সচিব আসবেন তাই প্রাথমিকের প্রধান শিক্ষিকার অবাক কাণ্ড
প্রকাশিত হয়েছে : ১০:৩০:৫৬,অপরাহ্ন ২৬ নভেম্বর ২০১৯
নিউজ ডেস্ক:: গণশিক্ষা সচিব স্কুল পরিদর্শনে আসবেন তাই মির্জাপুর উপজেলা সদরের বাইমহাটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ক্লাস বন্ধ রেখে শিক্ষার্থীদের শারীরিক কসরত শেখানো হচ্ছে। ওই বিদ্যালয়ের কোমলমতি শিক্ষার্থীদের দিয়ে দুই সপ্তাহ ধরে দিনভর শারীরিক কসরত করানো হচ্ছে। এতে শিক্ষার্থীদের অভিভাবকদের মধ্যে চাপা ক্ষোভ বিরাজ করছে।
জানা গেছে, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. আকরাম আল হোসেন ওই বিদ্যালয়টি পরিদর্শনে আসবেন। এজন্য ওই গ্রামের প্রয়াত মুক্তিযোদ্ধা রবি মিত্রর বাড়ির উত্তর পাশে একটি খোলা জায়গায় সকাল ৮টা থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত কোমলমতি শিক্ষার্থীদের নানা ধরনের শারীরিক কসরত করানো হচ্ছে। দুই সপ্তাহ ধরে বিদ্যালয়ে ক্লাস বন্ধ রেখে এ শারীরিক কসরত করানো হচ্ছে।
এদিকে আগামী ৮ ডিসেম্বর থেকে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের বার্ষিক পরীক্ষা শুরু হবে। তার আগে দিনভর শিক্ষার্থীদের দিয়ে এ ধরনের শারীরিক পরিশ্রম করাতে অভিভাবকদের মধ্যে চাপা ক্ষোভ বিরাজ করছে। তবে শিক্ষার্থীদের ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করে কেউ এ ব্যাপারে প্রকাশ্যে মুখ খুলছেন না বলে জানা গেছে।
সচিবের কাছে যাতে বাহবা পাওয়া যায় এজন্য ওই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা হোসনে আরা বেগম তার একক সিদ্ধান্তে বার্ষিক পরীক্ষার আগে কোমলমতি শিক্ষার্থীদের এ শারীরিক পরিশ্রম করাচ্ছেন বলে অভিযোগ।
সচিবকে বিদ্যালয়ের যে কক্ষে খাওয়ানো হবে সেই কক্ষটি সাজসজ্জার জন্য প্রায় ৫০ হাজার টাকা খরচ করা হয়েছে বলে বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সদস্যরা জানান।
এ ব্যাপারে প্রধান শিক্ষিকা বলেন, শারীরিক কসরত শিক্ষাও প্রাথমিক শিক্ষার অন্তর্ভুক্ত। তাছাড়া ভারতেশ্বরী হোমসের ছাত্রীদের সারা বছর শারীরিক কসরত করানো হয়।
উপজেলা শিক্ষা অফিসার মো. আলমগীর হোসেনের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে ক্লাস বন্ধ রেখে শারীরিক কসরত শেখানোর বিষয়ে তার কাছ থেকে কোনো অনুমতি নেয়া হয়নি বলে তিনি জানিয়েছেন।