নিউজ ডেস্ক:: কক্সবাজার মেডিকেল কলেজের জন্য আসবাবপত্র ক্রয়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ পেয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। এ বিষয়ে গতকাল স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালকসহ ছয়জনকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে দুদকের একটি দল।
দুদকের জনসংযোগ বিভাগ জানিয়েছে, কমিশনের সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের উপপরিচালক মো. মাহাবুবুর রহমান ও সহকারী পরিচালক রতন কুমার দাশের সমন্বয়ে গঠিত দলটি অভিযোগের বিষয়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের কর্মকর্তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করেছে।
এই ছয় কর্মকর্তা হলেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ডা. আবুল কালাম আজাদ, পরিচালক ডা. মো. আব্দুর রশীদ, প্রোগ্রাম ম্যানেজার (পিএম) ডা. মো. ইউনুস, ডেপুটি প্রোগ্রাম ম্যানেজার (ডিপিএম) ডা. কামরুল কিবরিয়া, প্রধান সহকারী আব্দুল মালেক ও উচ্চমান সহকারী খায়রুল আলম। অভিযোগসংশ্লিষ্ট বিষয়ে নথিপত্রও সংগ্রহ করেছে দুদক।
অভিযোগ খতিয়ে দেখতে দুদকের চট্টগ্রাম অফিসের একটি দলও মাঠে কাজ করছে বলে কমিশনের জনসংযোগ বিভাগ জানিয়েছে।
দুদক সূত্র জানায়, ২০১৭ সালের ১৮ ডিসেম্বর কক্সবাজার মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ আসবাব ক্রয়ে ২০ কোটি ৮৫ লাখ ৮৪ হাজার ৮০০ টাকার প্রশাসনিক অনুমোদনসহ বরাদ্দ চান। চিকিৎসা শিক্ষা ও স্বাস্থ্য জনশক্তি উন্নয়ন বিভাগের প্রশাসনিক প্ল্যানে তাদের জন্য কোনো বরাদ্দ ছিল না।
তারপরও মন্ত্রণালয়ের থোক বরাদ্দ থেকে ওই পরিমাণ টাকা বরাদ্দ দেয়াসহ প্রশাসনিক অনুমোদনের জন্য পাওয়া প্রস্তাব সুপারিশসহ অগ্রবর্তী করা হয়। নথিতে ওই ছয়জন কর্মকর্তা-কর্মচারী স্বাক্ষর করেন।
জিজ্ঞাসাবাদ শেষে অনুসন্ধান দলের প্রধান দুদকের চট্টগ্রাম-২ সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের উপপরিচালক মাহবুবুল আলম সাংবাদিকদের বলেন, কক্সবাজার মেডিকেল কলেজে আসবাবপত্র কেনার মাধ্যমে দুর্নীতির অভিযোগ প্রাথমিকভাবে প্রমাণিত হয়েছে।
তিনি বলেন, কক্সবাজার মেডিকেল কলেজের আসবাবপত্র কেনার জন্য দুটি প্রতিষ্ঠানকে ঠিকাদার নিয়োগ দেয়া হয়। এর মধ্যে একটিকে ৩ কোটি ৪৯ লাখ টাকা পরিশোধ করা হয়। আরেক প্রতিষ্ঠানের টাকা পরিশোধ করা হয়নি।
দুদকের এই কর্মকর্তা বলেন, আসবাবপত্র কেনার জন্য কোনো বরাদ্দ ছিল না। তার পরও মন্ত্রণালয়ের থোক বরাদ্দ থেকে টাকা বরাদ্দ দেয়াসহ প্রশাসনিক অনুমোদনের জন্য সুপারিশ করেন মহাপরিচালকসহ জিজ্ঞাসাবাদের আওতায় আসা ছয় কর্মকর্তা-কর্মচারী। এখানে দুর্নীতি হয়েছে, সেটা স্পষ্ট বলেও উল্লেখ করেন তিনি।