সরকার নয়, খালেদা নিষ্ঠুর : তথ্যমন্ত্রী
প্রকাশিত হয়েছে : ১১:৪৬:০১,অপরাহ্ন ০১ ফেব্রুয়ারি ২০১৫
নিউজ ডেস্ক :: সরকারের বিরুদ্ধে খালেদার নিষ্ঠুরতার অভিযোগকে নাকচ করে দিয়ে ‘ভূতের মুখে রাম রাম’ বলে মন্তব্য করেছেন তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু বলেছেন। হরতাল দিয়ে খালেদা জিয়া এসএসসি পরীক্ষার্থীদের সঙ্গে অমানবিক ও নিষ্ঠুর আচরণ করছেন বলেও অভিযোগ করেছেন তথ্যমন্ত্রী।
রোববার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাগর-রুনি মিলনায়তনে রোববার ‘গ্রাম পুলিশদের দায়িত্ব: সামাজিক মর্যাদা ও রাষ্ট্রের করণীয়’ শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, খালেদা জিয়া এসএসসি পরীক্ষার্থীদের সঙ্গে অমানবিক আচারণ করছেন। জনগণ ও পরীক্ষার্থীদের ভয় দেখিয়ে ক্ষমতার জন্য জিম্মি করতে চাচ্ছেন। পরীক্ষার মধ্যে হরতাল-অবরোধের নামে তাদের সঙ্গে নিষ্ঠুর আচারণ করছেন। শুধু তাই নয়, মানুষ পোড়ানোর মধ্য দিয়ে তিনি (খালেদা) নিষ্ঠুরতার চেয়েও আরো বর্বর আচরণ করছেন।
তিনি বলেন, গ্রাম পুলিশ সদস্যরা যখন একদিকে শান্তির পক্ষে কাজ করছেন, তখন খালেদা জিয়া আগুন দিয়ে মানুষ পোড়ানো অব্যাহত রেখেছেন। অথচ সরকারকে তিনি নিষ্ঠুর বলছেন। তার এই নিষ্ঠুর শব্দ উচ্চারণ ‘ভূতের মুখে রাম রাম’।
সংলাপে বসার জন্য আহবানকারীদের ‘তদবিরকারক’ উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, ‘হে মহামান্য তদবিরকারকগণ, আপনারা নিষ্ঠুরতা ও বর্বরতা বন্ধের জন্য খালেদার কাছে তদবির করুন। আশা করি, আমাদের গ্রাম পুলিশ দেশের সকল বর্বরতা ও নিষ্ঠুরতা বন্ধে আরো দায়িত্বশীল হবে।
গ্রাম পুলিশের বেতন-ভাতা বাড়ানোর প্রসঙ্গে তথ্যমন্ত্রী বলেন, তাদের বর্তমানে যে বেতন আছে তা অমানবিক। গ্রাম পুলিশ উন্নয়নে ও সামাজিক শান্তি রক্ষায় অনন্য ভূমিকা রাখে। তাদের রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতির প্রয়োজন রয়েছে। তাই আমি ব্যক্তিগতভাবে এই দাবি বাজেটে যুক্ত করার চেষ্টা করবো।
হাসানুল হক বলেন, গ্রাম পুলিশদেরকে চতুর্থ শ্রেণীর অর্থনৈতিক মর্যাদা দিয়ে বেতন বৃদ্ধি করা, ঝুঁকি ভাতা ও তার সঙ্গে রেশন দেওয়ার জন্য অর্থমন্ত্রীসহ সংশ্লিষ্ট সকলকে বলবো। সংসদেও বাজেট বক্তৃতায় এ বিষয়ে বলা হবে।
আলোচনা সভার আয়োজক বাংলাদেশ গ্রাম-পুলিশ কর্মচারী ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক মো. মোজাম্মেল হক ধারণাপত্র পাঠ করেন। যেখানে বলা হয়, একজন গ্রাম পুলিশ গ্রামীণ ট্যাক্স সংগ্রহ, মৃত্যুর তালিকা প্রণয়ন, ভিজিডি, ভিজিএফ বন্টন, ইউনিয়নের বিভিন্ন ধরনের নোটিশ জারি, পুলিশের সঙ্গে আসামি ধরা, রাতে পাহারা দেওয়া থেকে শুরু করে জনপ্রতিনিধির বাজার করে দেওয়াসহ ৭০ ধরনের কাজ করে থাকেন।
গ্রাম পুলিশের একজন দফাদার ২১০০ টাকা ও মহল্লাদার ১৯০০ টাকা মাসিক বেতন পান। দফাদারের বেতন বৃদ্ধি করে ৪ হাজার টাকা ও মহল্লাদারের ৩ হাজার ৫০০ টাকা করার দাবি জানিয়েছেন তারা।
অলোচনা সভায় আরো বক্তব্য রাখেন সংসদ সদস্য ইস্রাফিল আলম, অধ্যাপক এম এম আকাশ, সাংবাদিক আবু সাঈদ খান, সমাজতান্ত্রিক শ্রমিক ফ্রন্টের সাধারণ সম্পাদক রাজেকুজ্জামান রতন প্রমুখ