সিলেটে বেকার হচ্ছেন ১৩ হাজার সিএনজি অটোরিক্সা ও ইজি বাইক চালক
প্রকাশিত হয়েছে : ১২:৪১:১৯,অপরাহ্ন ২৩ নভেম্বর ২০১৯
নিউজ ডেস্ক:: হালনাগাদ সড়ক পরিবহন আইন কার্যকর করা হলে সিলেট জেলায় প্রায় ১৩ হাজার সিএনজি চালক বেকার হয়ে যাবেন। সড়কে পরিবহন চালনা ছেড়ে দিয়ে পথে বসতে হবে তাদেরকে। জানা গেছে, সিলেট জেলাতে চলমান রয়েছে প্রায় ১৯ হাজার সিএনজি চালিত অটোরিক্সা এবং প্রায় ৭ হাজার ইজি বাইক। উল্লেখিত সংখ্যক পরিবহন চালকদের সিংহভাগ চালক প্রাইমারি লেভেলে উত্তীর্ন নয়। রিক্সা চালনা রপ্তকরে কিংবা নিজ উদ্যোগে টাকা খরছ করে গাড়ী চালনা শিখে অটো রিক্সা ও ইজি বাইক চালকের পেশা বেছে নিয়েছেন।
প্রান্তিক জনপথে গাড়ী চালনা করে সংসার নিয়ে বেচে থাকার পথ খুজে নিয়েছে তারা। কিন্ত নতুন সড়ক পরিবহন আইন এখন এ পথের (চালক) জন্য প্রতিবন্ধক হয়ে উঠেছে। নতুন আইনে পরিবহন শ্রমিকদের লাইসেন্স প্রাপ্তির আবেদনে শর্ত দেয়া হয়েছে। লাইসেন্সের জন্য আবেদন করতে শর্ত হচ্ছে এক. ৮ম শ্রেনী পর্যন্ত শিক্ষাগত যোগ্যতা দুই লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ন হতে হবে। আর এ দুই শর্তের উপর হার মেনেছে প্রায় ১৩ হাজার কর্মরত পরিবহন শ্রমিক।
এক সিএনজি চালক বলেন – লিখিত পরিক্ষায় এস,এস সি এমনকি এইচ এস সি পাশরা ও উত্তীর্ণ হতে পারছেন না। এমতাবস্তায় আমরা উত্তীর্ণ হবো কিভাবে? এক অনুসন্ধানে জানা গেছে – জেলার সবকটি উপজেলায় সিএনজি ও ইজিবাইক চালকদের বড় অংশ নিরক্ষর কিংবা প্রাইমারি লেভেল পর্যন্ত লেখাপড়া করেছেন।
এ ব্যপারে সাধারন মানুষের সাথে বললে তারা বলেন, প্রশাসনের পক্ষ থেকে যদি এসব চালকদেরকে তাদের এই পেশা বন্ধ করে দেয়া হয় তাহলে এরা যাবে কোথায়। নানা অনিয়মে জড়িয়ে পড়বে এই বেকার হওয়া শ্রমিকরা। তখন এসবের দায় নিবে কে এ প্রশ্ন রেখে তারা আরো ও বলেন, এদেরকে সরকার বা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সহজ শর্তে তাদের পেশায় টিকিয়ে থাকার ব্যবস্হা করার দাবি জানাচ্ছি। সাথে যে সব গাড়ি নাম্বার বিহীন এস সব গাড়ির নাম্বারের ব্যবস্হা করে দেওয়া হোক। যাতে বেকারত্ব দুরীকরনের মধ্য দিয়ে বর্তমান সরকারের ডিজিটাল এবং উন্নত দেশ গড়ার স্বপ্ন বাস্তবায়িত হবে বলে আমরা বিশ্বাস করি।