নিরাপদ নৌপথ এখন অনিরাপদ ও ঝুকিপূর্ণ
প্রকাশিত হয়েছে : ১০:২৯:০৬,অপরাহ্ন ১৪ জানুয়ারি ২০১৫
নিউজ ডেস্ক::
এক সময়ে দক্ষিনাঞ্চলের যাত্রীদের কাছে নৌপথ ছিল সবচেয়ে নিরাপদ ও ব্যায় সাশ্রযী চলাচল মাধ্যম। কিন্তু একের পর এক নৌ দুর্ঘটনা বরিশাল সহ দক্ষিণাঞ্চলের নিরাপদ নৌ পথকে অনিরাপদ ও ঝুকিপূর্ণ করে তুলেছে। বিআই ডব্লিউটিএ নৌ চলাচল ও ট্রাফিক বিভাগের মতে গত দেড় মাসে বরিশালের সাথে ঢাকা সহ অভ্যন্তরীন রুটে ছোটো বড় মিলিয়ে অন্তত ৭ টি নৌ দুর্ঘটনা হয়েছে। এসব নৌ দুর্ঘটনায় ৩ জন নিহত অন্তত শতাধিক আহত হয়েছে। রুট পারমিট বাতিল হয়েছে ৫ টি লঞ্চের।
বিআইব্লিউটিএ নৌ চলাচল ও ট্রাফিক বিভাগের উপপরিচালক আবুল বাশার মজুমদার জানান, মূলত চালকদের অদক্ষতার ও আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহারে অনভিজ্ঞতা,নৌপথে চালকদের অবহেলা দুর্ঘটনার অন্যতম কারন। বিআইডব্লিউটিএ সংশ্লিষ্ট বিভাগটি জানায়, গতকাল মঙ্গলবার মেঘনা নদীতে সুন্দরবন-৮ও পারাবত-৯ এর সংঘর্ষ চালকদের অবহেলার কারনেই ঘটেছে। এর কারণ দুই লঞ্চই দৃষ্টিসীমার মধ্যে পরস্পরকে দেখতে পাচ্ছিল।
এসব কারণে পারাবত-৯,সুন্দরবন-৮ সহ, হুলারহাট ঢাকা রুটের রণদূত, ঢাকা-পিরোজপুরের সাথে চলাচল কারী শুভরাজ-২,বরিশাল –ঢাকা রুটের দ্বীপরাজ এর রুট পারমিট বাতিল করা হয়েছে। এসব ঘটনায় বিআইডব্লিউটিএ চালকদের গাফিলতি প্রত্যক্ষ করেছে।
ঢাকা-বরিশাল রুটে চলাচলকারী নিগার সুলতানা হনুফা জানান, যে ভাবে লঞ্চগুলো প্রতিযোগিতা করে মধ্যে নদীতে একের উপর অন্যটি হামলা করছে তাতে আমরা আতংকিত। নিরাপদ মনে করে আমরা লঞ্চে উঠে আমাদের জীবন দিতে হচ্ছে। অপর এক যাত্রী ক্যাব এর সম্পাদক রনজিৎ দত্ত জানান নৌপথ আর নিরাপদ নয়। অদক্ষ ও বেপরোয়া চালকদের কারনে এই নৌ পথ এখন আমাদের শান্তি কেড়ে নিয়েছে। বরিশাল সাংস্কৃতিক সংগঠন সমন্বয় পরিষদ সভাপতি শান্তি দাস জানান, অবিলম্বে এই অনিরাপদ নৌ পথকে নিরাপদ করতে হবে।