ইমরান খানের সুরেই গলা মেলাচ্ছেন মমতা, অভিযোগ বিজেপির
প্রকাশিত হয়েছে : ৪:৪৭:১০,অপরাহ্ন ০৬ মার্চ ২০১৯
আন্তর্জাতিক ডেস্ক:: নিয়ন্ত্রণ রেখা (এলওসি) পেরিয়ে পাক নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরে ভারতীয় বিমান বাহিনীর এয়ার স্ট্রাইকে মৃত্যুর সংখ্যা নিয়ে প্রশ্ন তোলায় ভারতের পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জিকে আল কায়েদার সাথে তুলনা করেছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। তাঁর অভিমত মমতার মতো রাজনীতিবিদ থাকলে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের দরকার নেই, মমতাই দেশের ক্ষতির পক্ষে যথেষ্ট। তাঁর আরও অভিযোগ তৃণমূল কংগ্রেস প্রধান পাকিস্তানের ভাষায় কথা বলছেন।
মঙ্গলবার কলকাতায় দলের রাজ্য সদর দফতরে সংবাদ সম্মেলন করে মমতার প্রতি ক্ষোভ প্রকাশ করে দিলীপ ঘোষ বলেন, ‘গোটা দেশ যখন পুলওয়ামা জঙ্গি হামলার বদলা হিসাবে বিমান বাহিনীর সার্জিক্যাল স্ট্রাইক দাবি করেছে, সেখানে আমাদের রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা দিদি এয়ার স্ট্রাইকে ক্ষয়ক্ষতির প্রমাণ চাইছেন এবং প্রশ্ন তুলেছেন কেন পাকিস্তানের ওপর হামলা চালানো হল। তিনি পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের সুরেই গলা মেলাচ্ছেন।
বিজেপির রাজ্য সভাপতি জানান, ‘আমার মনে হয় ভারতের ক্ষতির জন্য ইমরান খানের মতো মানুষের দরকার নেই, মমতা ব্যানার্জি একাই যথেষ্ট। তৃণমূল কংগ্রেসের মতো একটি দল যখন এখানে শাসন করছে, সেখানে স্টুডেন্টস ইসলামিক মুভমেন্ট অফ ইন্ডিয়া (সিমি), জামাতুল-মুজাহিদিন অথবা আল কায়দা’র মতো জঙ্গি গোষ্ঠীর ভারতের হামলা করার দরকার কি?’
দিলীপ ঘোষ বলেন, ‘ওদিকে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী অভিযোগ করে বলছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী তার সাথে কেন আলোচনা করছেন না, আবার এদিকে মমতাসহ অন্য বিরোধী নেতারাও একই প্রশ্ন তুলছেন। আমরা বিস্মিত যে দেশের এইসব নেতারা পাকিস্তানের ভাষাতেই কথা বলছেন।’
সেনাবাহিনীর দক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন তোলায় বাংলার মানুষ এবং ভারতের মানুষ মমতাসহ অন্য বিরোধী দলগুলিকে যোগ্য জবাব দেবে বলেও এদিন জানান রাজ্য সভাপতি। তিনি বলেন, ‘বিমান বাহিনীর এয়ার স্ট্রাইকের পর পাকিস্তানের তরফে একাধিক প্রমাণ তুলে দেওয়া হয়েছে, কিন্তু আমাদের দেশের কয়েকজন রাজনীতিবিদ সেনার কাছে প্রমাণ চাইছেন। নতুন ভারত এই সব সহ্য করবে না। দেশে এই ধরনের ‘রাষ্ট্র-বিরোধী’ রাজনীতি বন্ধ করতে ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনই মাইলস্টোন হবে।’
গত ২৬ ফেব্রুয়ারি ভোরে নিয়ন্ত্রণ রেখা (এলওসি) পেরিয়ে পাক শাসিত কাশ্মীরে গিয়ে জয়শ-ই-মহম্মদের একাধিক জঙ্গি ঘাঁটি গুড়িয়ে দেয় ভারতীয় সেনা বাহিনী। হামলার পরই বিভিন্ন সূত্র মারফত ভারতের বিভিন্ন গণমাধ্যমে ৩০০ থেকে ৩৫০ জন মানুষের মৃত্যুর খবর সম্প্রচারিত করা হয়। আর এরপরই তৃণমূল কংগ্রেস থেকে শুরু করে জাতীয় কংগ্রেস, সমাজবাদি পার্টি, বহুজন সমাজপার্টি-সকলেই এই এয়ার স্ট্রাইকে জঙ্গি মৃত্যুর সংখ্যা নিয়ে সরকারকে নিশানা করেছে। সব মিলিয়ে আসন্ন লোকসভা ভোটের মুখে ‘সার্জিক্যাল স্ট্রাইক’ নিয়ে সরগরম ভারতের রাজনীতি।