চাকরিচ্যুত নয়, ছুটিতে রয়েছেন ফারহানা নিশো!
প্রকাশিত হয়েছে : ১২:৫৮:৫৪,অপরাহ্ন ০৪ এপ্রিল ২০১৫
বিনোদন ডেস্ক: সংবাদ পাঠক, মডেল, উপস্থাপক ফারহানা নিশো নিজের একটি খবরে ভীষণ অস্বস্তিতে অাছেন। গুজব উঠেছে, বৈশাখী টেলিভিশন কর্তৃপক্ষ তাকে চাকরিচ্যুত করেছে। জানতে চাইলে বিষয়টি নিয়ে কথা বলেন তিনি-
প্রশ্ন: শোনা যাচ্ছে অাপনি বৈশাখীতে অার নেই। এ খবর কতটুকু সত্য?
ফারহানা নিশো: সত্যি বলতে চাকরিচ্যুত নয়, ছুটিতে রয়েছি তিন সপ্তাহের। তাই হয়তো অনেকে মনে করছেন বৈশাখী টেলিভিশনে আর নেই। আসলে এটা সম্পূর্ণ অসত্য একটা খবর। অামার নিজের জগতে নতুন কিছু ভাবনা যোগ হয়েছে। কিছু ব্যবসার পরিকল্পনাও আছে। অারেকটা কথা, প্রত্যেকটা জায়গাতেই আসলে রাজনীতি আছে। বলতে পারেন, এরই প্রভাবে অামি আক্রান্ত। আমি এটাও বলে রাখি, যদি কখনও বৈশাখী টেলিভিশন ছেড়ে দেই, তবে সবাইকে জানাব।
প্রশ্ন: কিন্তু এমন কথাওতো শোনা যায়, কর্তৃপক্ষের সঙ্গে অাপনার মনোমালিন্য হয়েছে-
ফারহানা নিশো: না…না। এরকম কিছুই বৈশাখীর কোনও কর্মকর্তার সঙ্গে অামার হয়নি। সবাই আমাকে এখানে অসম্ভব ভালোবাসেন। অার খবরটা যারাই ছড়িয়েছে, অামি বলব এটা আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র এবং অপমান করার চেষ্টা ছাড়া আর কিছুই না। এছাড়া আমি তো বৈশাখী টিভির মালিক না। আমি সেখানে চাকরি করি। অফিস যদি আমাকে প্রয়োজন মনে না করে, সেক্ষেত্রে আমাকে বাদ দিতেই পারে। তার মানে এই না যে, চাকরি যাওয়ার মিথ্যে খবর প্রকাশ করে আমাকে ছোট করবে! কারো চাকরি চলে গেছে, এটাও কোন নিউজ হতে পারে! আমি এখানে না থাকি, অদূর ভবিষ্যতে অন্য কোথাও তো যোগ দিতে পারি। কিন্তু চাকরি চলে গেছে এটাকে পুঁজি করে আমাকে ইচ্ছাকৃতভাবে ছোট করার চেষ্টাটা একেবারেই বাজে নোংরামি। অামি মনে করি, সব গণমাধ্যম একটা পরিবারের মতো। অার এটাও ধারণ করি, সবার একটা স্বাধীনতা থাকা উচিত, যেটা আসলে এভাবে নষ্ঠ করা উচিত না।
প্রশ্ন: এবার মডেলিং প্রসঙ্গে অাসি। অনেকদিন হয় অাপনাকে এই মাধ্যমে দেখা যায় না-
ফারহানা নিশো: অাসলে মডেলিংয়ে অার ফিরব কিনা এমন কোনও চুড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেইনি। তবে যেমনটা চাই বা ভালো লাগে, এমন কোনও সুযোগ হলে অবশ্যই করব। ঢালাওভাবে কোনও কাজ করব না।
প্রশ্ন: পহেলা বৈশাখ তো খুব কাছাকাছি। নতুন বছরের এ দিনটি কীভাবে কাটাতে পছন্দ করেন?
ফারহানা নিশো: আসলে পহেলা বৈশাখে পরিবারের সঙ্গে রমনা বটমূলে যাওয়া অার পান্তা ইলিশ খাওয়া এটা আমার মনে হয় আর কোথাও নেই। তাই প্রতিবছরই এই দিনটাতে কমপক্ষে আধা ঘণ্টার জন্য হলেও সেখানে গিয়েছি এই আনন্দটা উপভোগ করতে। তবে এবার পহেলা বৈশাখে আমার কিছু সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান আছে। তাই মনে হয় এবার সম্ভব হবে না। এছাড়া অফিসে কাজের চাপ কিছুটা বেড়েছে। নতুন কিছু আইডিয়া নিয়ে কাজ চলছে। সেজন্য এবার হয়তো আগের মতো মজাটা করা যাবে না। তবে কাজ শেষ করে যদি কোনও সুযোগ পাই, তাহলে পরিবারকে নিয়ে বাইরে কোথাও ঘুরতে যাব।
প্রশ্ন: অনেক বছর ধরেই তো সংবাদ পাঠ করে চলেছেন। কোনও মজার ঘটনা অাছে কি?
ফারহানা নিশো: আমি নিউজে কাজ করছি ১২ বছর যাবত। তাই প্রায় সময় ছোট বড় অনেক ঘটনাই ঘটে। অার এই কাজটা অামি নিজেও এনজয় করি। এই মুহূর্তে মজার নয়, দুঃখের একটা ঘটনা মনে পড়ছে। একদিন কালচারাল একটা খবর পাঠ করছিলাম। শুরুটা করলাম আমি বেশ অানন্দ নিয়ে কিন্তু শেষে গিয়ে দেখি যার খবর পড়ছি, তিনি অার নেই। তিনি মৃত। পরে তো আমার মন ভীষণ খারাপ হয়ে গেল। তিনি ছিলেন অসংখ্য জনপ্রিয় ছবির নায়িকা। উনার নামটা নাইবা বললাম…।
প্রশ্ন: অার উপস্থাপনার কোনও ঘটনা?
ফারহানা নিশো: যখন মিউজিক্যাল প্রোগ্রামগুলোতে বসি, তখন অন্যরকম একটা ফিলিং কাজ করে। আমি নিজেই একজন গানভক্ত মানুষ। অনেক সময় দেখা যায়, নির্ধারিত অতিথি শিল্পী আসতে দেরি করছেন কিন্তু লাইভের সময় পার হয়ে যাচ্ছে, তখন দেখা যায় আমি একাই বসে কিছুক্ষণ কথা বলি ক্যামেরার সামনে।
সূত্র : বাংলা ট্রিবিউন