সিলেটের জয়ী ভারতে বন্দী!
প্রকাশিত হয়েছে : ৭:৩৫:০৬,অপরাহ্ন ২৫ মার্চ ২০১৫
নিউজ ডেস্ক :: স্নিগ্ধা দেব জয়ী। চার বছর বয়সে সে ২০১৩ সালের ১৪ জুলাই সিলেট নগরীর শেখঘাট ভাঙ্গাটিকর এলাকা থেকে অপহৃত হয়। বহু খোঁজাখুঁজি পর কোনো সন্ধান না পেয়ে থানায় অপহরণ মামলা দায়ের করেন জয়ীর বাবা।
এ ঘটনার প্রায় আড়াই বছর পেরিয়ে গেলেও কোনো জয়ার হদিস মেলেনি। সিলেট সিটি করপোরেশনের ১২নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর সিকন্দর আলীর কাছে আসা এক চিঠিতে জয়ী অপহরণ ঘটনা নিচ্ছে নতুন মোড়।
জয়ীকে অপহরণের বর্ণনা দিয়ে ভারতীয় নাগরিক পরিচয়ে গত রোববার ওই চিঠি পাঠানো হয়েছে। চিঠির বিষয়টি কাউন্সিলর সিকন্দর আলী কোতোয়ালি থানা পুলিশকে জানিয়েছেন।
চিঠিতে জয়ীকে অপহরণের মূল হোতা হিসেবে শঙ্কর ও তার স্ত্রী অনিতার নাম উল্লেখ করা হয়েছে। এ দু’জন বর্তমানে জয়ীর বাবার করা মামলায় জেলে রয়েছে। শঙ্কর ও অনিতা শিশু পাচারকারী বলেও চিঠিতে উল্লেখ রয়েছে।
সেই উড়ো চিঠি
অজ্ঞাতনামা ওই ব্যক্তি চিঠিতে উল্লেখ করেছেন, তিনি একটি ছেলে শিশু ও একটি কন্যা শিশু পাচারের জন্য শঙ্কর ও অনিতাকে আড়াই লাখ টাকা দেন। কথা মতো কাজ করে তারা। কিন্তু জয়ীকে অপহরণের পর তার কাছে পাঠানো হলেও ছেলে শিশুটি পালিয়ে যায়। এরপর জয়ীকে ফিরিয়ে দিতে তার বাবার কাছে টাকা দাবি করার কথা ছিল। কিন্তু শঙ্কর ও অনিতা জয়ীকে ফিরিয়ে নেয়নি।
অজ্ঞাতনামা ওই ব্যক্তি চিঠিতে আরো উল্লেখ করেছেন, জয়ীর বাবার সঙ্গে পারিবারিক শত্রুতার কারণেই শঙ্কর তাকে অপহরণ করে তাদের হাতে তুলে দিয়েছে। জয়ী বর্তমানে ভারতে আছে এবং ভারতের ঠিক কোথায় আছে সেটা শঙ্কর ও অনিতা জানে বলে চিঠিতে উল্লেখ রয়েছে। টাকা পেলে জয়ীকে ফিরিয়ে দেয়া হবে বলেও উল্লেখ করা হয়েছে।
ওই চিঠি পাওয়ার সত্যতা স্বীকার করে সিলেট সিটি করপোরেশনের ১২নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর সিকন্দর আলী বলেন, বিষয়টি কোতোয়ালি থানায় অবহিত করা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, জয়ী অপহরণ ঘটনায় তার বাবা সন্তোষ দাসের করা মামলায় সিলেট নগরীর শেখঘাট ভাঙ্গাটিকর এলাকার রামেন্দ্র ভট্টাচার্যের মেয়ে অনিতা ভট্টাচার্য, একই এলাকার শঙ্কর দাস ও সুনামগঞ্জের তাহিরপুর উপজেলার সুলেমানপুর গ্রামের রবিউল ইসলামকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। রবিউল আদালতে জয়ীকে অপহরণের স্বীকারোক্তি দিলেও পুলিশ তাকে উদ্ধারে ব্যর্থ হয়।