৩৬ বছর প্রেম, অবশেষে শুভ পরিণয়!
প্রকাশিত হয়েছে : ৮:৪৭:৪৭,অপরাহ্ন ০১ মার্চ ২০১৫
নিউজ ডেস্ক :: স্কুল জীবন থেকেই প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে একই উপজেলার শ্যামপাড়া গ্রামের মৃত লোকনাথ বৈরাগীর ছেলে শুধাংশু বৈরাগীর সঙ্গে পার্শ্ববর্তী খড়মখালী গ্রামের মৃত নিরোধ রায়ের কন্যা নিভা রাণী রায়ের। পরবর্তীতে কলেজ জীবনে এসে তাদের সম্পর্ক আরো পূর্ণতা পায়। এভাবে চলতে থাকে পরস্পরের সাথে মন দেওয়া নেওয়া।
শিক্ষা জীবন শেষ করে দু’জনে ঘর বাঁধার স্বপ্ন দেখলেও নানা সমস্যায় সেটি আটকে যায়। বিষয়টি দুই পরিবারের মধ্যে জানাজানি হলেও নানা মতবিরোধ থাকার ফলে তাদের ঘর বাঁধার স্বপ্ন আর বাস্তবে রূপ নেয়নি। আশায় বুক বেঁধে থাকে দু’জনে। এভাবে কেটে যায় প্রেমের প্রায় ৩৬টি বছর।
দীর্ঘ তিন যুগ ধরে মন দেওয়া নেওয়ার পর সকল বাধা-বিপত্তি পেরিয়ে অবশেষে বিয়ের পিঁড়িতে বসল প্রেমিক যুগল। এমনই সাড়া জাগানো প্রেমের বিয়ে দেখতে অসংখ্য উৎসুক লোকজন ভিড় জমায় কনের বাড়িতে। অনেকে এই প্রেমিক যুগলকে আখ্যা দিয়েছেন এ যুগের রজকিনী-চন্ডিদাস বলে। দীর্ঘ দিনের প্রেমের পর এ বিয়ের ঘটনা ঘটেছে বাগেরহাটের চিতলমারী উপজেলার খড়মখালী গ্রামে।
এলাকাবাসী জানান, রেল মন্ত্রী মুজিবুল হক এমপির বিয়ের পর থেকে বয়সের কথা না ভেবে এই প্রেমিক জুটির দীর্ঘ দিনের সম্পর্কের বিষয়টি এলাকার সচেতন মহলের নজরে আসে। বিষয়টি নিয়ে অনেকেই এগিয়ে আসেন। গত কয়েক মাস ধরে চেষ্টা চলে দুই পরিবারকে বিয়েতে রাজি করানোর। অবশেষে সাড়া মেলে।scsZC copy
দুই পরিবারের সম্মতিতে গত ২৭ ফেব্রুয়ারি শুক্রবার রাত ১১টায় হিন্দু রীতি অনুযায়ী অগ্নি স্বাক্ষী রেখে মালা বদলের মাধ্যমে প্রেমিকা নিভার বাড়িতে বসে ধুম-ধামের সঙ্গে এ বিয়ে সম্পন্ন হয়। এতদিনের সব বাধা-বিপত্তিকে পাশ কাটিয়ে তাদের দু’জনার বিয়ের মাধ্যমে জয় হয় প্রেমের।
এ সময় বিয়ে দেখতে দলে দলে এলাকার উৎসুক নারী-পুরুষরা ছুটে আসেন। চারদিকে হৈচৈ পড়ে যায়। বিয়ে বাড়িতে লোক দাঁড়ানোর তিল পরিমাণ ঠাঁই ছিলনা। কনের বাড়িতে রাত জেগে বিয়ে দেখেন আগতরা। পাশাপাশি এ বিয়েকে ঘিরে মিষ্টি মুখ ও রঙ মাখামাখি চলে রাতভর।
এলাকার চায়ের দোকান থেকে শুরু করে সর্বত্র কয়েক দিন ধরে চলছে এ বিয়ের আলোচনা এমনটি জানালেন কনের বাড়ির পাশের চা বিক্রেতা মো. আবু হানিফ। এলাকার শ্রেষ্ঠ প্রেমিক জুটি বলেও তারা সুখ্যাতি পেয়েছেন বলেও জানালেন অনেকে।