রাত ১০ টার পর যে কোন সময়ে ফাঁসি কার্যকর
প্রকাশিত হয়েছে : ২:৪৬:১২,অপরাহ্ন ১১ এপ্রিল ২০১৫
নিউজ ডেস্ক::
মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে ফাঁসির সাজা প্রাপ্ত জামায়াত ইসলামের সহকারি সেক্রেটারি জেনারেল মুহাম্মদ কামারুজ্জামানের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করতে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার পুরোই প্রস্তুত। একটু আগেই কারাগারে প্রবেশ করেছেন আইজি প্রিজন ইফতেখার উদ্দিন, এডিশনাল আইজি প্রিজন কবির হোসেন ও ডিআইজি প্রিজন গোলাম হায়দার। ধারণা করা হচ্ছে রাত ১০টার পরে যে কোনও সময়ে কার্যকর করা হবে কামারুজ্জামানের ফাঁসি।
একাধিক সূত্র জানায়, ফাঁসির পর কামারুজ্জামানের মরদেহ শেরপুর পাঠানো হবে। একটি দীর্ঘ পথ পারি দিয়ে মরদেহ নিয়ে যাওয়া আর রাতের আঁধার থাকতেই কবর দেওয়ার কাজ সম্পন্ন করতে হবে বলেই মধ্যরাতের আগেই ফাঁসি কার্যকর করা হবে।
শনিবার বিকেলে কামারুজ্জামানের পরিবারের সদস্যরা তার সঙ্গে শেষ দেখা করে গেছেন। এর আগেই কারাগারে পৌঁছায় কামারুজ্জামানের ফাঁসি কার্যকর করার নির্বাহী আদেশ। সে আদেশও তাকে পড়ে শোনানো হয়।
কামারুজ্জামানের ফাঁসির আদেশের বিরুদ্ধে রিভিউ আপিল করা হলে তাও খারিজ হয়ে যায়। গত ৬ এপ্রিল সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ ওই রায় দেওয়ার পর থেকেই কামারুজ্জামানের কাছে জানতে চাওয়া হয় তিনি রাষ্ট্রপতির কাছে প্রাণভিক্ষা চাইবেন কি না। তখন থেকে সিদ্ধান্ত নিতে যৌক্তিক সময় চেয়ে চার দিন কাটিয়ে দেন এই জামায়াত নেতা। পরে শুক্রবার তার কাছে আবারও শেষ সিদ্ধান্ত জানতে চাওয়া হয়। এ সময়ই সিদ্ধান্ত জানতে যাওয়া দু’জন ম্যাজিস্ট্রেটের মাধ্যমে কারা কর্তৃপক্ষ নিশ্চিত হয়, কামারুজ্জামান ক্ষমা চাইছেন না।
তারই ভিত্তিতে এগিয়ে চলে ফাঁসি কার্যকরের প্রক্রিয়া। শনিবার সকালেই উদ্যোগ নেওয়া হয় নির্বাহী আদেশ তৈরির। নির্বাহী আদেশের ফাইল প্রস্তুত করে তা পাঠানো হয় রাজধানী মনিপুরীপাড়ায় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর বাড়িতে। সেখানে তিনি আদেশের ফাইলে স্বাক্ষর করলে দুপুরে তা চলে যায় কেন্দ্রীয় কারাগারে।
সূত্রগুলো জানিয়েছে, এ আদেশের ভিত্তিতে চলছে ফাঁসি কার্যকরের চূড়ান্ত প্রক্রিয়া।