গোপালগঞ্জে শেখ লুৎফর রহমান সেতু উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী
প্রকাশিত হয়েছে : ১১:৪৪:৩৭,অপরাহ্ন ২৪ জানুয়ারি ২০১৫
নিউজ ডেস্ক::
ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে গোপালগঞ্জের বেশ কয়েকটি উন্নয়ন প্রকল্পের উদ্বোধন ও ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন করলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। শনিবার বিকেলে গণভবনে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ার পাটগাতীতে মধুমতি নদীর উপর নির্মিত শেখ লুৎফর রহমান সেতু এবং বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন সংস্থার (বিআরটিসি) ডিপো ও প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী। এছাড়া গোপালগঞ্জের কাশিয়ানীতে মধুমতি নদীতে কালনা ব্রিজের ভিস্তি প্রস্তরও স্থাপন করেন প্রধানমন্ত্রী।
গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে গোপালগঞ্জ জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রকল্পগুলোর উদ্বোধন ও ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন প্রধানমন্ত্রী। এ সময় গোপালগঞ্জের জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে উপস্থিত ছিলেন, সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, গোপালগঞ্জ, নড়াইল ও বাগেরহাটের জেলা প্রশাসক স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা।
এর আগে গোপালগঞ্জের জেলা প্রশাসক মো. খলিলুর রহমান বলেন, জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে ভিডিও কনফারেন্সে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের পর সেতু দিয়ে যানবাহন চলাচল শুরু হবে। সেতু নির্মাণের মধ্য দিয়ে পিরোজপুর, বাগেরহাট, ঝালকাঠি, বরগুনা ও গোপালগঞ্জ জেলার মানুষের আর্থ-সামাজিক-উন্নয়নের দ্বার উন্মোচিত হবে।
২০১৪ সালের ৩১ ডিসেম্বর ৭২.৬৫ কোটি টাকা ব্যয়ে ৩৯১.৪৯১ মিটার দীর্ঘ ও ৯.৫০ মিটার প্রস্থের সেতুটির নির্মাণ কাজ শেষ হয়। আওয়ামী লীগ সরকারের প্রথম মেয়াদ ২০০০ সালের ২৩ ডিসেম্বর এই সেতুর ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ২০০১ সালে বিএনপি-জামায়াত জোট সরকার ক্ষমতায় আসার পর সেতুটির নির্মাণ কাজ বন্ধ ছিলো।
২০০৮ সালে আওয়ামী লীগ সরকার দ্বিতীয় দফায় আবারো ক্ষমতায় এলে ২০০৯ সালে সেতুটির অসমাপ্ত নির্মাণ কাজ শুরু হয়। ২০১২ সালের ৫ মে সেতুর নির্মাণ কাজ শেষ হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু নির্ধারিত সময়ে কাজটি শেষ না হওয়ায় অবশেষে ২০১৪ সালের ৩১ ডিসেম্বর সেতুর কাজ সমাপ্ত হয়। নানা প্রতিবন্ধকতার কারণে সেতুটি নির্মাণ করতে সময় লেগেছে ১৫ বছর।