তামিম ইকবালকে নিয়ে শঙ্কা
প্রকাশিত হয়েছে : ১:৪৬:৩৫,অপরাহ্ন ২২ ডিসেম্বর ২০১৪
স্পোর্টস ডেস্ক::
গেল জিম্বাবুয়ে সিরিজেই হাঁটুতে ব্যথা অনুভব করেছিলেন বাংলাদেশ ওপেনার। তখন ডাক্তাররা সেটাকে হ্যামস্ট্রিংয়ের চোট বলেই ধরে নিয়েছিলেন। সে অনুযায়ী চিকিৎসাও চলছিল। কিন্তু এখন এসে দেখা গেলো সমস্যাটা অন্যখানে। প্রাথমিকভাবে করা এমআরআই রিপোর্টে থেকে ধারনা করা হচ্ছে মিনিসকাস ছিঁড়ে গেছে তামিমের। এদিকে তামিম ইকবালের ব্যথাপ্রবন হাঁটুর এমআরআই রিপোর্ট হাতে পাওয়ার পরও সেভাবে কিছুই বলতে পারছে না বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। ক্রিকেট বোর্ড এখন তাকিয়ে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক ডেভিড ইয়াংয়ের দিকে। অস্ট্রেলিয়ান এই ডাক্তারের পরামর্শের ভিত্তিতেই তামিমের বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে বিসিবি ও বাংলাদেশের ক্রিকেট নির্বাচকরা। তার থেকেও বড় কথা তামিমকে ফের ছুড়ি-কাঁচির নিচে যেতে হবে নাকি বিশ্রাম নিয়েই পার পাবেন তা জানা যাবে।
সোমবার এ বিষয়ে বিসিবির প্রধান চিকিৎসক দেবাশিষ চৌধুরী বলেন, ‘বিশ্বকাপের আগে তামিম ইকবালের চোট নিয়ে আমরা চিন্তিত। অবশ্য এ ধরনের চোট নিয়ে অনেক ক্রিকেটারই খেলে থাকেন। কিন্তু দীর্ঘমেয়াদে একজন খেলোয়াড়ের জন্য এটা ক্ষতিকারক। বিসিবি তামিমের চোটের প্রাথমিক এমআরআই রিপোর্ট হাতে পেয়েছি। কিন্তু এ বিষয়ে এখনই কিছু বলতে চাই না আমরা। অস্ট্রেলিয়ার ডেভিড ইয়াংয়ের সাথে যোগাযোগ করা হয়েছে। তার পরামর্শের ভিত্তিতেই সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।’
প্রসঙ্গত, তামিমের রিপোর্ট যদি ইতিবাচক হয় তাহলে চার সপ্তাহ অর্থাৎ, এক মাসের বিশ্রামে মাঠে ফিরতে পারবেন টাইগার ওপেনার। সেক্ষেত্রে বিশ্বকাপ স্বপ্ন বেঁচে থাকবে তার। কিন্তু রিপোর্ট যদি খারাপ হয় তাহলে ঠিক কতোদিন মাঠের বাইরে থাকতে হতে পারে তা এখনই বলা যাচ্ছে না। কেননা সেক্ষেত্রে অস্ত্রোপচার করতে হবে তামিমকে।
এর আগে দেশসেরা ওপেনার জিম্বাবুয়ে সিরিজের পর প্রিমিয়ার ডিভিশন ক্রিকেটে লিজেন্ডস অব রূপগঞ্জের হয়ে গ্রুপ পর্বের শেষ দুটি ম্যাচে খেলেন। তখন ব্যাটিং করার সময় হালকা ব্যথা অনুভব করছিলেন তিনি। যার ফলে চিকিৎসকের দ্বারস্থ হন ২৫ বছর বয়সী ক্রিকেটার, আর তাতেই চোট ধরা পড়ে তামিমের।