সুনামগঞ্জে ২৫ লক্ষাধিক মানুষ প্রতারিত হচ্ছে
প্রকাশিত হয়েছে : ১:০১:৩৩,অপরাহ্ন ০৮ এপ্রিল ২০১৫
সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি :: প্রাপ্তি ও প্রত্যাশার হিসাব মিলাতে গিয়ে সুনামগঞ্জের প্রায় ২৫ লক্ষাধিক মানুষ প্রতারিত হচ্ছে। একদিকে দারিদ্রের কষাঘাত, অপর দিকে প্রতিটি ক্ষেত্রে হচ্ছে প্রতারিত। এ অবস্থা দীর্ঘদিন থেকে চলছে। অনেকে বৈষম্য হিসেবে চিহ্নিত করলেও আন্তরিকতার প্রশ্নটি ও জোরালো ভাবে স্থান করে নিয়েছে। অনেকের বক্তব্য প্রায় ৩ যুগের উপর অতিবাহিত হতে চললো দেশ স্বাধীন হলো কিন্তু এ জেলার উন্নয়নে বাস্তব পদক্ষেপ কোন সরকারই গ্রহণ করেননি। সূত্রমতে, প্রতিবছর প্রায় ৭০০ কোটি টাকা রাজস্ব দিচ্ছে সুনামগঞ্জ। শুধু জলমহাল থেকেই প্রায় ২০০ কোটি টাকার রাজস্ব আদায় করা হচ্ছে। এছাড়া রয়েছে কয়লা , চুনাপাথর, ভাসান মহাল, বালি-পাথর, হাট-বাজারসহ বিভিন্ন খাত। জেলার খাদ্যের চাহিদা পূরণ করেও দেড়লাখ টন ধান অন্যান্য জেলায় সরবরাহ করা সম্ভব। যার অনুমানিক মূল্য হচ্ছে ৭৫ কোটি টাকার উপরে। বিশেষজ্ঞদের মতে হাওর উন্নয়ন প্রকল্পে ৫০-৬০ কোটি টাকা এক কালিন ব্যয় করলে অকাল বন্যার হাত থেকে জেলার প্রায় ৬০০ কোটি টাকার ফসল রক্ষা করা সম্ভব এবং ১৫-২০ বছর কৃষক নির্বিঘ্নে ফসল ঘরে তুলতে পারবে। অথচ প্রতি বছর পানি উন্নয়ন বোর্ড খরচ করছে ৪-৫ কোটি টাকা শুধু মাটির কাজ করে । জেলার সম্মানিত মন্ত্রী এমপি’রা অতীত থেকে আজ পর্যন্ত সার্বিক সমস্যার কাছে হার মেনেছেন। নয়তো তাদের বলিষ্ঠ কণ্ঠস্বর একটি বারও সংসদে এদিকে দৃষ্টি আকর্ষণ করতে পারেননি। ‘উন্নয়নের জোয়ার বয়ে যাবে’ কথাটি নির্বাচনে শোভা বর্ধন করলেও বাস্তবে বাতাসে হারিয়ে যাচ্ছে প্রতিশ্রুতির সুন্দর পংক্তিটি। প্রতিটি উপজেলায় অন্তহীন সমস্যা থাকার পরও তাদের কন্ঠে একটি বারও উচ্চারিত হয়নি ৭০০ কোটি টাকার সিকি পরিমাণ এ জেলায় ব্যয় করা হোক।আমাদের কারো কাছে করুণার পাত্র হিসেবে হাত বাড়াতে হবে না। জেলার প্রতিটি মানুষ আজ ভাবতে শুরু করেছে একি স্বপ্ন নাকি দুঃস্বপ্ন।একটি গণতান্ত্রিক শাসন ব্যবস্থায় সরকার পরিচালিত হচ্ছে। পশ্চাতপদ জেলার প্রতি নেতিবাচক নয় বরং ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে এগিয়ে আসবে। উপজেলায় আজ অবধি কোন শিল্প কারখানা গড়ে উঠেনি। এজান্য সরকারী পৃষ্ঠপোষকতার অভাবকে দায়ী করে চলছেন অনেকেই। এছাড়া বেসরকারী উদ্যোক্তাদের নজর কাড়ে না জেলার কোন ক্ষেত্রই।তার প্রধান কারণ হচ্ছে -প্রথমত ঃ যোগাযোগ ব্যবস্থাকেই দায়ী করা হচ্ছে। কর্মসংস্থানের সুযোগ নেই বলে মানুষের আর্থ সামাজিক অবস্থার উন্নয়ন করা সম্ভব নয়।অথচ কৃষিভিত্তিক শিল্প কারখানা গড়ে উঠেনি। জনসংখ্যা বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে ফসলী জমির পরিমাণ ও হ্রাস পাচ্ছে প্রতি বছর। প্রাচুর্য অফুরন্ত সম্পদে ভরপুর জেলার মানুষ দারিদ্র্যেরের কষাঘােেত আজ নিষ্পেষিত প্রাপ্য ও প্রাপ্তির এ হিসাব না করে ন্যায্য হিস্যা পাওয়ার অধিকার সময়ের দাবী হয়ে উঠেছে।