের ছুড়ে দেওয়া ১৮৪ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে ৩৩ ওভার ১ বলে ৩ উইকেট হারিয়ে সহজেই জয়ের লক্ষ্যে পৌঁছে যায় অজিরা।
লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে শুরুটা ভালো হয়নি অস্ট্রেলিয়ার। ইনিংসের দ্বিতীয় এবং নিজের প্রথম ওভারেই অ্যারন ফিঞ্চের (০) ফিরতি ক্যাচ নিয়ে নিউজিল্যান্ডকে দারুণ সূচনা এনে দেন বাঁহাতি পেসার ট্রেন্ট বোল্ট। এরপর ডেভিড ওয়ার্নার আর স্টিভেন স্মিথের দৃঢ়তায় মেলবোর্ন ক্রিকেট গ্রাউন্ডে ঘুরে দাঁড়ায় চারবারের বিশ্ব চ্যাম্পিয়নরা।
৪৫ রান করা ওয়ার্নারকে গ্র্যান্ট এলিয়টের ক্যাচ বানিয়ে ৬১ রানের জুটি ভাঙ্গে ম্যাট হেনরি। এরপর স্মিথকে সাথে নিয়ে ১১২ রানের জুটি গড়ে দলকে শিরোপার কাছে নিয়ে যান শেষ ওয়ানডে খেলতে নামা অজি অধিনায়ক ক্লার্ক। হেনরির বলে আউট হওয়ার আগে ক্লার্ক করেন ৭৪ রান। এরপর ওয়াটসন আর স্মিথ এর জুটিতে ১৬ ওভার ৫ বল বাকি থাকতেই জয়ের লক্ষ্যে পৌঁছে যায় গত চারবারের বিশ্ব চ্যাম্পিয়নরা।
এর আগে শিরোপা জয়ের লক্ষ্যে টস জিতে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে অস্ট্রেলিয়ান বোলারদের তোপে ৪৫ ওভারে ১৮৩ রানেই গুটিয়ে যায় নিউজিল্যান্ড।
কিউইদের পক্ষে এলিয়টের ব্যাট থেকে আসে সর্বোচ্চ ৮৩ রান। টস জিতে ব্যাট করতে নেমে নিউজিল্যান্ডের দলীয় ১ রানেই কোনো রান না করেই ফিরে যান ব্রেন্ডন ম্যাককালাম। উইলিয়ামসনকে সাথে করে ৩২ রানের জুটি গড়ে খেলায় ফেরার চেষ্টা করেন গাপটিল। তবে ৬ রানের মধ্যে মাক্সয়েলের বলে ১৫ রান করা গাপটিল আর জনসনের বলে ১২ রান করা উইলিয়ামসন আউট হলে বিপদে পড়ে যায় কিউইরা। তবে চতুর্থ উইকেটে ১১১ রানের জুটি গড়ে ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা করেছিলেন গ্র্যান্ট এলিয়ট ও রস টেলর। কিন্তু দ্বিতীয় পাওয়ারপ্লের শুরুতে ৩৬তম ওভারের প্রথম বলে জেমস ফকনার টেলরকে (৪০) কট বিহাইন্ড করার পর তাসের ঘরের মতো ভেঙে পড়ে প্রথমবারের মতো বিশ্বকাপের ফাইনালে ফেলা নিউজিল্যান্ড। ঐ ওভারের পঞ্চম বলে কোরি অ্যান্ডারসনকে বোল্ড করেন ফকনার। স্টার্কের করা পরের ওভারে লুক রনকি ক্যাচ দেন স্লিপে থাকা মাইকেল ক্লার্ককে। দু`জনের কেউ রান করতে পারেননি। এরপর একাই খেলতে হয়েছে এলিয়টকে।
সেমিফাইনালে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে অপরাজিত ৮৪ রানের দুর্দান্ত ইনিংস খেলা এই ডানহাতি ব্যাটসম্যান ফাইনালেও দলের পরিত্রাতা। রোববার তার অবদান ৮২ বলে ৮৩ রান। কিন্তু ৭টি চার ও একটি ছক্কায় সাজানো এলিয়টের দৃঢ়তাভরা ইনিংস দু`শ রানও এনে দিতে পারেনি শেষ ৩৩ রানে ৭ উইকেট হারানো কিউইদের। অস্ট্রেলিয়ার পক্ষে জনসন আর ফকনার নেন ৩টি করে উইকেট।
তবে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে সহজ এই লক্ষ্য তাড়া করতে নামা অস্ট্রেলিয়ার ফাইনাল ম্যাচে গ্যালারিতে উপচে পরা দর্শক থাকলেও ক্রমেই ক্রিকেট আমেজ কমতে থাকে। কারণ একটাই তুলনা মূলক ভাবে লক্ষ্যটা খুবই ছোট।