সরকার পতনের ক্ষণ গণনা শুরু : বিএনপি
প্রকাশিত হয়েছে : ১২:৩২:৪০,অপরাহ্ন ২৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৫
নিউজ ডেস্ক::
বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব সালাহ উদ্দিন আহমেদ বলেছেন, “আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর বন্দুকের নল ও দলকানা কতিপয় প্রচার মাধ্যম নির্ভর সরকার এখন পতনের শেষ সিঁড়িতে দাঁড়িতে আছে। জনগণ এখন সরকার পতনের ক্ষণ গণনা শুরু করেছে। পুলিশ বাহিনীকে ফ্রাঙ্কেনস্টাইনের দৈত্যে পরিণত করে সরকার নিজেকে আপাত নিরাপদ মনে করলেও যেকোনো মুহূর্তে বন্দুকের নল ঘুরে যেতে পারে।” আজ বৃহস্পতিবার গণমাধ্যমে পাঠানো বিএনপি ও ২০ দলীয় জোটের পক্ষে এক বিবৃতিতে তিনি এ কথা বলেন।
সালাহ উদ্দিন আহমেদ বলেন, “রাষ্ট্রশক্তির চূড়ান্ত নৈরাজ্যের বিপরীতে জাগ্রত গণশক্তির বিজয় আসন্ন। প্রধানমন্ত্রী গতকাল সংসদে অতিশয় দম্ভ সহকারে বলেছেন-জনগণ বিএনপির সঙ্গে নেই এবং ২০ দলের সাত দফা ব্যক্তিস্বার্থের দাবি। জনগণ যদি আওয়ামী লীগের সঙ্গে থাকে তাহলে প্রধানমন্ত্রী নির্বাচনকে ভয় পান কেন? জনগণকে ভয় পান কেন?”
বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব বলেন, “নির্বাচন দিন, প্রমাণ হয়ে যাবে জনগণ কাদের সঙ্গে আছে। সাত দফা দাবির প্রত্যেকটি দাবি গণতন্ত্রের জন্য, গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানকে শক্তিশালী ও প্রাতিষ্ঠানিকিকরণের জন্য, নির্বাচন কমিশনসহ সকল সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানসমূহের নিরপেক্ষতার জন্য, বাক-ব্যক্তি স্বাধীনতা ও বিচার বিভাগের স্বাধীনতা নিশ্চিতকরণের জন্য এবং প্রিয় মাতৃভূমিকে সমৃদ্ধ ও উন্নত গণতন্ত্রের দেশে পরিণত করার গণদাবীর প্রতিফলন মাত্র।”
তিনিবলেন, “প্রধানমন্ত্রী ক্ষমতার জন্য রাজনীতি করেন না বলে প্রায়ই ঘোষণা দিয়ে থাকেন। তাহলে এত গণহত্যা চালিয়ে লুণ্ঠনকৃত মসনদ রক্ষা করতে মরিয়া হয়ে উঠেছেন কেন? জনগণের ওপর আস্থা হারিয়ে, দেশের সকল শ্রেণী-পেশার মানুষ ও নাগরিক সমাজকে অবজ্ঞা করে এবং সারা বিশ্বকে অস্বীকার করে ফ্যাসিবাদী একদলীয় রাষ্ট্রব্যবস্থা কায়েমের স্বপ্ন কখনোই পূরণ হবে না; এদেশের জনগণ তা কখনোই হতে দেবে না।”
বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব বলেন, “প্রধানমন্ত্রীকে আবারো আহবান জানাচ্ছি-গণআন্দোলনে নির্মম পতনের হাত থেকে যদি বাঁচতে চান, জনরোষের কবল থেকে যদি রক্ষা পেতে চান, তাহলে অবৈধ ক্ষমতা আঁকড়ে থাকার প্রবল উন্মাদনা পরিত্যাগ করে দ্রুত পদত্যাগ করে নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনের ঘোষণা দিন। প্রতিহিংসা ও বিদ্বেষমূলক রাজনীতি পরিত্যাগ করে জনদাবীর প্রতি শ্রদ্ধা প্রদর্শন করুন।”
সালাহ উদ্দিন আহমেদ বলেন, “তবে দেশবাসীর আশা-সরকারের শুভবুদ্ধির উদয় হবে এবং গণদাবী মেনে নিয়ে দ্রুত পদত্যাগ করে দেশে শান্তি শৃঙ্খলা ফিরিয়ে এনে সরকারসৃষ্ট ভয়াবহ সংকট থেকে জাতিকে রক্ষা করবে। আর ইতিমধ্যে সরকার তা করতে অস্বীকৃতি জানালে অর্থাৎ গণদাবি মেনে না নিতে অনড় অবস্থানে থাকলে আমরা আবারও আগামী ১ মার্চ ২০১৫ রোববার থেকে দেশব্যাপী হরতালসহ কঠোর কর্মসূচি দিতে বাধ্য হব। গণদাবিকে পাশ কাটিয়ে রাষ্ট্রক্ষমতা নিরঙ্কুশ রাখতে সকল স্বৈরাচারই ব্যর্থ হয়েছে এবং এটাই ইতিহাস, জনতার দুর্বার আন্দোলনে আওয়ামী লীগ সরকারের অবৈধ ক্ষমতার মসনদ ভেঙ্গে খান খান হয়ে যাবে। জনতার বিজয় অতি আসন্ন।”