হবিগঞ্জে চোরাই মোটরসাইকেল বেচাকেনার সময় চেয়ারম্যানপুত্রসহ আটক ৫
প্রকাশিত হয়েছে : ১০:৫৪:২৫,অপরাহ্ন ০৯ মে ২০১৯
নিউজ ডেস্ক:: হবিগঞ্জের বাহুবল উপজেলার রশিদপুর গ্যাস ফিল্ড এলাকা থেকে দুইটি চোরাই মোটরসাইকেল বেচাকেনা করার সময় ইউপি চেয়ারম্যানপুত্রসহ চোরাইচক্রের ৫ জনকে আটক করেছে ডিবি পুলিশ। এদের সহযোগি আরেকজন পালিয়ে গেছে।
বুধবার তাদেরকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। আটকরা সবাই স্থানীয় ছাত্রলীগের রাজনীতির সাথে সম্পৃক্ত।এর আগে মঙ্গলবার রাতে এসআই ইকবাল বাহারসহ একদল ডিবি পুলিশ গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করে।
আটকরা হলেন- শ্রীমঙ্গল উপজেলার আঐ গ্রামের বাসিন্দা ভুনবীর ইউপি’র বর্তমান চেয়ারম্যান মো.চেরাগ আলীর পুত্র ফয়সল আহমেদ (২৮), পৌরশহরের গুহ রোডের বাসিন্দা সিরাজুল ইসলাম সেলুর ছেলে মিনহাজুল ইসলাম আবি (২৪), শান্তিবাগ আবাসিক এলাকার কবির হোসেন খানের ছেলে জুনায়েদ আহমেদ (২৮), খলিলপুর গ্রামের আবুল কালামের ছেলে জাহিদ হাসান সাকিব (২৫) ও কালিঘাট রোডের বাসিন্দা শামীম আক্তার হোসেন মিন্টু’র ছেলে রায়হান হোসেন আপন (২৪)।
এ ঘটনায় হবিগঞ্জ ডিবির এসআই আবুল কালাম আজাদ বাদী হয়ে সদর মডেল থানায় একটি মামলা করেছেন। ডিবি পুলিশ জানায়,বাহুবল উপজেলার রশিদপুর গ্যাস ফিল্ড এলাকায় আটকরাসহ ৬ জন ৩টি চোরাই মোটরসাইকেল বেচাকেনা করছিল। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে হবিগঞ্জ ডিবির একটি দল সেখানে অভিযান চালায়। পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে ৬ চোরাকারবারী দৌঁড়ে পালানোর চেষ্টা করে। এ সময় ডিবি পুলিশ তাদের ধাওয়া করে ৫ জনকে আটক করতে সক্ষম হয়। অপর সহযোগি আকিবুর রহমান পাপ্পু পালিয়ে গেছে।
এ সময় ৩টি মোটরসাইকেল জব্দ করা হয়। এগুলো হচ্ছে-একটি নেভী ব্লু ১৫০ সিসি আরওয়ান-৫ যার মূল্য ২ লাখ ২০ হাজার টাকা, একটি লাল রংয়ের এফজেড-এস ১৫০ সিসি যার মূল্য ১ লাখ ৫০ হাজার এবং একটি কালো রংয়ের ১০০ সিসি টিভিএস যার মূল্য ৮০ হাজার টাকা।
গ্রেফতাররা পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে মোটরসাইকেল চোরাকারবারীর সাথে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে। এরা দীর্ঘদিন ধরে মোটরসাইকেল চুরি করে বিক্রি করে আসছে। তাদের সাথে হবিগঞ্জে একটি চক্র রয়েছে।
শ্রীমঙ্গল এবং হবিগঞ্জের চক্র মিলে যৌথভাবে চোরাই মোটরসাইকেলের ব্যবসা চালিয়ে আসছে।হবিগঞ্জ থেকে চুরি যাওয়া মোটরসাইকেল আটকদের মাধ্যমে শ্রীমঙ্গলসহ বিভিন্ন স্থানে বিক্রি করা হয়।একইভাবে মৌলভীবাজার, শ্রীমঙ্গল থেকে চুরি যাওয়া মোটরসাইকেল হবিগঞ্জের চক্রের মাধ্যমে বিভিন্ন জায়গায় বিক্রি করা হয়।
হবিগঞ্জ মডেল থানার উপ-পরিদর্শক মো.ইকবাল হোসেন বলেন,‘আটকদের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। বুধবার দুপুর দুইটার দিকে তাদেরকে সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে পাঠানো হলে, আদালত তাদের সবাইকে জেলহাজতে পাঠান। পালিয়ে যাওয়া ছেলেটিকেও আইনের আওতায় আনা হবে। এদের পেছনে কারা আছে তাও খুঁজে বের করা হবে।