সিলেটে সড়ক অবরোধ ও গাড়ি ভাঙচুর
প্রকাশিত হয়েছে : ৭:৫৫:১৯,অপরাহ্ন ৩১ ডিসেম্বর ২০১৪
নিউজ ডেস্ক :: জামায়াত নেতা এটিএম আজহারের ফাঁসির রায়ের প্রতিবাদে ডাকা হরতালের প্রথম দিনে জামায়াত-শিবির কর্মীরা ঢাকা-সিলেট ও সিলেট-সুনামগঞ্জ মহাসড়কে টায়ার জ্বালিয়ে অবরোধ করার চেষ্টা করে। তবে পুলিশের ধাওয়ার মুখে তারা মাঠে অবস্থান করতে পারছে না। পুলিশের চোখ ফাঁকি দিয়ে সিলেট-সুনামগঞ্জ সড়কের ৪টি গাড়ি ভাঙচুর করেছে হরতাল সমর্থকরা।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, বুধবার সকাল সাড়ে ৯টায় দক্ষিণ সুরমা উপজেলায় চণ্ডিপুল নামক এলাকায় টায়ার জ্বালিয়ে ঢাকা-সিলেট মহাসড়ক অবরোধ করার চেষ্টা করে জামায়াত-শিবির নেতাকর্মীরা। তবে কিছুক্ষণ অবস্থান করে পুলিশ আসার আগেই তারা পালিয়ে যায়।
একই সময় শহরতলীর টুকেরবাজার এলাকার অনন্তপুর নামক স্থানে সিলেট-সুনামগঞ্জ সড়কে টায়ার জ্বালিয়ে পিকেটিং করে জামায়াত-শিবির নেতাকর্মীরা। পুলিশ আসার পর তারা পালিয়ে যায়।
সকাল ১০টার দিকে সিলেট-সুনামগঞ্জ সড়কের জাঙ্গাইলের ধরপুরে ৩টি সিএনজি অটোরিকশা ও একটি ট্রাক ভাঙচুর করে হরতাল সমর্থকরা।
এছাড়াও নগরীর বিভিন্ন স্থানে জামায়াত শিবির নেতাকর্মীরা ঝটিকা মিছিল ও পিকেটিং করার চেষ্টা করে। কিন্তু পুলিশ সতর্ক অবস্থানে থাকায় তারা রাজপথে নামতে পারেনি।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সকাল ৯টার দিকে নগরীর চৌকিদিঘি এলাকায় কয়েকটি মোটর সাইকেল নিয়ে জামায়াত শিবির নেতাকর্মীরা মিছিল করার চেষ্টা করে। মিছিল করতে না পেরে তারা রাস্তায় ইটপাথর ফেলে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে।
সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত উপ কমিশনার রহমত উল্লাহ বলেন, ‘নাশকতা ঠেকাতে পুলিশ সতর্ক অবস্থানে রয়েছে। সকাল সোয়া ১০টায় পর্যন্ত নগরীর কোথাও কোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি।’
উল্লেখ্য, গতকাল মঙ্গলবার মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় এটিএম আজহারুল ইসলামকে মৃত্যুদণ্ড দেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১। এর প্রেক্ষিতে ওইদিন দুপুরে দলের পক্ষ থেকে এক বিবৃতিতে জানানো হয়, বুধবার সকাল ৬টা থেকে সন্ধ্যা সাড়ে ৫টা এবং বৃহস্পতিবার সকাল ৬টা থেকে সন্ধ্যা সাড়ে ৫টা পর্যন্ত দেশব্যাপী সকাল-সন্ধ্যা হরতাল চলবে।