হাউজিং এস্টেটে চাঁদের হাসি স্বাস্থ্য ক্লিনিকে ৫ কোটি টাকার প্রতারণা : আটক ৭
প্রকাশিত হয়েছে : ১:০৩:৪০,অপরাহ্ন ১৫ এপ্রিল ২০১৫
নিউজ ডেস্ক :: সিলেটের চাঁদের হাসি চিহ্নিত পারিবারিক স্বাস্থ্য ক্লিনিকের টেন্ডারবাজী, চাকুরী বানিজ্য ও পুষ্টি প্রকল্পের নামে ৫ কোটি ৮ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নেয়ার ঘটনায় ৭ জনকে আটক করেছে পুলিশ।
বুধবার দুপুরে প্রতারনার স্বীকার ভুক্তভোগিরা ক্লিনিকে তালা দিয়ে বিক্ষোভ শুরু করলে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে এ ৭ জনকে আটক করে।
ভূক্তভোগীরা জানান, ইউএনডিপি ও ইরোপিয়ন ইউনিয়নের ভূয়া প্রকল্পের মাধ্যমে ৫০০ জন মাঠ কর্মী প্রতারনার স্বীকার হয়েছেন। জানুয়ারী মাসে এই ক্লিনিকের মালিক পলাতক ডাক্তার জুবায়ের পুষ্টি প্রকল্পের ৫০০ জন মাঠ কর্মী নিয়োগ দেন। শর্ত অনুযায়ী প্রতিটি পরিবারকে ২০০ টাকা মূল্য দিয়ে একটি কার্ড কিনতে হয়। আর প্রতিজন মাঠ কর্মীকে দেয়া হয় ৫০০টি করে কার্ড। সে হিসাবে তাদের কাছ থেকে পুষ্টি সামগ্রী বিতরনের নামে প্রায় ৫ কোটি টাকা হাতিয়ে নেয় এই ভূয়া প্রতিষ্ঠানটি। এর আগে গ্রাম আদালতের প্রজেক্টে নিয়োগের নামে ২০০ জনের কাছ থেকে ৪ হাজার টাকা করে ৮ লক্ষ টাকা নেন ডা. জুবায়ের। তারাও গত কয়েকদিন ধরে আন্দোলন করে আসছিল। এ ঘটনায় ভূক্তভোগীরা মামলার প্রস্তুতি নিচ্ছেন।
বুধবার দুপুরে প্রতারিত মাঠ কর্মী ও চাকুরী বানিজ্যের ভূক্তভোগিরা ক্লিনিকে এসে তালা দিলে স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও আইন শৃংখলা বাহিনীর সদস্য ঘটনাস্থলে আসেন। এসময় স্থানীয় কাউন্সিলর রেজওয়ান হাসান কয়েস লোদীর উপস্থিতিতে সকল মালামালের তালিকা করে ক্লিনিকে তালা দিয়ে হাউজিং এস্টেটে এসোসিয়েশন কাছে হস্তান্তর করা হয়। এবং এয়ারপোর্ট থানার উপ পরিদর্শক বোরহান উদ্দিন ক্লিনিকের সকল কর্মীকে বের করে দিয়ে প্রকল্প পরিচালক সহ ৭ জনকে আটক করে।
সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত উপ কমিশনার রহমত উল্লাহ জানান, চাঁদের হাসি ক্লিনিক থেকে ৭ জনকে আটক করা হয়েছে। মামলা দেয়া হলে তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। এছাড়াও পুলিশ ঘটনার তদন্তে কাজ করছে।