তিস্তা বিষয়ে ‘ধৈর্য্য ও বিশ্বাসের’ সঙ্গে অপেক্ষা করতে ভারতের আহবান
প্রকাশিত হয়েছে : ১:১৩:০০,অপরাহ্ন ০৯ এপ্রিল ২০১৫
নিউজ ডেস্ক::
বহুল প্রতিক্ষিত ও বিলম্বিত তিস্তার পানি বন্টন চুক্তি বাস্তবায়নে ‘ধৈর্য্য ও বিশ্বাসের’ সঙ্গে অপেক্ষা করতে ঢাকার প্রতি আহ্বান জানিয়েছে ভারত। আজ বৃহস্পতিবার একটি কুটনৈতিক আলোচনায় বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতীয় হাইকমিশনার পঙ্কজ শরণ বলেন, ‘তিস্তা চুক্তি বিষয়ে বাংলাদেশ-ভারত উভয়কেই একটু ধৈর্য্য ধরে অপেক্ষা করতে হবে। তিনি বলেন, ‘আমি মনে করি, বিষয়টি যেহেতু স্বাভাবিকভাবেই উভয় দেশের পারস্পরিক গ্রহণযোগ্যতার উপর নির্ভর করছে, সেহেতু একটি কার্যকর সমাধানে পৌঁছতে আমাদের একটু অপেক্ষা করা জরুরি।’
তিস্তা চুক্তি বিষয়ে কিছু মূলনীতি তুল ধরে পঙ্কজ শরণ বলেন, দায়িত্ব ভাগাভাগি, সমতা এবং ঐক্যমতের ভিত্তিতেই তিস্তা চুক্তির বিধিমালা এবং খসড়া প্রস্তুত করতে হবে। আর এর ফলেই এক সাধারণ চুক্তিতে পৌঁছানো সম্ভব বলে মনে করেন ভারতীয় হাইকমিশনার।
পঙ্কজ শরণের মতে, ভারত-বাংলাদেশ ছাড়াও উপমাহদেশীয় এই অঞ্চলে পানি সংক্রান্ত সমস্যা একটি বড় ধরনের স্থান দখল করে আছে। উভয় দেশের প্রচেষ্টার মাধ্যমে এই মূল্যবান সম্পদের সর্বোত্তম সুষ্ঠু ব্যবহার ও বন্টনে যথাযোগ্য উপায় খুঁজে বের করতে হবে। কাজেই সমস্যার সমাধানে তিনি দুই দেশের কর্তৃপক্ষকে সহযোগিতাপূর্ণ মনোভাব এবং পরস্পরের প্রতি বিশ্বাস রাখতে আহ্বান জানান।
দু’দেশের দ্বিপাক্ষিক বিষয়ে এক প্রশ্নের উত্তরে ভারতীয় হাইকমিশনার বলেন, সামাধান একবার চলে আসলে সকলেই বিষয়টি সম্পর্কে জানতে পারবে। তিনি খানিকটা যোগ করে বলেন, দুই দেশকেই তাদের সমস্যার জায়গাটুকু ভাগ করে নিতে হবে, যাতে করে উভয়ই ঐক্যমতে পৌঁছতে পারে।
দীর্ঘ দিন ঝুলে থাকা স্থল সীমান্ত চুক্তি বাস্তবায়ন সম্পর্কে পঙ্কজ শরণ বলেন, তিস্তা এবং স্থল সীমান্ত চুক্তির ব্যাপারে বাংলাদেশের কাছে ভারত প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। প্রাথমিকভাবে ভারতের কিছু ঘরোয়া সমস্যার সমাধান প্রয়োজন রয়েছে বলে তিনি জানান। বাংলাদেশে গত তিন মাসের রাজনৈতিক অচলাবস্থা বিষয় ভারতের মূল্যায়ণ সম্পর্কে পঙ্কজ শরণ জানান, অন্য দেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে ভারত কখনই হস্তক্ষেপ করেনা।