ছাতকে ১ম শ্রেণির ছাত্রকে অপহরণের পর জবাই করে হত্যা
প্রকাশিত হয়েছে : ১০:৪১:৩৭,অপরাহ্ন ০৯ এপ্রিল ২০১৫
ছাতক সংবাদদাতা:
সুনামগঞ্জের ছাতক উপজেলায় প্রথম শ্রেণি-পড়ুয়া এক স্কুল ছাত্রকে অপহরণের পর হত্যা করা হয়েছে। প্রথমে বিষ খাইয়ে পরে তাকে জবাই করা হয়। এরপর তার লাশ মাটিতে পুতে রাখা হয়। দাবি অনুয়ায়ী দুই লাখ টাকা না পেয়ে ওই শিশুকে হত্যা করে অপহরণকারীরা। পুলিশ ও পারিবারিক সুত্রে জানা গেছে, গত ২৭মার্চ বিকালে ইমন বাড়ির পাশে ছাতক-দোয়ারাবাজার সড়কে খেলছিল। সেখান থেকে সে নিখোঁজ হয়। ইমন স্থানীয় লাফার্জ কমিউনিটি বিদ্যালয়ে প্রথম শ্রেণিতে পড়াশোনা করত। এরপর অজ্ঞাত স্থান থেকে মোবাইল ফোনে পরিবারের কাছে দুই লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে অপহরণকারীরা। পরে ইমনের বাবা জহুর মিয়া থানায় অভিযোগ দেন। পুলিশ শিশু ইমনকে উদ্ধারে ওই গ্রামের কয়েকজনকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করে। পরিবারের পক্ষ থেকে ইমনের অপহরণের সঙ্গে বাতিরকান্দি গ্রামের মসজিদের ইমাম শোয়েবুর রহমান ওরফে সুজন জড়িত থাকতে পারেন বলে পুলিশকে জানানো হয়।
বুধবার দুপুরে সিলেটের কদমতলী বাসস্ট্যান্ড থেকে পুলিশ শোয়েবকে গ্রেপ্তার করে। বাতিরকান্দি গ্রামের মসজিদের ইমামতি করলেও তার বাড়ি ছাতক উপজেলার ছৈলা-আফজালাবাদ ইউনিয়নের বাক্ষèণজুলিয়া গ্রামে। গ্রেপ্তারের পর পুলিশ বিকালে তাকে ছাতকে নিয়ে আসে। তার দেওয়া তথ্য অনুযায়ী পুলিশ বাতিরকান্দি গ্রামের একটি বাড়ি থেকে ইমনের রক্তমাখা শার্ট, একটি ছোড়া ও একটি বিষের বোতল উদ্ধার করে।
পুলিশ জানায়, ইমাম শোয়েবুর রহমান তাদের জানিয়েছে, অপহরণের তিনদিন পর তাকে হত্যা করা হয়। পরে লাশ গ্রামের একটি পুকুরের পাড়ে মাটিতে পুতে রাখা হয়।
বুধবার বিকালে শোয়েবকে নিয়ে ওই স্থানে তল্লাশি চালায় পুলিশ। কিন্তু লাশ পাওয়া যায়নি। এ সময় শোয়েব পুলিশ ও সাংবাদিকদের জানায়, তার উপস্থিতিতেই ওই পুকুর পাড়ে ইমনের লাশ পুতে রাখা হয়েছিল। পরে হয়তো তার সহযোগীরা লাশ অন্যত্র সরিয়ে ফেলেছে, সেটা তিনি জানেন না। সন্ধ্যা পর্যন্ত পুলিশ শোয়েবকে নিয়ে লাশ উদ্ধারের চেষ্টা করে।
ছাতক থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ হারুনুর রশিদ চৌধুরী বলেন, ইমাম শোয়েবুর রহমান স্বীকার করেছে, টাকা না পেয়েই শিশু ইমনকে হত্যা করেছে তারা। বিষ খাওয়ানোর পর তাকে জবাই করে হত্যা করা হয় । তবে লাশ উদ্ধারে আমাদের অভিযান অব্যাহত আছে। এর সঙ্গে জড়িত অন্যদেরও গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।’