রাস্তায় নেমে বৃহত্তর আন্দোলনের হুমকি ব্যবসায়ীদের
প্রকাশিত হয়েছে : ১:১৬:৪৩,অপরাহ্ন ১৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৫
নিউজ ডেস্ক::
শিগগিরই সঙ্কটের সমাধান না করা হলে সবাইকে নিয়ে দেশব্যাপী বৃহত্তর আন্দোলনের ডাক দেয়া হবে সরকারকে হুশিয়ারি করে দিয়েছেন ব্যবসায়ীরা। তারা বলছে, রাজনৈতিক সঙ্কটের সমাধান রাজনৈতিকভাবেই সমাধান করতে হবে।
ব্যবসায়িক সংগঠনের নেতৃবৃন্দরা বলছেন, যাদের দ্বারা সঙ্কটের সৃষ্টি তারাই এ সঙ্কটের দ্রুত সমাধান করুক। হরতাল অবরোধের মত কর্মসূচি দিয়ে আর তা প্রতিরোধে সরকারের দমনপীরন নীতি ব্যবসায়ীদের আর কোন ক্ষতি করলে শিগগিরই জনগনকে নিয়ে রাস্তায় নামবে তারা। আর তা হবে বৃহত্তর আন্দোলনের মাধ্যমে।
আজ শনিবার রাজধানীর বিজিএমইএ ভবনের সামনে এক প্রতিকী অনশন করেন ব্যবসায়িক বিভিন্ন সংগঠন। সেখানে অংশ নিয়ে বক্তব্য প্রদানকালে এসব কথা বলেন ব্যবসায়ীরা। এফবিসিসিআইয়ের সাবেক সভাপতি একে আজাদ রাজনীতিবীদদের প্রতি অনুরোধ জানিয়ে বলেন, আপনাদের সমস্যা আপনারা সমাধান করুন, আমাদের ক্ষতি করবেন না। আমরা একবার রাস্তায় নামলে সবাইকে নিয়ে বৃহত্তর আন্দোলন শুরু করবো। চলমান রাজনৈতিক সঙ্কট চলাকালীন কোন ট্যাক্স এবং বিদ্যুৎ বিল না দেয়ারও হুমকি দেন ব্যবসায়ীক সংগঠনগুলো।
সরকারকে উদ্দেশ্য করে বাংলাদেশ দোকান মালিক সমিতির সভাপতি এস এ কাদের কিরণ বলেন, আপনি যেভাবে পারেন সহিংসতা বন্ধ করেন। এ দায়িত্ব আপনার, আমরা আপনাকে ট্যাক্স দেই। চলমান সংকট যতদিন থাকবে ততদিন আমরা বিদ্যুৎ বিল দেব না।
চলমান সংকট যতদিন সমাধান না হবে ততদিন এই অনশন আন্দোলন চলবে বলে জানান বিজিএমইএ’র সাবেক সভাপতি আব্দুস সালাম মুর্শেদী। চলমান রাজনৈতিক সহিংসতার প্রতিবাদে দেশের অর্থনীতিকে বাঁচাতে প্রতীকী অনশনে কাজ না হলে ধারাবাহিক কর্মসূচিসহ প্রয়োজনে আইনের আশ্রয় নেবেন বলে জানান ব্যবসায়ীরা।
গার্মেন্টস অ্যাক্সেসরিজ অ্যান্ড প্যাকেজিং ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি রাফেজ আলম প্রধানমন্ত্রীর উদ্দেশ্যে বলেন, বর্তমান পরিস্থিতি যেভাবে হোক বন্ধ করুন। এটা সংলাপের মাধ্যমেও হতে পারে আবার আইনের মাধ্যমেও হতে পারে। আমাদেরকে নিরাপত্তা দিন।
অনশনে আরো অংশগ্রহণ করেন বিজিএমইএ দ্বিতীয় সহ সভাপতি রিয়াজ বিন মাহমুদ, এমএ মান্নান কচি, ঢাকা চেম্বারের সাবেক সভাপতি আসিফ ইব্রাহিম, বিকেএমইএ’র ভারপ্রাপ্ত সহসভাপতি আসলাম সানি, বিটিএমইএ’র সভাপতি তপন চৌধুরি, বিজিএমইএ’র সাবেক সভাপতি মোস্তফা গোলাম কুদ্দুস, প্লাস্টিক অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি জসিম উদ্দীন ও অন্যান্য ব্যবসায়ী সংগঠনের নেতাসহ বিভিন্ন শ্রমিক সংগঠনের নেতারা।