নিউজ ডেস্ক:: আরিফুল হক চৌধুরীকে নিয়ে সিলেট বিএনপির টানাপোড়েন বেশ কিছুদিন ধরেই। প্রথম মেয়াদে মেয়র নির্বাচিত হবার পর থেকেই সিলেট বিএনপির বিভিন্ন কর্মসূচীতে অনিয়মিত হয়ে পড়েন তিনি। তবে দ্বিতীয় মেয়াদে নির্বাচিত হবার পর থেকে সেই দূরত্ব ক্রমশ বাড়তে থাকে। সেই দূরত্বের বহিঃপ্রকাশই ঘটলো সিলেটে বিএনপির মহাসমাবেশকে ঘিরে।
বিএনপির কেন্দ্রীয় কর্মসূচীর অংশ হিসেবে মঙ্গলবার (২৪ সেপ্টেম্বর) সিলেটের রেজিস্টারি ময়দানে অনুষ্ঠিত হয় মহাসমাবেশ। নানা নাটকীয়তার পর অনুমতি মেলা এই সমাবেশে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দের উপস্থিতি দিয়েছে ভিন্ন মাত্রা। কিন্তু এই মহাসমাবেশের মাত্র তিন দিন আগেই দক্ষিণ কোরিয়ার উদ্দেশ্যে দেশ ছেড়েছেন সিসিক মেয়র আরিফ। ইন্টারন্যাশনাল আরবান রেজিলিয়েন্স ফোরাম সিওল-২০১৯ এ অংশগ্রহণ করতে শনিবার রাতে সস্ত্রীক দক্ষিণ কোরিয়ায় গেছেন তিনি।
তবে মেয়র দেশের বাইরে অবস্থান করলেও সমাবেশস্থলে ও এর আশেপাশে বেশ কয়েকটি ব্যানার ও ফেস্টুন লাগানো হয়েছিল তাঁর পক্ষ থেকে। যেগুলোতে বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবীসহ নানা শ্লোগান লেখা ছিল। তবে সমাবেশ শুরু হবার খানিক পরেই সমাবেশস্থলে তাঁর পক্ষ থেকে লাগানো সকল ব্যানার ও ফেস্টুন খুলে নিয়েছে বেশ কয়েকজন কর্মী। ঠিক কি কারণে ব্যানার-ফেস্টুন খুলে ফেলা হল, মেয়র আরিফের বিরুদ্ধে কেন এতো ক্ষোভ তা নিয়ে মুখ খোলেন নি কেউ।
এ ব্যাপারে সিলেট মহানগর বিএনপির সহ-সভাপতি সালেহ আহমদ খসরুর কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, একটি আন্তর্জাতিক সম্মেলনে যোগ দিতে মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী বর্তমানে দক্ষিণ কোরিয়ায় অবস্থান করছেন। এমতাবস্থায় কে বা কারা এরকম কাজ করেছে তা আমার জানা নেই। তবে যারাই করেছে তারা অত্যন্ত দৃষ্টিকটু এবং গর্হিত কাজ করেছে।
তিনি আরো যোগ করেন, এটি রাজনৈতিক শিষ্টাচার বহির্ভূত কাজ, এমন রাজনৈতিক দীক্ষা বিএনপি তার কর্মীদের দেয় না। তিনি অচিরেই দোষীদের শাস্তি দাবী করেন।
তবে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ছাত্রনেতা বলেন, বেশ কিছুদিন ধরেই বিএনপির সাথে মেয়র আরিফুল হকের সাংগঠনিক দূরত্ব। কেন্দ্রীয় নির্বাহী সদস্য আরিফুল হক সিলেটের মেয়র নির্বাচিত হবার পর থেকে নেতাকর্মীদের পাশে তাকে পাওয়া যায় না। এ নিয়ে গত কয়েকদিন আগে জেলা বিএনপির আকে বৈঠকে তার উপর ক্ষোভ ঝাড়েন কর্মীরা। আরিফুল হক বৈঠকে উপস্থিত থাকলেও কোন সদুত্তর দিতে পারেন নি। তাই কেউ কেউ ক্ষুব্ধ হয়ে এ কাজ করে থাকতে পারে।
তবে মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী দেশের বাইরে থাকায় তার সাথে যোগাযোগ করা সম্ভব হয় নি।