সিলেটে প্রথম ফুটওভার ব্রিজের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করলেন অর্থমন্ত্রী
প্রকাশিত হয়েছে : ১:৫৭:৩৬,অপরাহ্ন ২১ মে ২০১৫
নিউজ ডেস্ক :: সিলেটের কোর্ট পয়েন্টে যানজট নিরসন ও দুর্ঘটনা প্রতিরোধে এই প্রথম কোনো ফুটওভার ব্রিজ নির্মিত হচ্ছে।
বৃহস্পতিবার (২১ মে) বিকেলে সাড়ে ৪ টায় অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত এই ফুটওভার ব্রিজ নির্মান কাজের ভিত্তিপ্রস্তর করেন। সিলেট সিটি করপোরেশন এই ফুটওভার ব্রিজটি নির্মান করছে।
সিটি করপোরেশন সূত্র জানা যায়, ২০০৮ সালে পদচারী-সেতু নির্মাণের সিদ্ধান্ত হলেও ওই বছরের ফেব্রুয়ারি মাসের শুরুতে নির্মাণকাজ শুরুর সিদ্ধান্ত হয়। স্থান নির্ধারণ করতে একাধিক জরিপ চালিয়ে শেষে কোর্ট পয়েন্টকে বেছে নেওয়া হয়েছে। এই মোড়কে কেন্দ্র করে ফুটওভার ব্রিজ হলে কোর্ট পয়েন্টের পার্শ্ববর্তী সুরমা পয়েন্ট, বন্দরবাজার ও জিন্দাবাজার এলাকা দিয়ে চলাচলকারী জনসাধারণ এই সেতু ব্যবহারের সুযোগ পাবে। প্রায় ১ কোটি ৬৩ লাখ টাকা ব্যয় ‘ফুটওভারব্রিজ প্রকল্প’ বাংলাদেশ ইস্পাত অ্যান্ড প্রকৌশল করপোরেশন তার নিজস্ব কোম্পানি ‘চিটাগাং ড্রাই ডক লিমিটেড’-এর মাধ্যমে বাস্তবায়ন করছে।
প্রকল্প সূত্রে জানা গেছে, সিলেটের প্রথম ফুটওভার ব্রিজ হওয়ায় এটি দৃষ্টিনন্দন করে নির্মাণের দিকটিও প্রাধান্য দেওয়া হবে। ব্রিজে সব মিলিয়ে ছয়টি সিঁড়ি থাকবে। ছয় দিক থেকেই ব্যবহার করতে পারবেন পথচারীরা। কোর্ট পয়েন্টের ট্রাফিক মোড় হবে সেতুর প্রধান ফটক। কালেক্টরেট মসজিদের অংশ, সেন্ট্রাল মার্কেটের একাংশ ও মধুবন সুপার মার্কেটের সামনের রাস্তার অংশে থাকবে সেতুর ভিত্তি।
সেতুর শুরু দিকের কাজ তদারক করতে সম্প্রতি চিটাগাং ড্রাই ডক লিমিটেডের একদল প্রকৌশলী ও কর্মকর্তা সিলেটে আসেন। সরেজমিনে কাজ তদারক করে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা জানান, সিলেটে সুরমা নদীর ওপর ব্রিটিশ ঐতিহ্যের কিনব্রিজ নির্মিত হয়েছে লোহা দিয়ে। সেই নির্মাণশৈলীর সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে ফুটওভার ব্রিজও তৈরি করা হবে। ইতিমধ্যে সেতুর অবকাঠামো সম্পূর্ণ লোহা দিয়ে তেরির কাজ চট্টগ্রামের একটি কারখানায় সম্পন্ন হয়েছে। এক সপ্তাহ ধরে চলছে প্রতিস্থাপনসংক্রান্ত কাজ। আগামী তিন মাসের মধ্যে পদচারী-সেতুর নির্মাণ সম্পন্ন হবে বলে সংশ্লিষ্টরা আশা করছেন।
সিলেট সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা এনামুল হাবিব বলেন, সিলেটের জন্য নতুন প্রকল্প এটি। বাস্তবায়ন হচ্ছে প্রথম। নতুন ও প্রথম হওয়ায় কাজের দিকে সবার নজর রয়েছে। নির্মাণের সুফল দেখে নগরে আরও কয়েকটি স্থানে ফুটওভার ব্রিজ নির্মাণের পরিকল্পনা রয়েছে বলে তিনি জানান।